নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেছেন, ‌‘আমি এমন শিক্ষাব্যবস্থার স্বপ্ন দেখি, যেখানে আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশের ভেতরেই তার ভবিষ্যত দেখতে পাবে এবং বাংলাদেশ থেকেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। এটা হয়তো একদিনে হবে না, এক বছরে হবে না কিংবা ৫ বছরে হবে না। কিন্তু তার জন্য ভিত্তিটি তৈরি করে দেওয়া, ইতোমধ্যে অনেকগুলো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

বুধবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেছেন। শপথ নিয়ে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অফিস করেছেন। মন্ত্রণালয়ে তাঁকে স্বাগত জানান মন্ত্রণালয়ে বিদায়ী এবং বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জুবায়ের এবং কারিগরি এ মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম। 

উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে বড় রকমের একটা পরিবর্তন এসেছে। আমরা ভাবিনি আমাদের জীবদ্দশায় এভাবে মুক্তভাবে কথা বলতে পারব। প্রধান উপদেষ্টা যে আমাকে এই দায়িত্বটা দিয়েছেন, সেটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন, সামনের যে ‘জার্নিটা ইজি’ হবে তা নয়।’

তিনি বলেন, শিক্ষা একটা বিশাল জগৎ। আমরা সবাই জনগণের টাকায় বড় হয়েছি। সুতরাং জনগণের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ আছে। 

এই ধরনের পরিসরে এসে বসবেন তা জীবনে ভাবেননি জানিয়ে নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমি মনে করি, শিক্ষা হচ্ছে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাহন। আমি এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থার কথা ভাবি, যা হবে ব্যক্তির কর্মদক্ষতা অর্জন, তার আত্মোন্নয়নের উপযুক্ত পথ। যা হবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বিজ্ঞান প্রযুক্তিভিত্তিক উৎকর্ষের সহায়ক এবং যা হবে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিক তৈরির উপায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক শিক্ষক সি আর আবরার এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। বুধবার সকাল এগারোটায় বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শেখ আবদুর রশীদ। নতুন একজন উপদেষ্টা যুক্ত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধান উপদেষ্টাসহ মোট উপদেষ্টার সংখ্যা  হলো ২৩ জন।

শপথের পর উপদেষ্টা সি আর আবরারকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এতদিন একসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছিলেন। সি আর আবরারকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন শুধু পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকবেন।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ক ষ উপদ ষ ট র উপদ ষ ট ন উপদ ষ ট আর আবর র মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এটিএম কামালের দোয়া মাহফিলে মাসুদুজ্জামান   

বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দ্রুত রোগমুক্তি কামনায় আজ নারায়ণগঞ্জে গভীর ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক মাসুদুজ্জামান। তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা এবং দেশের কল্যাণের জন্য সকলের কাছে দোয়া চান।

দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক, তাঁর সুস্থতা জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল।

দোয়ার আয়োজনে মাসুদুজ্জামান বলেন, “আমাদের জাতীয় নেতৃত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ আজ অসুস্থ। তাঁর দ্রুত আরোগ্যই শুধু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের জন্য নয় - বরং বাংলাদেশের গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য অপরিহার্য। জাতির এই সংকটময় মুহূর্তে আমরা সবাই তাঁর জন্য দোয়া করি। 

তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন। সুস্থতা প্রত্যেক মানুষের মৌলিক আশা এবং আমরা তাঁর আরোগ্যের জন্য আন্তরিকভাবে দোয়া করছি।

তিনি অতীতে দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল, গণতান্ত্রিক চর্চা ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার নানা সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন- এই কারণে তাঁর সুস্থতা অনেক মানুষের কাছে মানসিকভাবে এক বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।”

আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আব্দুস সবুর খান সেন্টু, আনোয়ার হোসেন আনু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সদস্য মনোয়ার হোসেন শোখন, সাবেক চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুলসহ মহানগরের অন্যন্য বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দরা।

এছাড়াও দোয়ার আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল, মহিলদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।

অনুষ্ঠান শেষে নেতাকর্মী ও উপস্থিত সকল মানুষ দোয়া মাহফিলের মূল উদ্দেশ্যের প্রতি গভীর সংমত প্রকাশ করেন।

তাঁরা বলেন, দেশের একজন বরেণ্য জাতীয় ব্যক্তিত্ব কঠিন অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন - এ সময়ে দল-মত নির্বিশেষে সবাই তাঁর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছে। বক্তারা উল্লেখ করেন যে মানবিক মূল্যবোধই সবচেয়ে বড় পরিচয়, এবং অসুস্থতার মতো পরিস্থিতি মানুষের মাঝে সহমর্মিতা ও ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করে।

শেষে সবাই আশা প্রকাশ করেন, দেশনেত্রীর সুস্থতার সঙ্গে সঙ্গে জাতির মধ্যেও শান্তি, সহমর্মিতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আরও সুদৃঢ় হবে।

তাঁরা আগত দিনগুলোতে একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন, যা সমাজে একটি ইতিবাচক ও গঠনমূলক উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এটিএম কামালের দোয়া মাহফিলে মাসুদুজ্জামান   
  • ভোটের মাঠে জোটের ভিড়ে জনপ্রত্যাশা কোথায় গেল 
  • পার্বত্য ৩ আসনে প্রার্থী না দিতে জাতীয় দলগুলোর প্রতি আহ্বান ইউপিড
  • শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার আহ্বান ইসলামী ফ্রন্টের
  • তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
  • ‘নির্বাচন সহজ হবে না, পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামতে হবে’
  • আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে পুরোপুরিভাবে জয়লাভ করতে হবে: নেতাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল
  • বাবুগঞ্জে এবি পার্টির ফুয়াদের বিরুদ্ধে ঝাড়ুমিছিল
  • নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জেলেনস্কি
  • সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরবে: গয়েশ্বর