বিজিবির হাতে ভারতীয় চোরাকারবারী আটক
Published: 26th, February 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্ত এলাকা থেকে জিহাদ শেখ (২১) নামে এক ভারতীয় চোরাকারবারীকে আটক করেছে বিজিবি। আটক জিহাদ ভারতের মালদা জেলার কালিয়াচক থানার দুইশত বিঘি গ্রামের ছানাউল শেখের ছেলে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কিরণগঞ্জ সীমান্তে জমিনপুর নামক স্থানে চোরাচালানী পণ্য হস্তান্তর করার সময় তাকে আটক করা হয়। এসময় সুজন নামে এক বাংলাদেশি চোরাকারবারী পালিয়ে যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহানন্দা ব্যাটালিয়ন (৫৯ বিজিবির) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিকালে কিরণগঞ্জ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত মেইন পিলার ১৭৯ হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জমিনপুর এলাকায় অভিযান চালায় টহলদল। এসময় চোরাচালানী পণ্য হস্তান্তর করার সময় জিহাদকে আটক করলেও সুজন মিয়া নামে এক বাংলাদেশি চোরাকারবারী পালিয়ে যায়।
অধিনায়ক আরও জানান, চোরাচালানের উদ্দেশ্য ভারত থেকে জিহাদ অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হবে।
মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও জানান অধিনায়ক।
ঢাকা/শিয়াম/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
কুমিল্লার মুরাদনগর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসিফ মাহমুদের পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন। সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হন, তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে বিএনপির অভিযোগ বক্স, যা পাওয়া গেল
সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান
মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। আমাদের অনেক সমর্থক আহত হন।”
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “তারা হামলা করার পর আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে।”
কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, আজ মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থান করা কিছু লোক বিনা উসকানিতে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে।
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ