Prothomalo:
2025-06-16@08:28:29 GMT

ইফতারের জন্য কোন পানীয় ভালো

Published: 8th, March 2025 GMT

ইফতারের শুরুই হয় শরবত, ডাবের পানি, ফলের রস—এ রকম পানীয় দিয়ে। তবে কেউ কেউ কোমল পানীয়ও গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু ইফতারে কোনটি ভালো? আসুন, জেনে নেওয়া যাক: 

ঘরে তৈরি যেকোনো ফলের শরবত বেশ স্বাস্থ্যবান্ধব। এর মধ্যে বেশি জনপ্রিয় আর উপকারী বেল, আনারস, পেয়ারা ও তেঁতুলের শরবত। ডাবের পানিও অনেকের প্রিয়। ফল শর্করা, সামান্য প্রোটিন, ফ্যাটসহ সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর। থাকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ফাইবার ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। আরও থাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পানি। 

গরমে সারা দিন রোজা রেখে শরীর সতেজ রাখা সত্যিই চ্যালেঞ্জের। তবে সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনায় আমরা সেই চ্যালেঞ্জ খুব সহজেই অতিক্রম করতে পারি। সেই খাদ্য ব্যবস্থাপনার একটি প্রধান উপাদান হচ্ছে ফলের শরবত।

উপকারিতা

● ইফতারের কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই শারীরিক দুর্বলতা বেশি অনুভূত হয়। এ ক্ষেত্রে ফলের লুকোনো সুগার খুব ধীরে ধীরে আপনার রক্তের গ্লুকোজ লেভেল বাড়িয়ে আপনাকে এনার্জেটিক করে তুলবে। তবে ডায়াবেটিক রোগীরা কোনো চিনি বা গুঁড় মেশাবেন না। ইফতারে ফলের শরবত আপনার মস্তিষ্কের জ্বালানি হিসেবেও কাজ করবে।

● ক্লান্ত পেশিকে সতেজ করে ভিটামিন ও মিনারেলস। এ ক্ষেত্রে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে পেঁপেতে ভিটামিন বি-এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়।

● ফলের পটাশিয়াম স্নায়ুবিক দুর্বলতা দূর করে। এ ছাড়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

● রোজা রাখায় শরীরে কিছুটা পানিশূন্যতা তৈরি হয়। তবে ফলের জলীয় অংশ পানিশূন্যতা দূর করে শরীরের প্রতিটি কোষকে কর্মক্ষম রাখে। শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্যও রক্ষা করে।

● ফলের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট শরীরে ফ্রি-র‍্যাডিকেল তৈরি হতে বাধা দেয়, মৃত কোষ অপসারণ করে। ফলে কোষের ইমিউনিটি বাড়ে।

● অন্ত্রের গুড ব্যাকটেরিয়ার খাবার হচ্ছে ফাইবার। তাই ইফতারে ফলের রস খেলে অন্ত্রে গুড ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ে। এতে পরিপাকতন্ত্র আরও শক্তিশালী হয়। প্রস্রাবের সংক্রমণ, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য, বুক জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।

● ফলের ব্রমোলিন (আনারসে থাকে) আপনার হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।

● ফলের বিটা ক্যারোটিন চোখের রেটিনার সুরক্ষা দেয়।

● শরীরে ব্যাড ফ্যাট, এলডিএল, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ কমিয়ে রক্তের গুড ফ্যাট এইচডিএলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।

● ফলের আয়রন, ভিটামিন সি, জিংক, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ত্বক ও চুলের সুরক্ষা দেয়। 

● প্রতিটা ফলে অ্যান্টি–ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। 

সতর্কতা

● ডায়াবেটিক রোগী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকা সাপেক্ষে ফলের রস খাবেন। 

● কিডনি রোগীরা অবশ্যই চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেবেন। ডাবের পানি বা বেশি পটাশিয়াম তাঁদের জন্য ক্ষতিকর। 

● ফল জুস করে খাওয়ার চেয়ে চিবিয়ে খেলে পুষ্টিগুণ বেশি পাওয়া যায়। 

● ইফতারের ৫-১০ মিনিট আগে জুস তৈরি করতে হবে। অনেক আগে তৈরি করে রাখলে জীবাণু সংক্রমণ ঘটতে পারে।

●উচ্চ রক্তচাপের রোগী তেঁতুলের শরবত কম খাবেন। কারণ, এতে লবণ দিতে হয় বেশি। আবার অ্যাসিডিটিতে তেঁতুলের শরবত এড়িয়ে চলাই উত্তম।

মো.

ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল র শরবত ইফত র র র পর ম

এছাড়াও পড়ুন:

দুই বাংলাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: জয়া আহসান

দীর্ঘ সময় পর ঈদুল আজহায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে জয়া আহসান অভিনীত দুটি সিনেমা। একটি রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব’, অন্যটি তানিম নূরের ‘উৎসব’। সেই আমেজ না কাটতেই কলকাতার নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া। গত শনিবার মহরতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে কৌশিক গাঙ্গুলীর ‘আজও অর্ধাঙ্গিনী’র শুটিং। প্রথম পর্ব ‘অর্ধাঙ্গিনী’র মতো এবারও জয়ার সঙ্গে থাকছেন কৌশিক সেন ও চূর্ণী গাঙ্গুলী। এই তিনজনের সঙ্গে নতুন পর্বে যুক্ত হচ্ছেন ইন্দ্রাশিস রায়।

গল্পের পটভূমি সম্পর্কে জানা যায়, সুমনের (কৌশিক) অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে তার সাবেক স্ত্রী শুভ্রা (চূর্ণী) ও বর্তমান স্ত্রী মেঘনার (জয়া) দেখা হওয়া এবং টানাপোড়েনকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল অর্ধাঙ্গিনীর পটভূমি। আগের ঘটনার বছর দুয়েক পর একটা বিয়েকে কেন্দ্র করে আবার মুখোমুখি হয় সুমন, শুভ্রা ও মেঘনা।

জয়া আহসান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ