বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, “ড. ইউনুস আপনাকে সারা বিশ্বের মানুষ শ্রদ্ধা করে। আমরাও আপনাকে শ্রদ্ধা করি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনা করুক, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করুক, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করুণ। যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা জীবন দিয়েছি, সেই গণতান্ত্রিক অধিকার আমাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। এজন্য কবে নির্বাচন হবে, কীভাবে নির্বাচন হবে তার রোড ম্যাপ ঘোষণা করবেন। আপনার কোন উপদেষ্টা কী বলে, সেদিকে বিভ্রান্ত হয়ে আপনার বিবেক ও সম্মান নষ্ট করবেন না।”

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাট খানজাহান আলী (রহ.

) দরগা মাঠে জেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “ড. ইউনুস আপনার বিরুদ্ধে যখন শেখ হাসিনা মামলা দিয়েছিল, তখন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আপনার পক্ষে কথা বলেছিল। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পলায়ন করার পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপনার নাম প্রস্তাব করেন। এরপর সকল রাজনৈতিক দল, আপনাকে সমর্থন করেন। আপনি প্রধান উপদেষ্টা হন। আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ, জীবন দিয়েছে, জেল খেটেছে গণতন্ত্রের জন্য। ২০১৪ সাল থেকে আমরা কোন ভোট দিতে পারি নাই। এই ভোটের জন্য, আমাদের নাগরিক অধিকারের জন্য, আমাদের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টির জন্য আমরা এই আন্দোলন সংগ্রাম করেছি।”

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, “বিএনপি গণ মানুষের দল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল নেতাকর্মীদের ঐক্য বদ্ধ হয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ান।”

আওয়ামী লীগ সম্পর্কে বিএনপির এই নেতা বলেন, “শেখ হাসিনা দেশের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। বিএনপির ৩১ দফার মত শেখ হাসিনাকে ৩১ বার ফাঁসি দিলেও, তার অপরাধের বিচার হবে না।”

বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট অহিদুজ্জামান দীপু, কামরুল ইসলাম গোড়া, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শেখ জাকির হোসেন, খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ, শমসের আলী মোহন, বিএনপি নেতা খান মনিরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা, অ্যাডভোকেট ফারহানা জাহান নিপা, মহিলা দলের সভাপতি শাহিদা আক্তার প্রমুখ।

ঢাকা/শহিদুল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম র রহম ন ব এনপ র র জন য আপন র আপন ক

এছাড়াও পড়ুন:

কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমির খসরু

কোনও মহামানবকে বাংলাদেশের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, কোনও মহামানব কোনও দেশের গণতন্ত্রের সমাধান দেবে তার জন্য দেশের জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে, এটা বিশ্বাস করার কারণ নেই।

এদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় ন্যাপ ভাসানীর সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে আমজনতার দলের সঙ্গে বৈঠকে করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। আমজনতার দলের আহ্বায়ক কর্নেল অব. মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা।

বিএনপির পক্ষে বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।

আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, মানুষ বলতে কারা? আমার বুঝতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি, যারা জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করছে। যারা রাজনৈতিক দল হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে, আমাদের সঙ্গে যারা রাস্তায় ছিল, ইতোমধ্যে প্রায় ৫০টি দল, পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেছে ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচনের জন্য।

তিনি আরও বলেন, সংস্কারের জন্য যে কথাগুলো বলা হয়, সংস্কারের ব্যাপারে যেখানে ঐকমত্য হবে- সেই সংস্কারগুলো দ্রুত করে নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রোডম্যাপ দিয়ে ভোটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তো জনগণ বলতে কারা? 

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এখন জনগণ বলতে যদি কোনও একটি বিশেষ গোষ্ঠী, সুবিধাভোগী- যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে, জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে! এটা তো কারও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কারণ নেই। ১৬ বছরের যুদ্ধটা ছিল গণতন্ত্রের জন্য, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য। যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে, তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। সেটা যে সরকারই হোক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘মিয়ানমারকে মানবিক করিডোর দেওয়া স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সংকট’
  • মিয়ানমারকে মানবিক করিডর দেওয়ার অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই: সিপিবি
  • সাবেক বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ 
  • কোনো মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমীর খসরু
  • কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমীর খসরু
  • কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমির খসরু
  • জনগণ গণতন্ত্রের জন‍্য রক্ত দিয়েছে, কোনো মহামানবের প্রতিষ্ঠার জন্য নয়: আমীর খসরু