জামায়াত আমিরের সঙ্গে শিল্প মালিকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
Published: 15th, September 2025 GMT
দেশের শিল্প মালিকদের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বসুন্ধরাস্থ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে তারা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, ব্যবসা বাণিজ্যসহ দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দলটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ অ্যামপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, বিজিএমইএর পরিচালক সাইফুল্লাহ মানছুর, বিজিএমইএর ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেলের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ভুঁইয়া, জনসংযোগ ও প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদ কবির এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাতকালে বাংলাদেশের শিল্প বাণিজ্যের সম্ভাবনা, নতুন বিনিয়োগ ও তার পরিবেশ, সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ বিশেষ করে শ্রম আইন ২০২৫ নিয়ে আলোচনা হয়। শিল্প মালিকরা দেশের শিল্প কারখানায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ও সার্বিক সহযোগিতার জন্য সকল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
জবাবে জামায়াতের আমির দেশের শিল্প রক্ষা ও অর্থনীতিকে সচল রাখতে শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
এসময় জামায়াতের শিল্প-বাণিজ্য শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ডা.
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি-বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে ডিএসই-বিসিএমইএর বৈঠক
পুঁজিবাজার উন্নয়নের ধারাবাহিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমইএ)।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিসিএমইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তারা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির কাঠামো, প্রক্রিয়া এবং সম্ভাব্য সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে ডিএসইর প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুর রহমান বলেন, “ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তর যাত্রায় রয়েছে—যেখানে প্রতিষ্ঠানটি শুধু একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা নয়, বরং একটি আধুনিক, সেবা ও কাস্টমার-সেন্ট্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে।”
তিনি বলেন, “প্রাইমারি মার্কেট তথা আইপিও প্রক্রিয়ায় ডিএসই বৃহত্তর ডিজিটাল রূপান্তর আনছে। অতীতে যেখানে একটি আইপিও সম্পন্ন হতে দুই থেকে চার বছর সময় লাগত, এখন সেটি ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই নতুন আইপিও রুলস অনুমোদন পেতে যাচ্ছে, যা এক্সচেঞ্জকে আরো ক্ষমতায়ন করবে এবং পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।”
একটি সেন্ট্রাল ডিজিটাল সাবমিশন সিস্টেম চালুর কথা জানিয়ে আসাদুর রহমান বলেন, “ডিএসই একটি সেন্ট্রাল ডিজিটাল সাবমিশন সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নিয়েছে, যার মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো তাদের পিএসআই, শেয়ারহোল্ডিং ও ম্যানেজমেন্ট পরিবর্তনসহ সকল তথ্য এক জায়গায় জমা দিতে পারবে। দীর্ঘদিন নতুন কোম্পানি লিস্টিংয়ের ঘাটতির কারণে বাজারের সরবরাহ প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে পড়েছিল। এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে গুণগতমান সম্পন্ন নতুন কোম্পানি আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ডিএসই।”
পরে ডিএসই’র উপ-মহাব্যবস্থাপক সাঈদ মাহমুদ জুবায়ের এক প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের কাঠামোগত ওভারভিউ, ডিএসই’র প্রোডাক্ট সমূহ, ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের পুঁজিবাজার থেকে তহবিল সংগ্রহের প্রক্রিয়া, এটিবি ও অন্যান্য প্লাটফর্মে মালিকানা হস্তান্তরের তুলনা, তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া, বিভিন্ন ধরণের ইনভেস্টমেন্ট অপশন, তালিকাভুক্তির সুবিধা এবং পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের জন্য চলমান উদ্যোগ সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমইএ) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মামুনুর রশিদ বলেন, “পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও শিল্পখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ একটি রূপান্তর যাত্রায় রয়েছে। এই যাত্রার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি একটি রেগুলেটরি সংস্থার পাশাপাশি নিজেকে আরো সার্ভিস ও কাস্টমার-সেন্ট্রিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।”
তিনি ডিএসই’র এই উদ্যোগকে সময়োপযোগী ও ইতিবাচক বলে অভিহিত করে বলেন, “ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসে লিস্টিং প্রক্রিয়া, টাইমলাইন ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে মতবিনিময় করা একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ, যা বাজারের প্রতি আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।”
মামুনুর রশিদ বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতি বিগত পাঁচ দশকে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও ইকুইটি ফাইন্যান্সিং এখনো খুবই সীমিত। বর্তমানে শিল্প বিনিয়োগের প্রায় ৯৮ শতাংশই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হয়, যা টেকসই পুঁজিবাজার গঠনে একটি বড় বাধা।”
এসময় তিনি আইপিও প্রক্রিয়া সহজীকরণ, লিস্টিংয়ের নিয়ম ও কাগজপত্রের চেকলিস্ট সংক্ষিপ্ত করা এবং কর ও ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত নীতিমালা আরো বিনিয়োগবান্ধব করার উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন।
বৈঠকে বক্তারা কর্পোরেট গভর্নেন্স চর্চা জোরদার, কমপ্লায়েন্স কস্ট হ্রাস, ইস্যু ম্যানেজারদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে বিদেশে রোডশো আয়োজনের পরামর্শ দেন।
তাদের মতে, এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে পুঁজিবাজারে মানসম্মত কোম্পানির লিস্টিং বাড়বে, বাজারে আস্থা পুনঃস্থাপিত হবে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও ত্বরান্বিত হবে।
বৈঠকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সিরামিক কোম্পানির সিএফও এবং কোম্পানি সেক্রেটারিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এনটি/ইভা