অলকার গানের ভক্ত লাদেন, শিল্পী কী বললেন?
Published: 18th, March 2025 GMT
বলিউডের জনপ্রিয় প্লেব্যাক গায়িকা অলকা ইয়াগনিক। তার গায়কির প্রেমে পড়েননি এমন শ্রোতা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। মজার ব্যাপার হলো— অলকার গানের ভক্ত ছিলেন আল–কায়েদার প্রয়াত নেতা ওসামা বিন লাদেন।
২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে গোপনে অভিযান চালিয়ে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ কমান্ডো বাহিনী নেভি সিলের সদস্যরা। লাদেনের বাড়ি থেকে জব্ধ কম্পিউটারে ভারতের কয়েকজন জনপ্রিয় গায়িকার গান পাওয়া যায়। এ তালিকায় রয়েছেন— উদিত নারায়ণ, কুমার শানু ও অলকা ইয়াগনিক।
তারপরই খবর চাউর হয়, ওসামা বিন লাদেন অলকা ইয়াগনিকের বড় ভক্ত ছিলেন। তার কম্পিউটারে অলকার ১০০টিরও বেশি গানের রেকর্ডিং ছিল। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলন অলকা।
আরো পড়ুন:
কেন প্রেমে পড়লেন গৌরি-আমির?
আমিরের গোপন প্রেম কেউ কেন টের পায়নি?
ছয় বছর আগে প্রযোজক অনু রঞ্জনকে সাক্ষাৎকার দেন অলকা ইয়াগনিক। এই আলাপচারিতায় ওসামা বিন লাদেনের ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলেন অলকা। পুরোনো সেই সাক্ষাৎকারের ভিডিও ক্লিপ নতুন করে ভাইরাল হয়েছে।
প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অলকা ইয়াগনিক বলেন, “এটা কি আমার দোষ? ওসামা বিন লাদেন যাই করুক না কেন, তার ভেতরে শিল্পী সত্ত্বা থাকতে পারে। আমার গানগুলো হয়তো তার ভালো লেগেছে।”
এ আলাপচারিতায় ভারতীয় সংগীতাঙ্গনের রাজনীতি নিয়েও কথা বলেন অলকা। এ তারকা শিল্পী বলেন, “প্রত্যেকটি কাজের মাঝে রাজনীতি বিদ্যমান। আমার কাছ থেকে অনেক গান কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমার সমসাময়িক একজন আমার সঙ্গে খুব নোংরা রাজনীতি করেছেন। আমি একটি গানের মহড়া করেছিলাম। পরে জানতে পারি সিনিয়র একজন গানটি গেয়েছেন।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভয় দেখাতে হামলা, নির্দেশদাতা এখনো পলাতক
চট্টগ্রাম নগরে কাস্টমসের দুই কর্মকর্তার প্রাইভেট কার থামিয়ে হামলার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে নগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে বান্দরবান থেকে কাজী মো. ইমন হোসেন (২৩) ও মো. সুজন (২৪)–কে গ্রেপ্তার করে ডিবি (পশ্চিম)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, এক ব্যক্তির নির্দেশে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে এ হামলা চালান। সেই নির্দেশদাতা এখনো পলাতক।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (গণমাধ্যম) আমিনুর রশীদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, হামলার সময় ওই ব্যক্তির মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়। কাস্টমস কর্মকর্তাকে ভয় দেখানোই ছিল হামলার লক্ষ্য। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
৪ ডিসেম্বর সকালে নগরের ডবলমুরিং থানার সিডিএ আবাসিক এলাকায় কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বদরুল আরেফিন ভাড়ায় নেওয়া প্রাইভেট কারে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে তিন ব্যক্তি তাঁদের গাড়ি থামিয়ে চাপাতি দিয়ে গাড়ির কাচে কোপ দেন। গাড়ির কাচ ভাঙার পাশাপাশি হামলাকারীরা একজন আরেকজনকে বলতে থাকেন, ‘গুলি কর, গুলি কর’। তবে দুই কর্মকর্তা দ্রুত গাড়ি সরিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসেন।
কাস্টমস কর্মকর্তাদের ধারণা, সম্প্রতি বিভিন্ন অনিয়ম, রাজস্ব জালিয়াতি ও নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি আটকে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে জড়িত চক্র হামলা চালাতে পারে। কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যমানের নিষিদ্ধ পপি বীজ ও ঘন চিনি, প্রায় ৩০ কোটি টাকার নিষিদ্ধ সিগারেট এবং মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা বিপুল পরিমাণ প্রসাধনী জব্দ করা হয়েছে। এসব অভিযানে দুজন কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন। প্রসাধনী জব্দের পর মো. আসাদুজ্জামানকে ফোনে হুমকিও দেওয়া হয়।
হামলার নির্দেশদাতার পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে তারা। তবে হামলায় ওই ব্যক্তির ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. তারেক মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, নিষিদ্ধ পপি বীজ, ঘন চিনি ও মিথ্যা ঘোষণায় আসা প্রসাধনী জব্দের কারণে একটি সিন্ডিকেট ক্ষুব্ধ। গত দুই মাসে এসব সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকেই বিভিন্ন নম্বর থেকে হুমকি আসছে।
আরও পড়ুনগাড়ি থামিয়ে কাচে চাপাতির কোপ, একজন বলতে থাকেন, ‘গুলি কর, গুলি কর’০৪ ডিসেম্বর ২০২৫