বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার এবং বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট আইন থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ২৩তম বৈঠকে এটি অনুমোদন করা হয়। তবে এসব আইনে কী সংশোধন আনা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান জানান, বিপুলসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের বিশেষ পরিবারের নামে নামকরণ করা হয়েছিল। আমরা দুটো প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার আইন থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।
এ ছাড়া ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শহীদ সেনা দিবস পালনের প্রস্তাব এবং রোজার মাসে সরকারি ও আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য অফিসের সময়সূচি নির্ধারণের প্রস্তাব ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে সরকারি ব্যয় কমাতে বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস একই সঙ্গে (২০ অক্টোবর) উদ্যাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৮ আগস্ট থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদের ২২টি বৈঠকে ১৩৫টি সিদ্ধান্ত হয়েছে, এর মধ্যে ৯২টি বাস্তবায়িত হয়েছে। এ সময় ২০টি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া দুটি নীতিমালা অনুমোদন এবং ১১টি দ্বিপক্ষীয়, আন্তর্জাতিক চুক্তি ও প্রটোকল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি