বাংলাদেশি নায়িকাদের মধ্যে কারও সম্মানী ৩-৫ লাখ, কারও ১০-১৫ লাখ, কারও আবার ২৮ লাখও। ঢাকাই চলচ্চিত্রে নায়িকাদের পারিশ্রমিকে খুব একটা তফাত নেই। নতুনদের মধ্যে কারও পারিশ্রমিক মাত্র তিন লাখ টাকা হলেও দীর্ঘদিন কাজ করেও কেউ কেউ পাচ্ছেন বড়জোর পাঁচ থেকে ছয় বা সাত লাখ টাকা সম্মানী। আবার কেউ ৩ লাখ দিয়ে শুরু করে ১০ বছরে তা নিয়ে গেছে ২৮ লাখে। আবার একসময় কারও সম্মানীর অঙ্কটা ১৫ থেকে ২০ লাখের ঘরে থাকলেও এখন তা কমে এসেছে। তারকা, পরিচালক, প্রযোজকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে ঢালিউড নায়িকাদের ছবিপ্রতি পারিশ্রমিকের এ তথ্য জানা গেছে।

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, সংশ্লিষ্ট পরিচালক এবং তারকাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নায়িকাদের মধ্যে বর্তমানে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। ১০ বছর ধরে চলচ্চিত্রে কাজ করছেন আলোচিত এই চিত্রনায়িকা। সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির অভিনয়জীবনের শুরু নাটক দিয়ে। জীবনের প্রথম ধারাবাহিকে ইদ্রিস হায়দারের সেকেন্ড ইনিংস। এই নাটকে অভিনয় করেছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন, চম্পাসহ অনেকে। জীবনের প্রথম এই ধারাবাহিকে অভিনয়ের জন্য তিনি ২৬ হাজার টাকা সম্মানী পেয়েছিলেন।

পরীমনি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ