ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মহাসচিব মাওলানা অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরির সুযোগ নেই। সংস্কার ও বিচারকে কেন্দ্র করে নির্বাচনহীন অন্তর্বর্তী সময়কে দীর্ঘায়িত করার কোনো প্রচেষ্টাও গ্রহণযোগ্য হবে না।

আজ বুধবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রমজানের ইফতার মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় মাওলানা ইউনুস আহমদ এ কথা বলেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, ‘সংস্কার, স্বৈরাচারের বিচার এবং অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন; এই বিষয়গুলো সমান গুরুত্বের এবং একই সঙ্গে বাস্তবায়নে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেখানে কোনোভাবেই নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করা যাবে না। এতে করে অন্তর্বর্তী সরকারের সদিচ্ছার ওপর জনমনে প্রশ্ন তৈরি হবে।’

টেকসই সুষ্ঠু রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিশ্চিত করতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে কোনো প্রশ্ন নেই উল্লেখ করে ইউনুস আহমদ বলেন, ’২৪–এর রক্তমাখা আন্দোলনের প্রধান দাবিই সংস্কার। একই সঙ্গে পতিত স্বৈরাচারের বিচার হাজারো মানুষের রক্তের ঋণ পরিশোধের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আশরাফুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারূফ, মাওলানা এ বি এম জাকারিয়া প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’

তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’

পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’

আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’

ঢাকা/আসাদ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খাজা শরফুদ্দীন চিশতির মাজারে হাত দিলে পরিণাম হবে ভয়াবহ: আহলে সুন্
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • যারা জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ চায়, তারা আদালতে অভিযোগ দিতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • প্রাথমিকে গানের শিক্ষক বাদ দিয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে
  • মাঠের জবাব মাঠে দেওয়া হবে: সালাহউদ্দিন 
  • পনেরো বছরে থেমে গেল শিশুশিল্পীর জীবন
  • পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত
  • আলোচনা অব্যাহত থাকা অবস্থায় কর্মসূচি দেওয়া স্ববিরোধিতা মনে করছে বিএনপি