থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র কেনাবেচায় পুলিশ কনস্টেবল, যেভাবে পড়লেন ধরা
Published: 21st, March 2025 GMT
থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র বেচাকেনায় জড়িত অভিযোগে মো. রিয়াদ নামের এক পুলিশ কনস্টেবলসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিরা হলেন আবদুল গণি, আবু বক্কর, ফরহাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. ইসহাক। তাঁরা কনস্টেবল রিয়াদের সহযোগী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার নগরের পতেঙ্গা থানার কাঠগড় ও বাকলিয়া এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও সাতটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। কনস্টেবল রিয়াদ চাঁদপুর জেলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে আদালতে হাজির করা হয় গ্রেপ্তার ছয় আসামিকে। তাঁদের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল রিয়াদ, আবু বক্কর ও মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে অস্ত্র কেনাবেচায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি দুই আসামি আবদুল গণি ও ফরহাদ হোসেনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত। আরেক আসামি ইসহাক জবানবন্দি না দেওয়ায় তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, পতেঙ্গা থানা-পুলিশ অস্ত্র, গুলিসহ গ্রেপ্তার ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করে। তাঁদের মধ্যে তিনজন জবানবন্দি দেন। বাকি দুজনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম রাতে প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র পুলিশের। জেলার লোহাগাড়া থানা থেকে এগুলো গত আগস্টে লুট হয়েছিল। বিস্তারিত তদন্তে বের করা হবে।
উদ্ধার হওয়া পিস্তল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কারাগারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কেরাণীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজনের (৪৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
রবিবার (১৫ জুন ) দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার বলেন, “কারাগারের একটি কক্ষে তিনজন বন্দি থাকতেন। তাদের মধ্যে একজন আদালতে হাজিরা দিতে যান। অন্য একজন ঘুমিয়ে ছিলেন। সেই সুযোগে সাইদুর রহমান সুজন নিজে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।”
আরো পড়ুন:
মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
হবিগঞ্জে বৃদ্ধের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
তিনি আরো বলেন, “বিষয়টি জানতে পেরে প্রথমে তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
কারাগার সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় আলোচিত ছিলেন সাইদুর রহমান সুজন। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইন ও আইসিটিসহ অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাইদুর রহমান সুজন আত্মগোপনে ছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে উত্তরার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন।
ঢাকা/শিপন/মাসুদ