আম্বানি পরিবারের ক্যাবিনেটে ১২ নম্বর ট্রফি, ফ্র্যাঞ্চাইজি দুনিয়ায় কার কত ট্রফি
Published: 16th, March 2025 GMT
আম্বানি পরিবারের ট্রফি ক্যাবিনেটে যুক্ত হলো আরও একটি ট্রফি। কাল মেয়েদের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ডব্লুপিএলের শিরোপা জিতেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। এটি নিয়ে আম্বানি পরিবারের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের ট্রফি দাঁড়াল ১২টিতে।
আম্বানি পরিবারের রিলায়েন্স গ্রুপ ক্রিকেটে বিনিয়োগ করেছে ইন্ডিয়াউইন স্পোর্টস লিমিটেড কোম্পানির মাধ্যমে। এই কোম্পানি ভারতের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আফ্রিকার লিগে দল কিনেছে।
এসব লিগেও দারুণ সফল তাদের দলগুলো। সে কারণেই তাদের শিরোপাসংখ্যা ১২। আর কোনো দল শিরোপা জেতার তালিকায় মুম্বাইয়ের ধারেকাছেও নেই।
আইপিএলে মুম্বাইয়ের সমান ৫টি শিরোপা আছে চেন্নাই সুপার কিংসের। চেন্নাই ফ্র্যাঞ্চাইজির মোট শিরোপা ৭টি, শিরোপা জয়ের তালিকায় তৃতীয় সর্বোচ্চ। তাদেরও দক্ষিণ আফ্রিকার এসএটোয়েন্টি ও যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটে দল আছে। তবে সেখানে এখনো শিরোপার স্বাদ পায়নি সুপার কিংসরা।
আইপিএলের বাইরে তারা দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টিতে। বিভিন্ন দেশের লিগের শীর্ষ দলগুলো নিয়ে হওয়া এই টুর্নামেন্ট সর্বশেষ হয়েছে ২০১৪ সালে।
৮টি শিরোপা নিয়ে তালিকার দুইয়ে থাকা দলটির নাম কলকাতা নাইট রাইডার্স। এসএটোয়েন্টি ও মেজর লিগ ক্রিকেটের বাইরে সিপিএলে দল আছে নাইট রাইডার্স ফ্র্যাঞ্চাইজির।
ক্যারিবিয়ান লিগে আইপিএলের চেয়েও সফল নাইট রাইডার্সরা। ২০১৫, ২০১৭, ২০১৮, ২০২০ ও ২০২২—এই ৫ মৌসুমে সিপিএলের শিরোপা জিতেছে দলটি। এর মধ্যে ২০২২ সালের শিরোপাটি ছিল মেয়েদের। আর আইপিএলে সর্বশেষ আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগে দলটি শিরোপা জেতে ২০১২ ও ২০১৪ সালে।
তালিকায় এর পরে থাকবে ৫টি করে শিরোপা জেতা বিগ ব্যাশের ফ্র্যাঞ্চাইজি পার্থ স্করচার্স ও সুপার স্ম্যাশের অকল্যান্ড এইসেস। ৪টি করে শিরোপা আছে বিপিএলের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস, লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের জাফনা ও সুপার স্ম্যাশের সেন্ট্রাল স্টেজ ফ্র্যাঞ্চাইজির।
এই সব দলের চেয়ে মুম্বাই ফ্র্যাঞ্চাইজি একটা জায়গায় আলাদা। মুম্বাই ১২টি শিরোপা জিতেছে তাদের খেলা সর্বশেষ ১২টি ফাইনালে। মানে টানা ১২টি ফাইনালে হারের স্বাদ পায়নি দলটি। ফাইনাল জিততে জানে বলেই দলটির ট্রফি ক্যাবিনেটরে এত এত ট্রফি!
আইপিএলে দলটির কাছে আছে সর্বোচ্চ ৫টি শিরোপা। চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টিতে আছে ২টি। মেয়েদের আইপিএলে আছে আরও ২টি। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস নামে দলটির শিরোপা এই ৯টি।
এর বাইরে তাদের শিরোপা আছে মুম্বাই নিউইয়র্ক (এমএলসি ২০২৩), মুম্বাই এমিরাটস (আইএলটি২০ ২০২৪), মুম্বাই কেপটাউনের (এসএ২০) হয়ে।
অথচ আম্বানি পরিবারকে প্রথম শিরোপার স্বাদ পেতে ৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ২০০৮ সালে আইপিএল দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও মুম্বাই ইন্ডিয়ানস প্রথম ট্রফির দেখা পেয়েছিল ২০১১ সালে, চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টি দিয়ে। দলটি ফাইনাল হারের একমাত্র স্বাদ পায় ২০১০ সালে, আইপিএল ফাইনালে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ র য ঞ চ ইজ পর ব র র আম ব ন ফ ইন ল ইন ড য় প এল র দলট র
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’
ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী।
গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”
আরো পড়ুন:
কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী
পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি
কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”
কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”
ঢাকা/শান্ত