নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি বুলুর
Published: 23rd, February 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, “ড. ইউনুস আপনাকে সারা বিশ্বের মানুষ শ্রদ্ধা করে। আমরাও আপনাকে শ্রদ্ধা করি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনা করুক, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করুক, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করুণ। যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা জীবন দিয়েছি, সেই গণতান্ত্রিক অধিকার আমাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। এজন্য কবে নির্বাচন হবে, কীভাবে নির্বাচন হবে তার রোড ম্যাপ ঘোষণা করবেন। আপনার কোন উপদেষ্টা কী বলে, সেদিকে বিভ্রান্ত হয়ে আপনার বিবেক ও সম্মান নষ্ট করবেন না।”
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাট খানজাহান আলী (রহ.
তিনি বলেন, “ড. ইউনুস আপনার বিরুদ্ধে যখন শেখ হাসিনা মামলা দিয়েছিল, তখন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আপনার পক্ষে কথা বলেছিল। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পলায়ন করার পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপনার নাম প্রস্তাব করেন। এরপর সকল রাজনৈতিক দল, আপনাকে সমর্থন করেন। আপনি প্রধান উপদেষ্টা হন। আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ, জীবন দিয়েছে, জেল খেটেছে গণতন্ত্রের জন্য। ২০১৪ সাল থেকে আমরা কোন ভোট দিতে পারি নাই। এই ভোটের জন্য, আমাদের নাগরিক অধিকারের জন্য, আমাদের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টির জন্য আমরা এই আন্দোলন সংগ্রাম করেছি।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, “বিএনপি গণ মানুষের দল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল নেতাকর্মীদের ঐক্য বদ্ধ হয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ান।”
আওয়ামী লীগ সম্পর্কে বিএনপির এই নেতা বলেন, “শেখ হাসিনা দেশের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। বিএনপির ৩১ দফার মত শেখ হাসিনাকে ৩১ বার ফাঁসি দিলেও, তার অপরাধের বিচার হবে না।”
বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট অহিদুজ্জামান দীপু, কামরুল ইসলাম গোড়া, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শেখ জাকির হোসেন, খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ, শমসের আলী মোহন, বিএনপি নেতা খান মনিরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা, অ্যাডভোকেট ফারহানা জাহান নিপা, মহিলা দলের সভাপতি শাহিদা আক্তার প্রমুখ।
ঢাকা/শহিদুল/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম র রহম ন ব এনপ র র জন য আপন র আপন ক
এছাড়াও পড়ুন:
তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ: ফখরুল
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে “বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতার এক নতুন অধ্যায়” হিসেবে বর্ণনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এবারকার নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বৃহস্পতিবার এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, “তফসিল ঘোষণা শুধু নির্বাচনসূচি নয়, এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রার এক গুরুত্বপুর্ণ মুহূর্ত। দেশের জনগণ বহু অপেক্ষার পর যে পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছে, তার সূচনা এই তফসিল।”
আরো পড়ুন:
সারা দেশে ‘রোড শো’ করবে বিএনপি, ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ
বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া
অতীতের মতো কোনোরূপ পক্ষপাত, প্রভাব বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে একটি মুক্ত, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘জনগণই দেশের মালিক। তাদের রায়কে সম্মান জানানো এবং ভোটের অধিকার রক্ষা করাই বিএনপির মূল অঙ্গীকার।’’
ফখরুল আরও দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিলকে সামনে রেখে বিএনপি মাঠে শক্তিশালীভাবে উপস্থিত থাকবে এবং গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা চাই একটি সুষ্ঠু পরিবেশ, সমান সুযোগ, পর্যাপ্ত স্বাধীনতা এবং সব দলের জন্য মাঠ সমতল রাখা হোক। জনগণ এই নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চায়।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, তফসিল ঘোষণার পর দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচনের পরিবেশ দেখতে পাবে।
ফখরুল আরও বলেন, ‘‘অতীতের অভিজ্ঞতা জনগণকে সতর্ক করেছে। তাই এবার তারা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি সচেতন ও রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি নির্ধারক সময়। দেশের গণতন্ত্র, ভবিষ্যৎ এবং নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন রক্ষায় এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন। আগামী ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা/আলী//