হিজবুত তাহরীরের সাত সদস্য রিমান্ডে
Published: 22nd, March 2025 GMT
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় মিছিল করে জনজীবনে ত্রাস সৃষ্টি ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সন্ত্রাস বিরোধ আইনের মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সাত সদস্যের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (২২ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট এম. এ. আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে পাঠানো আসামিরা হলেন: মো.
ধানমন্ডি মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মো. বাশার রিমান্ড বিষয়ে রাইজিংবিডি ডটকমকে তথ্য দিয়েছেন।
এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ইনভেস্টিগেশন বিভাগের (সিটিটিসি) উপ-পরিদর্শক মো. শাহীনুর রহমান ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এরআগে শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় মিছিল শেষে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ধানমন্ডির বায়তুল আমান জামে মসজিদের সামনে পাকা রাস্তার ওপর আসামরিা ছাড়াও নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের ব্যানারে প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ জন ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে ঝটিকা মিছিল বের করেন। তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এসময় পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তারা মিরপুর রোড হয়ে মিছিল নিয়ে ধানমন্ডি ক্লাব মাঠের দিকে অগ্রসর হন। মিছিলের সময় হিযবুত তাহরীর সদস্যরা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে, খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে এবং অন্তবর্তীন সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। এর ফলে রাস্তায় তীব্র যানজট এবং পথচারীদের মধ্যে ব্যাপক ভীতির সঞ্চার হয়। মিছিল ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করলে তারা অতর্কিতে পুলিশের ওপর হামলা চালান।
ঢাকা/মামুন/রাসেল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদবৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’