যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় মার্কিনরা উদ্বিগ্ন
Published: 13th, March 2025 GMT
ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমেই বেশি আশাবাদী হয়ে উঠছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে ব্যাপকভাবে উদ্বিগ্ন তাঁরা। নতুন এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
‘দ্য ২০২৪ ইন্ডিয়ান-আমেরিকান সার্ভে’ নামের এ জরিপ গত অক্টোবরে পরিচালনা করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিকবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ‘কার্নেগে এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস’ ও ইন্টারনেটভিত্তিক জরিপ প্রতিষ্ঠান ‘ইউগভ’। জরিপে ভারতীয়-মার্কিন নাগরিকদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।
ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ক্রমেই গভীর, কিন্তু মাঝেমধ্যে বাধাগ্রস্ত হওয়ার মধ্যেই গত বছর দেশ দুটিতে হয়ে গেল গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। উভয় দেশের সম্পর্কে সাম্প্রতিকতম উত্তেজনার শুরু ভারতীয় ধনকুবের ও ব্যবসায়ী গৌতম আদানিকে একটি ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের অভিযুক্ত করা এবং সে দেশের মাটিতে এক হত্যার ষড়যন্ত্রে দিল্লির সমর্থন থাকার অভিযোগ ওঠার মধ্য দিয়ে।
উভয় দেশের সম্পর্কে সাম্প্রতিকতম উত্তেজনার শুরু ভারতীয় ধনকুবের ও ব্যবসায়ী গৌতম আদানিকে একটি ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের অভিযুক্ত করা এবং সে দেশের মাটিতে এক হত্যার ষড়যন্ত্রে দিল্লির সমর্থন থাকার অভিযোগ ওঠার মধ্য দিয়ে।যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ৫০ লাখের বেশি ভারতীয় বংশোদ্ভূত অধিবাসীর উদ্দেশে জরিপে কয়েকটি মূল প্রশ্ন করা হয়। এগুলো হলো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারত-মার্কিন সম্পর্ক যেভাবে সামলেছেন, তা তাঁরা কীভাবে দেখেন? ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কি তাঁরা অধিকতর ভালো বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করেন? ২০২৪ সালের নির্বাচন-পরবর্তী ভারতের যাত্রাপথকে তাঁরা কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
জাতীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্বমূলক এ অনলাইন জরিপে ১ হাজার ২০৬ প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয়-মার্কিন নাগরিকের মতামত গ্রহণ করা হয়। এতে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে, তা হলো—
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ও খালিস্তান আন্দোলনের নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকা বিষয়ে ভারতের সাবেক একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ শতাংশ
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল বাবদ ৩২১ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-মার্চ) ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ২৫৭ কোটি ডলার। সেই হিসেবে এ বছর বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এমনকি চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে গত অর্থবছরের কাছাকাছি ঋণের সুদাসল পরিশোধ হয়ে গেছে।
বিদেশি ঋণ-অনুদান পরিস্থিতির ওপর গতকাল বুধবার প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বিদেশি ঋণ বাবদ পরিশোধের মধ্যে আসলের পরিমাণ ২০১ কোটি ডলার। সুদ বাবদ ১২০ কোটি ডলার পরিশোধ হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে ৬৪ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে।
ইআরডির একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আগ্রাসী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় পরিণাম চিন্তা না করে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হারের তারতম্য বাড়াসহ নানা কারণে এখন বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে দেশে মোট প্রায় ৪৮১ কোটি ডলার সমপরিমাণ বিদেশি ঋণ-অনুদান এসেছে। এ সময়ে ঋণের সুদাসল পরিশোধ করতে হয়েছে অর্থছাড়ের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের সমান। এদিকে গত জুলাই-মার্চ সময়ে ৩০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ, যা গতবারের একই সময়ে পাওয়া প্রতিশ্রুতির অর্ধেকের কম।
গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৭২৪ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল। জুলাই-মার্চ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১২২ কোটি ডলার ছাড় করেছে এডিবি। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক ১০৭ কোটি ডলার ও জাপান ৮৯ কোটি ডলার দিয়েছে।