Samakal:
2025-07-31@07:20:26 GMT

বই পায়নি ৪৬ হাজার শিক্ষার্থী

Published: 27th, February 2025 GMT

বই পায়নি ৪৬ হাজার শিক্ষার্থী

শিক্ষাবর্ষের ১ মাস ২৬ দিন শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু পার্বতীপুরের মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার সব শিক্ষার্থী সব পাঠ্যবই এখনও হাতে পায়নি। ফলে বেশকিছু বিষয়ে এখনও পড়ালেখা শুরু করতে পারেনি তারা। এতে শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়নে জটিলতা সৃষ্টির শঙ্কা করছেন শিক্ষকরা। পার্বতীপুর থেকে জানা গেছে, উপজেলার মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার ৪৬ হাজার ছাত্রছাত্রী এখনও হাতে পায়নি সব বিষয়ের বই। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শুধু ৮ম এবং মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির পুরো সেট বই বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ হয়ে গেছে উপজেলার ১১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। খুলবে ৯ এপ্রিল। এর দুই মাস পরেই ২৪ জুন শিক্ষার্থীদের বসতে হবে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার টেবিলে। পরীক্ষার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন বন্ধ বাদ দিয়ে মাত্র ৩৬ দিন ক্লাস করার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। এতে ফল বিপর্যয়ের আশঙ্কায় হতাশ তারা। 
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, পার্বতীপুরে মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা মিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১১৩টি। মাধ্যমিক স্তরের ৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শুধু বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই সরবরাহ করা হয়েছে। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, উচ্চতর গণিত, বাংলা দ্বিতীয়পত্র, ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র, কৃষিশিক্ষা বই পায়নি। 
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, বাংলা দ্বিতীপত্র, ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ও শারীরিক শিক্ষা বই পায়নি। মাদ্রাসার ক্ষেত্রেও ৭ম ও নবম শ্রেণির অধিকাংশ শিক্ষার্থী বই পায়নি।
অভিভাবক আবু দাউদ জানান, তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সে সব বিষয়ে এখনও বই পায়নি। এদিকে স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। কবে বই দেওয়া হবে, কর্তৃপক্ষ বলতে পারছে না। অনেকেই পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়াচ্ছে। তবে তা ব্যয়বহুল; শিক্ষার্থীরাও এভাবে পড়তে অভ্যস্ত না। সময়মতো বই না পাওয়ায় শেষ সময়ে শিক্ষার্থীদের ওপর 
চাপ বেড়ে যাবে।
পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মকলেছুর রহমান বলেন, এখনও বেশির ভাগ বই হাতে পাওয়া যায়নি। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকরা নেট থেকে ডাউনলোড করে ক্লাসে পড়াচ্ছে। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বই না থাকায় তাদের ক্লাসে আগ্রহ কম। 
একাডেমিক সুপারভাইজার বিভাষ চন্দ্র বর্মন বলেন, এখনও অনেক বই আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। যেটুকু এসেছে তা চাহিদার তুলনায় কম হওয়ায় বিতরণ করা যাচ্ছে না। অবশিষ্ট বই পেলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সরবরাহ করা হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বই

এছাড়াও পড়ুন:

গ্যাস অপচয়ে বছরে ক্ষতি ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি: পেট্রোবাংলা

কারিগরি ক্ষতির (সিস্টেম লস) নামে গ্যাস অপচয় বাড়ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্যাস বিতরণ লাইনে অপচয় হয়েছে গড়ে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ গ্যাস। এতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। আর গত অর্থবছরের (২০২৪-২৫) মার্চ পর্যন্ত অপচয় হয়েছে ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এতে আর্থিক ক্ষতি ৩ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা। এর বাইরে সঞ্চালন লাইনে অপচয় হয়েছে ২ শতাংশ।

‘দেশের জ্বালানিনিরাপত্তা: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়; গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব তথ্য উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। এতে বলা হয়, ২ শতাংশ অপচয় গ্রহণযোগ্য, তাই ওইটুকু সমন্বয় করেই আর্থিক ক্ষতির হিসাব করা হয়েছে। গ্যাসের অপচয় রোধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে ছয়টি গ্যাস বিতরণ সংস্থা।

পেট্রোবাংলা বলছে, গ্যাস অপচয়ের জন্য দায়ী হচ্ছে পুরোনো, জরাজীর্ণ পাইপলাইন; গ্যাস সরবরাহ লাইনের গ্যাসস্টেশন রাইজারে লিকেজ (ছিদ্র); তৃতীয় পক্ষের উন্নয়নকাজে পাইপলাইন ছিদ্র হওয়া এবং আবাসিক খাতে প্রচুর অবৈধ সংযোগ। তবে এসব অপচয় রোধে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় পেট্রোবাংলা। এর মধ্যে রয়েছে গ্যাস সরবরাহব্যবস্থায় মিটারিং/ মনিটরিং ব্যবস্থাপনা কার্যকর করা; লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কারিগরি ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে রাখা; অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও উচ্ছেদ কার্যক্রম জোরদার করা এবং আবাসিক গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা।

দেশের গ্যাস খাতের চিত্র তুলে ধরে সেমিনারে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ইজাজ হোসেন। তিনি বলেন, দেশে গ্যাসের উৎপাদন কমতে কমতে ১৫ বছর আগের জায়গায় চলে গেছে। গ্যাস অনুসন্ধান জোরদারের কোনো বিকল্প নেই। গ্যাস চুরি ও অপচয় কমাতে হবে। সঞ্চালন ও বিতরণ মিলে কারিগরি ক্ষতি প্রায় ১০ শতাংশ, যা অনেক বেশি। সঞ্চালন লাইনে কারিগরি ক্ষতি কোনোভাবেই ২ শতাংশ হওয়ার কথা নয়। এটা ভালো করে দেখা উচিত।

শিল্পে নতুন সংযোগে গ‍্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান বলেন, সঞ্চালন লাইনে কারিগরি ক্ষতির বিষয়টি গভীরভাবে দেখা হচ্ছে। অবৈধ সংযোগ বন্ধে পেট্রোবাংলা তৎপর আছে, খোঁজ পেলেই বিচ্ছিন্ন করা হবে। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিল্পে নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে গ‍্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, যেহেতু তারা বেশি দাম দেবে। তাই অগ্রাধিকার বিবেচনা করে তিনটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। প্রথম ধাপের তালিকায় থাকছে, যেসব কারখানায় এখনই সংযোগ দেওয়া যাবে। এগুলো পরিদর্শন প্রায় শেষের দিকে, আগামী সপ্তাহে শেষ হয়ে যাবে।

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রূপান্তর করে পাইপলাইনে সরবরাহ করতে নতুন টার্মিনাল নির্মাণে অগ্রাধিকার পাচ্ছে স্থলভাগের টার্মিনাল। মহেশখালীর মাতারবাড়ী এলাকায় এটি করা হবে। এটি হলে কম দামের সময় বাড়তি এলএনজি কিনে মজুত করা যাবে। তবে এগুলো রাতারাতি করা যায় না, পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে।

জাতীয় গ্রিডে নতুন করে দিনে ৭৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হয়েছে

তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে উৎপাদন অংশীদারত্ব চুক্তি (পিএসসি) নিয়ে একটি নিবন্ধ উপস্থাপন করেন পেট্রোবাংলার পরিচালক (পিএসসি) মো. শোয়েব। তিনি বলেন, স্থলভাগে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য তৈরি পিএসসির খসড়া জ্বালানি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ নিয়ে একটি নিবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৫০টি কূপ সংস্কার, উন্নয়ন ও খননের প্রকল্পে ইতিমধ্যে ১৮টির কাজ শেষ হয়েছে। জাতীয় গ্রিডে নতুন করে দিনে ৭৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হয়েছে। ৪টি কূপের কাজ চলমান। এ ছাড়া পেট্রোবাংলার বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরেন সংস্থাটির পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. আবদুল মান্নান পাটওয়ারী।

সবচেয়ে বেশি বকেয়া বিদ্যুৎ খাতে

পেট্রোবাংলার আর্থিক দিক তুলে ধরেন সংস্থাটির পরিচালক (অর্থ) এ কে এম মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, গত অর্থবছরে পেট্রোবাংলার রাজস্ব আয় ৫৪ হাজার ১১৭ কোটি টাকা, এর মধ্যে অর্ধেক বকেয়া। গত মে পর্যন্ত গ্যাস বিল বকেয়া ২৭ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। এটি ধীরে ধীরে কমে আসছে। ১৩–১৫ হাজার কোটিতে বকেয়া নেমে এলে সন্তোষজনক। সবচেয়ে বেশি বকেয়া বিদ্যুৎ খাতে ১৬ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। এরপর সার কারখানায় বকেয়া আছে ৯৬৪ কোটি টাকা। তবে বিদেশি কোনো কোম্পানির কাছে বিল বকেয়া নেই পেট্রোবাংলার। সব বিল শোধ করা হয়ে গেছে।

গত অর্থবছরে প্রতি ইউনিটে লোকসান হয়েছে ৪ টাকা

পেট্রোবাংলা বলছে, এলএনজি আমদানি শুরুর পর থেকে লোকসান শুরু হয় সংস্থাটির। প্রতিবছর সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি নিচ্ছে পেট্রোবাংলা। ২০১৮-১৯ সালে এলএনজি আমদানি শুরু হয়, ওই বছর ভর্তুকি ছিল ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এরপর এলএনজি আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভর্তুকিও বাড়তে থাকে। গত অর্থবছরে তারা ভর্তুকি নিয়েছে ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত পেট্রোবাংলা মোট ভর্তুকি নিয়েছে ৩৬ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। পেট্রোবাংলার হিসাবে গত অর্থবছরে প্রতি ইউনিট গ্যাস সরবরাহে পেট্রোবাংলার খরচ হয়েছে ২৭ টাকা ৫৩ পয়সা। তারা বিক্রি করেছে ২২ টাকা ৯৩ পয়সায়। এর মানে প্রতি ইউনিটে লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৬০ পয়সা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ
  • কাফকো সার কারখানায় গ্যাস বিক্রির চুক্তি সই
  • ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
  • মেসি বনাম ইয়ামাল: ফিনালিসিমার সময়-সূচি ঘোষণা
  • গংগাচড়ায় হিন্দুদের ঘরবাড়ি মেরামতের উদ্যোগ, আতঙ্ক কাটেনি এখনও
  • গ্যাস অপচয়ে বছরে ক্ষতি ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি: পেট্রোবাংলা
  • পাবনায় আগাম পাটের বাজার চড়া, বেশি দাম পেয়ে কৃষক খুশি
  • নবায়নযোগ্য জ্বালানির যুগ কড়া নাড়ছে দরজায়
  • ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধে জয় হচ্ছে বোয়িংয়ের
  • বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি অসম্ভব উদ্বেগের জায়গায় যাচ্ছে