চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ল ৫০ দোকান, গুদাম ও বসতঘর
Published: 9th, March 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ থানাধীন আতুরার ডিপো এলাকায় ভয়াবহ আগুনে পুড়ছে ফলের আড়ত, দোকান, বসতঘর ও ঝুট কাপড়ের গুদাম। আজ রোববার বিকেলে আমিন জুট মিলের বিপরীতে মুরাদপুর সড়কের পাশে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি গাড়ি অংশ নিয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুনে অন্তত ৫০টি দোকান, ঘর ও গুদাম পুড়ে গেছে। এর মধ্যে মুদিদোকান, পানদোকান, ফলের আড়ত, প্লাস্টিকের গুদাম, ঝুট কাপড়ের গুদাম, পোলট্রি ও গোখাদ্যের গুদাম রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, তারা বেলা ২টা ৫৮ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায়। এরপর ছয়টি গাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে ঝুট কাপড়ের গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। আগুন লাগার পর মুরাদপুর–অক্সিজেন সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম আলোকে বলেন, রাস্তার পাশের দোকানগুলোর পেছনে প্লাস্টিক, ঝুট কাপড়, মুরগি ও গোখাদ্যের গুদাম রয়েছে। গুদামের দিক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি, তবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগুনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০টি দোকান, গুদাম ও বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরও ফায়ার সার্ভিসের চারটি গাড়ি সেখানে কাজ করছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোয় কলা, আপেলসহ নানা ফল পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। দোকানের দিক থেকে আগুন নিভে গেলেও দোকানগুলোর পেছনে বসতঘর ও গুদামে আগুন জ্বলছিল।
মন্টু সওদাগার নামে এক আড়তদার বলেন, আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে তাঁর বেল, কলা ও আপেল পুড়ে গেছে। কিছু বের করা যায়নি। অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।
বশির উদ্দিন নামের অপর এক দোকানি বলেন, দোকানের পেছনের দিকে গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বেলা দুইটার পরপর আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস আসতে আসতে আগুন আরও বড় হয়ে যায়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা
চিরসবুজ অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। আজ ৭১ বছর পূর্ণ করলেন সত্তরের দশকের অন্যতম সেরা এই অভিনেত্রী। জন্মদিন উপলক্ষে গত বছর একটি সাক্ষাৎকার দেন ববিতা। এ আলাপচারিতায় জীবনবোধ নিয়ে কথা বলেন এই শিল্পী।
জীবন নিয়ে ববিতা বলেন, “যে জীবন মানুষের কোনো উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়। মরে গেলে আমার ছেলে অনিক আমাকে অনেক মিস করবে। একমাত্র ছেলে তো, ওর কথা খুব ভাবি। ভক্তরা আমাকে কতটুকু মনে রাখবেন, জানি না।”
একটি ঘটনা উল্লেখ করে ববিতা বলেন, “এই জীবনে একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে। অনেক শিল্পীকে তা দেওয়া হয়নি, হোক তা ভারতে কিংবা বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের মেয়র আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন। সেদিন আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মান দিয়েছেন, ৬ আগস্টকে ‘ববিতা ডে’ ঘোষণা করেছেন। তার মানে আমি বেঁচে না থাকলেও দিনটা উদযাপিত হবে। এটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।”
আরো পড়ুন:
বধূবেশে অভিষেক কন্যা
জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট
মৃত্যুর কথা স্মরণ করে ববিতা বলেন, “তবে কবরে একা থাকার কথা ভাবলে হঠাৎ কেমন যেন লাগে। আরেকটা বিষয়, আমি অনেক দিন বেঁচে থাকতে চাই না। অসুখ–বিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না। আমি কারো বোঝা হয়ে বাঁচতে চাই না।”
কারণ ব্যাখ্যা করে ববিতা বলেন, “চারপাশে অনেক আত্মীয়স্বজনকে দেখেছি, দিনের পর দিন বিছানায় অসুস্থ হয়ে কষ্ট পেয়েছেন। যারা একা থাকেন, তাদের জন্য এই কষ্ট যেন আরো বেশি। তাই সব সময় এটা ভাবি, কখনোই যেন অন্যের বোঝা না হই।”
সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা ববিতার কখনো ছিল না। পরিচালক জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও প্রথমে রাজি হননি। পরে মা আর বোনের পীড়াপীড়িতে অভিনয় করেন। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারফ্লপ হয়।
পরিচালক জহির রায়হান আবারো ‘জ্বলতে সুরজ কে নিচে’ উর্দু সিনেমার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করতে বললে প্রথমে রাজি হননি ববিতা। তখন বয়স মাত্র ১৪। কিন্তু সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হওয়ার পরও শিল্পীদের শিডিউল মেলাতে না পারায় সিনেমাটি আর শেষ করা হয় না।
এরপর জহির রায়হান ববিতাকে নিয়ে বাংলা সিনেমা বানান। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারহিট হয়। অভিনয় করার ইচ্ছা না থাকলেও সিনেমা হিট হওয়ায় আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। এরপর ‘স্বরলিপি’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘টাকা আনা পাই’ সিনেমায় জুটি বাঁধেন রাজ্জাক-ববিতা। প্রতিটি সিনেমাই সুপারহিট।
ঢাকা/শান্ত