নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নিপীড়িত নারী ও শিশুদের আইনী সহায়তা সেল গঠন
Published: 14th, March 2025 GMT
বিএনপির নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর নিপীড়িত নারী ও শিশুদের আইনী সহায়তা সেল গঠন করা হয়েছে। জেলা সেলে রয়েছেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ.এম আনোয়ার প্রধান ও এড. আছমা হোসেন বিথি এবং মহানগর সেলে রয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. হুমায়ন কবির ও এড. সামসুন নূর বাঁধন।
জানাগেছে, নিপীড়িত নারী ও শিশুদের আইনী ও স্বাস্থ্য সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে নিপীড়িত নারী ও শিশুদের আইনী ও স্বাস্থ্য সহায়তা এই সেল গঠন করেছে বিএনপি। দেশের ৮৪টি সাংগঠনিক জেলা ভিত্তিক এই সহায়তা সেল গঠন করা হয়েছে।
সেই মোতাবেক নারায়ণগঞ্জে জেলা ও মহানগর এলাকার জন্য পৃথক দুটি নিপীড়িত নারী ও শিশুদের আইনী সহায়তা সেল গঠন করা হয়েছে।
আর এই সেলের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা.
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ.এম আনোয়ার প্রধান সেলের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেলা ও মহানগর জুড়ে পৃথক পৃথক ভাবে দুটি নিপীড়িত নারী ও শিশুদের আইনী সহায়তা সেল গঠন করা হয়েছে।
যেসকল নারী ও শিশু নির্যাতনের মত ঘটনা ঘটতেছে সেই সকল ভোক্তভোগী সকলের উদ্দেশ্য আমার অনুরোধ রইলো আমাদের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার, হোয়াটসআপ, ম্যাসেঞ্জার সকল কিছু উন্মুক রয়েছে, সকল ঘটনার তথ্য আমাদের জানাবেন। আমাদের তথ্য গুলো জানালে আমরা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো।
সকল নাগরিকদের প্রতিও বিএনপির পক্ষ থেকে আমাদের আহ্বান থাকবে আপনারা যেখানেই নারী ও শিশু নির্যাতনের তথ্য পাবেন আমাদের জানাবেন আমরা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ও শ শ দ র আইন ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস