‘আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি দলের জন্য নিবন্ধন চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনকারীর নাম উজ্জ্বল রায়। নতুন এই দলটির প্রতীক চাওয়া হয়েছে নৌকা অথবা ইলিশ। আর আবেদনে সংগঠনটির অফিসের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ইসির অতিরিক্ত সচিব কে. এম. আলী নেওয়াজ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে এর বিধিমালা বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে, আওয়ামী লীগ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করা উজ্জ্বল নিজেকে সংগঠনের সভাপতি দাবি করেন। আবেদনে বলা হয়, দলটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে ২৪ মার্চ ২০২৫। এই দলের কমিটির মেয়াদ ২০ এপ্রিল শেষ হবে। তবে কোন বছরের ২০ এপ্রিল, তা উল্লেখ নেই। এমনকি কোনো দলীয় তহবিলের জন্য ব্যাংকের নাম ও ঠিকানাও বর্ণনা করা নেই। ব্যাংক হিসাব না দিলেও দলটি পরিচালনায় ‘ব্যক্তিগত তহবিল’ লেখা হয়। 

আবেদনপত্রে আরো বলা আছে, উজ্জ্বল রায় দিনাজপুর-৫ আসন থেকে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে, সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-৫ থেকে বাংলাদেশ আ.

লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার নির্বাচিত হয়েছিলেন বলে জানা যায়।

ঢাকা/সুকান্ত/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ