‘রান! ফরেস্ট রান!’ অস্কারজয়ী সিনেমা ‘ফরেস্ট গাম্প’–এর বিখ্যাত সংলাপ। সমবয়সী কিংবা বয়সে একটু বড়দের কাছে ফরেস্ট মাস্তানির শিকার হলে তাঁকে এ কথাটি বলত জেনি। ফরেস্টের শৈশবের বন্ধু পরবর্তী সময় ফরেস্ট যাঁকে খুব ভালোও বেসেছে। ক্রিকেটে কোহলির ওপর মাস্তানি করার মতো বোলার কোথায়! আনুশকা শর্মাকে তাই গ্যালারি থেকে জেনির মতো বলতে হয় না, রান! কোহলি রান!
আরও পড়ুনআপনারা দেখেন গড়, আমরা ইমপ্যাক্ট—রোহিতের ফর্ম নিয়ে গম্ভীর৫৭ মিনিট আগেতবে কখনোই যে বলতে হয়নি, সেটিও বলা যাচ্ছে না। রানআউটের শঙ্কা থাকলে আনুশকা নিশ্চয়ই মনে মনে এমন কোনো কথাই জপ করেন। কোহলিও তাঁকে খুব একটা হতাশ করেননি। ৬১৬ ইনিংসের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৫২৭ ডিসমিসালের মধ্যে রানআউট হয়েছেন মাত্র ২২ বার। ৩৬ বছর বয়সী কোহলির ফিটনেস আগাগোড়াই খুব ভালো। শরীরটা এখনো একহারা, ছুটতে পারার দম অসামান্য। কাল দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সেমিফাইনালের কথাই ধরুন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতকে ৬ উইকেটে জেতানোর পথে নিজে খেলেন ম্যাচ জেতানো ৯৮ বলে ৮৪ রানের ইনিংস। তার মধ্যে বাউন্ডারি থেকে এসেছে মাত্র ২০ রান—৫টি চার। বাকিটা সিঙ্গেলস ও ডাবলসে। ৫৬টি সিঙ্গেলস ও ডাবলস ৪টি। কোহলির ফিটনেস এখনো কত ভালো এবং দৌড়ে রান নেওয়ার প্রতি এ বয়সেও তাঁর কতটা ব্যগ্রতা, তা এই পরিসংখ্যানেই পরিষ্কার। তবে দৌড়াতে দৌড়াতে কোহলি কোথায় পৌঁছে গেছেন, তা নিজেও হয়তো টের পাননি।
৩৬ বছর বয়সেও অসামান্য ফিটনেস কোহলির.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক