৫ বছরের জন্য উৎসে কর কমানোর দাবি বিজিএপিএমইএর
Published: 14th, March 2025 GMT
পাঁচ বছরের জন্য পণ্য রপ্তানিতে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও মোড়কপণ্য সরবরাহকারী কারখানামালিকদের সংগঠন বিজিএপিএমইএ। এ ছাড়া স্থানীয় বাজার থেকে কেনা কাঁচামালের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার, স্থায়ী বা অস্থায়ী আন্তঃ বন্ড স্থানান্তরের ব্যবস্থা, একসঙ্গে দুই বছরের জন্য আমদানিপ্রাপ্যতা প্রদানসহ কয়েকটি দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে বাস্তবায়নের জন্য এই দাবিগুলো জানায় বিজিএপিএমইএ। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রাক্–বাজেট আলোচনায় দাবিগুলো তুলে ধরেন বিজিএপিএমইএর সভাপতি মো.
বিজিএপিএমইএ বলছে, তৈরি পোশাক খাতের বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম এবং পোশাকসহ অন্য খাতের মোড়কপণ্য উৎপাদনে দেশ এখন স্বাবলম্বী। বর্তমানে কার্টন, পলিব্যাগ, হ্যাঙ্গার, বোতাম, লেবেল, জিপার, হ্যাংট্যাগ ও গাম টেপসহ পোশাক খাতের ৩০ থেকে ৩৫ ধরনের সরঞ্জাম এবং অন্যান্য খাতের মোড়ক তৈরি করে এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। বিজিএপিএমইএর সদস্যসংখ্যা প্রায় দেড় হাজার।
মো. শাহরিয়ার কাঁচামালের আমদানি প্রাপ্যতা একসঙ্গে দুই বছর দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, দুই বছরের জন্য আমদানি প্রাপ্যতা দেওয়া হলে সেবাদাতা ও গ্রহীতা উভয়ের সময়, শ্রম ও অর্থ সাশ্রয় হবে। বন্ডের আওতায় বিনা শুল্কে আমদানির সুযোগ থাকায় রাজস্বের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না। এ ছাড়া তিনি কন্টিনিউয়াস বন্ডের সুবিধা চান। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক খাতের মতো এ উপখাতের প্রতিষ্ঠানগুলোয় কন্টিনিউয়াস বন্ডের সুযোগ না থাকায় উৎপাদন কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। এতে রপ্তানি কমে যায়।
কোম্পানির সঞ্চয়ী ও স্থায়ী আমানতের মুনাফার ওপর উৎসে কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার দাবি জানান বিজিএপিএমইএর সভাপতি। তিনি বলেন, টাকার অবমূল্যায়ন ও ডলার–সংকটসহ বিভিন্ন কারণে তফসিলি ব্যাংকগুলোতে তারল্যসংকট রয়েছে। তারল্যসংকট দূরীকরণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঞ্চয়ী বিনিয়োগ ভালো ভূমিকা রাখে। তাই আমানতের মুনাফার ওপর উৎসে কর কমালে দেশের রপ্তানি বাড়বে।
পাঁচ বছরের জন্য উৎসে কর দশমিক ৫ শতাংশ করার দাবি জানানোর পেছনে মো. শাহরিয়ারের যুক্তি হলো, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে কোনো পণ্যে আর্থিক প্রণোদনা দিতে পারবে না। এরই মধ্যে প্রণোদনা কমাতে শুরু করেছে সরকার। প্রণোদনা হ্রাস বা বন্ধ হলে কিছু পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকতে পারবে না। সে জন্য উৎসে কর কমানো হলে রপ্তানি উৎসাহিত হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বছর র জন য আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
১৬ পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করল ভারত, বিবিসিকে কড়া বার্তা
কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর এবার পাকিস্তানের ১৬টি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এ তালিকায় ডন নিউজ, সামা টিভি, এআরওয়াই নিউজ ও জিও নিউজের মতো পাকিস্তানের শীর্ষ সংবাদমাধ্যমও রয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে ভারতীয় সেনা ও নিরাপত্তা সংস্থার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনামূলক ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমএইচএ) সুপারিশে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চ্যানেলগুলোর মোট অনুসারী ৬ কোটি ৩০ লাখের বেশি।
সূত্র জানায়, বন্ধ করে দেওয়া ইউটিউব চ্যানেলগুলো হলো ডন নিউজ টিভি, সামা টিভি, ইর্শাদ ভাট্টি, এআরওয়াই নিউজ, বোল নিউজ, রাফতার, দ্য পাকিস্তান রেফারেন্স, জিও নিউজ, সামা স্পোর্টস, জিএনএন, উজায়ের ক্রিকেট, উমর চিমা এক্সক্লুসিভ, আসমা শিরাজি, মুনীব ফারুক, সুনো নিউজ এইচডি ও রাজি নামা।
আরও পড়ুনপাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা১ ঘণ্টা আগেচ্যানেলগুলোয় ঢুকতে গেলে এখন ব্যবহারকারীরা দেখতে পাচ্ছেন,‘ এই কনটেন্ট এই দেশে আপাতত দেখা যাবে না। জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশের কারণে এটি সরানো হয়েছে। আরও বিস্তারিত জানতে গুগলের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট দেখুন।’
এ ছাড়া একটি সূত্র জানায়, বিবিসি ইন্ডিয়া তাদের এক প্রতিবেদনে হামলাকারীদের সন্ত্রাসী না বলে জঙ্গি (মিলিট্যান্ট) বলায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বিবিসির প্রধান জ্যাকি মার্টিনের কাছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) মাধ্যমে কড়া বার্তা পাঠিয়েছে। সূত্রের ভাষ্য, ‘নয়াদিল্লির উদ্বেগ বিবিসির কাছে পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে এবং এখন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্সপি বিভাগ বিবিসির রিপোর্টিং পর্যবেক্ষণ করবে।’
আরও পড়ুনপেহেলগাম নিয়ে ভারতের সংসদে বিশেষ অধিবেশনের দাবি বিরোধীদের১ ঘণ্টা আগেএকই ধরনের উদ্বেগ জানানো হয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকেও। সূত্রের দাবি, ভবিষ্যতেও যদি কোনো সংস্থা কাশ্মীর ইস্যুতে পরিস্থিতির গুরুত্ব কমিয়ে দেখায় বা তথ্যগত ভুল করে, তাহলে এমইএ তাদের সতর্ক করবে।
আরও পড়ুনপেহেলগামের ঘটনায় একের পর এক বাড়ি ধ্বংস, সরকারকে সতর্ক করল কাশ্মীরের দলগুলো৩ ঘণ্টা আগে