বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে ফেসবুকে পোস্ট, শিল্পীদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি
Published: 16th, August 2025 GMT
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে ১৫ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় শিল্পীদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ে ‘ফ্যাসিস্টবিরোধী ছাত্রজনতা’ এর ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
আজ বিকেলে ব্যানারে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে পতন হওয়া শেখ হাসিনার ছবিসহ আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সাবেক মন্ত্রী, মেয়র ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতার ছবি ছিল। ব্যানারে আরও ছিল জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, সংস্কৃতিজগতের শম্পা রেজা, শাকিব খান, চঞ্চল চৌধুরী, জয়া আহসান, রাহুল আনন্দ, মেহের আফরোজ শাওন, আব্দুন নূর তুষার, সাজু খাদেম, কচি খন্দকার, শরাফ আহমেদ জীবন, আর্টসেলের জর্জ লিংকন ডি কস্টা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল হাসান মামুন, সাংবাদিক জ ই মামুন ও সাহেদ আলমের ছবি।
কর্মসূচির আয়োজকদের একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম নগরের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরমান শাহরিয়ার প্রথম আলোকে জানান, স্বাধীনতাসংগ্রামে শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা অস্বীকার করেন না। কিন্তু তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীকে ঘিরে আওয়ামীপন্থী কালচারাল গোষ্ঠীর লোকজন ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। তাঁরা এর মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিজমকে ‘নরমাইলাইজ’ করছেন। এই কালচারাল ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী কয়েক দিন পর পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে। তাঁদের এই কার্যক্রমে ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জুতা নিক্ষেপের কর্মসূচি পালন করেছেন। গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের ছাত্র-জনতা এতে অংশ নিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা জানিয়েছেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায়ের পর প্রকাশিত পাঁচ পৃষ্ঠার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিস্ক্রিয় করে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের একটি পন্থা হচ্ছে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া।”
আরো পড়ুন:
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: প্রধান কৌঁসুলি
এই রায়ে কষ্ট পেয়েছি: শেখ হাসিনার আইনজীবী
ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা এর আগে এ বিচার প্রক্রিয়াকে ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
তিনি বলেন, “এমন একটি ট্রাইব্যুনাল যেখানে ন্যায্যভাবে অভিযোগ যাচাই ও পরীক্ষা করা হয়, সেখানে অভিযোগকারীদের মুখোমুখি হতে আমি ভয় পাই না।”
তিনি আরো যোগ করেন, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, এই অভিযোগগুলো হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিয়ে যেতে।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, তিনি তার মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংক্রান্ত রেকর্ড নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। ৪৫৩ পৃষ্ঠার এই রায়ে ছয়টি অংশ রয়েছে।
রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত। দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একটি অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী) হওয়ায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি অনলাইন
ঢাকা/রফিক