ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা সীমান্তে এক বাংলাদেশি যুবককে শারীরিক নির্যাতনের পর মৃত ভেবে ফেলে রেখে গেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সীমান্তে টহল চলাকালীন দেখতে পেয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন বিজিবি সদস্যরা। 

বিএসএফের নির্যাতনের শিকার বিল্লাল সানা খুলনা পাইগাছার খড়িয়া টেমশাখালী গ্রামের আব্দুল মাজেদ সানার ছেলে।

তার স্ত্রী জহুরা খাতুন জানান, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ভারতের কলকাতার মধ্যম গ্রামে লেবারের কাজ করতেন বিল্লাল সানা। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশে আসার উদ্দেশ্যে ৭-৮ জন একসাথে বের হন। পরে রাতে বিএসএফ তাদের দেখতে পেয়ে ধাওয়া করলে বাকিরা পালিয়ে গেলেও বিল্লাল ধরা পড়েন। 

বিএসএফ সদস্যদের অমানুষিক নির্যাতনে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে বিল্লাল। মৃত ভেবে তাকে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে যান বিএসএফ সদস্যরা। পরে মোবাইলে খবর পেলে বিকেলে মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছান তার স্বজনরা।

মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ওই যুবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মহেশপুর ৫৮-বিজিবি অধিনায়ক লে.

কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, “সীমান্ত টহলের সময় গুরুতর আহত অবস্থায় বিল্লালকে পাওয়া যায়। এসময় তাকে উদ্ধার করে মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।”

ঢাকা/শাহরিয়ার/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ য কমপ ল ক স ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক