আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের সাড়ে ৫ একর বনভূমি
Published: 27th, March 2025 GMT
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের দুই এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে সাড়ে ৫ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী টহল ফাঁড়ির টেপারবিল এলাকার দেড় একর এবং ধানসাগর টহল ফাঁড়ির তেইশের ছিলা-শাপলার বিল এলাকার ৪ দশমিক শূন্য ৫ একর বনভূমি রয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে এখন কোনো আগুন নেই; সম্পূর্ণ নির্বাপণ হয়ে গেছে। তার পরও অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য জোয়ারের সময় পানি ছিটানো হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবারও পর্যবেক্ষণ করা হবে। তার পর ‘ফায়ার আউট’ ঘোষণা করা হবে।
নুরুল করিম আরও বলেন, পরপর দুটি এলাকায় আগুন লাগার কারণে আমাদের কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। আমরা দুটি স্থান ড্রোন ও জিপিএসের মাধ্যমে মনিটর করেছি। আপাতত সাড়ে ৫ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জিপিএসের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়েছে। এ ছাড়া দুটি ঘটনায় আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। তখন ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
গত শনিবার সুন্দরবনের কলমতেজী বন টহল ফাঁড়ির টেপারবিলে আগুন লাগে। রাতভর চেষ্টায় রোববার সকালে সেই আগুন নেভাতে সক্ষম হয় বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস। সুপ্ত আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী খুঁজতে বন বিভাগ ড্রোন ব্যবহার করে। তখন কলমতেজী এলাকা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তেইশের ছিলা-শাপলার বিলে আগুনের অস্তিত্ব দেখতে পায় বন বিভাগ। সেই আগুনে সুন্দরবন পুড়েছে ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময়। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলের দিকে বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন দরবন আগ ন ৫ একর বনভ ম স ন দরবন বন ব ভ গ
এছাড়াও পড়ুন:
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা
অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সদ্যসমাপ্ত ২০২৩-২৫ আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দীর্ঘ ২৭ বছরের ট্রফি খরা কাটিয়ে বিশ্বমঞ্চে ফিরেছে প্রোটিয়ারা। সেই চক্র শেষ হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে নতুন মিশন।
আগামী ১৭ জুন গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেই শুরু করবে ২০২৫-২০২৭ চক্র। নতুন এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ছয়টি সিরিজ খেলবে প্রতিটি দল। তিনটি ঘরের মাঠে, তিনটি বিদেশে। বাংলাদেশ খেলবে সর্বমোট ১২টি টেস্ট ম্যাচ, যা এই চক্রে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।
দেশ ছাড়ার আগে এই নতুন চক্র নিয়ে আশাবাদী ছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এই চক্রে অন্তত তিন কিংবা চার নম্বরে থাকতে চাই।’
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শুরু থেকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল ওঠানামার। প্রথম দুই চক্রে (২০১৯-২১ ও ২০২১-২৩) একটি করে ম্যাচ জিতেছিল টাইগাররা। তবে ২০২৩-২৫ চক্রে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। ১২ ম্যাচে ৪টি জয়, তার মধ্যে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ জয়ের স্মরণীয় কীর্তিও আছে। তিন চক্র মিলিয়ে বাংলাদেশের মোট জয় এখন ৫, ড্র ২ এবং হার ২৪ ম্যাচে।
আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন দল। ২৫ জুন কলম্বোয় শুরু দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এটিই প্রথম সিরিজ।
নতুন চক্রে ২০২৫ সালে বাংলাদেশ একটি সিরিজই খেলবে। আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন দল। ২৫ জুন কলম্বোয় শুরু দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। ২০২৬ এর মার্চে ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে আতিথেয়তা দিবে বাংলাদেশ। অক্টোবরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে সিরিজ ও ২০২৭ এর ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।