যুবককে নির্যাতন, মৃত ভেবে ফেলে গেল বিএসএফ
Published: 27th, February 2025 GMT
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা সীমান্তে এক বাংলাদেশি যুবককে শারীরিক নির্যাতনের পর মৃত ভেবে ফেলে রেখে গেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সীমান্তে টহল চলাকালীন দেখতে পেয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন বিজিবি সদস্যরা।
বিএসএফের নির্যাতনের শিকার বিল্লাল সানা খুলনা পাইগাছার খড়িয়া টেমশাখালী গ্রামের আব্দুল মাজেদ সানার ছেলে।
তার স্ত্রী জহুরা খাতুন জানান, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ভারতের কলকাতার মধ্যম গ্রামে লেবারের কাজ করতেন বিল্লাল সানা। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশে আসার উদ্দেশ্যে ৭-৮ জন একসাথে বের হন। পরে রাতে বিএসএফ তাদের দেখতে পেয়ে ধাওয়া করলে বাকিরা পালিয়ে গেলেও বিল্লাল ধরা পড়েন।
বিএসএফ সদস্যদের অমানুষিক নির্যাতনে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে বিল্লাল। মৃত ভেবে তাকে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে যান বিএসএফ সদস্যরা। পরে মোবাইলে খবর পেলে বিকেলে মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছান তার স্বজনরা।
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ওই যুবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মহেশপুর ৫৮-বিজিবি অধিনায়ক লে.
ঢাকা/শাহরিয়ার/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ য কমপ ল ক স ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।
খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।
উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।
উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।