সোনারগাঁয়ে মোফাজ্জল হোসেন (৪৮) নামের একজন মসজিদ কমিটিকে কুপিয়ে যখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। মারাক্তক আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার রাতে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের চোত্রাপাশা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানাযায়, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়ন চোত্রাপাশা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কমিটি ১৫ বছর পর পরিবর্তন করার ক্ষোপে নতুন কমিটির সহ-সেক্রেটারি মোফাজ্জলের উপর হামলা করেছেন ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগের দোসর আজমাঈল খন্দকারের নেতৃত্বে পূর্বে পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল খন্দকার, সাদিকুর খন্দকারসহ ৪/৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্র সজ্জা সজ্জিত হয়ে  মোফাজ্জলের উপর হামলা করে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাক্তক জখম করেন। এসময় তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।

আহত মোফাজ্জল হোসেন জানান, রবিবার সন্ধ্যায় মাগরিব নামাজ শেষে চোত্রাপাশা খেজুর তলা দোকানে গেলে আমার উপর হামলা করেন তারা। আমি হামলার ন্যায় বিচার দাবি করেন তিনি।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারী জানান, হামলার ঘটনায় অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ