ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ভারতীয় বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি যেমন শাসন করেছেন, তেমনি বলিউডেও নিজের মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। অভিনয় গুণে মিঠুন কুড়িয়েছেন যশ-খ্যাতি।

চুয়াত্তরের মিঠুন এখনো অভিনয়ে সরব। গত কয়েক বছর ধরে কেবল বাংলা সিনেমায়ই অভিনয় করছেন বরেণ্য এই তারকা। এ বয়সে কত টাকা পারিশ্রমিক নেন মিঠুন? ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ‘ডিসকো ড্যান্সার’খ্যাত এই অভিনেতা।

ভারতীয় বাংলা ও বলিউড সিনেমার বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাজেট প্রসঙ্গ টানেন মিঠুন চক্রবর্তী। এ অভিনেতা বলেন, “বাংলা সিনেমার বাজেট তো উঠতেই পারল না। আমিই এক কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা) পারিশ্রমিক নিই। তার বেশি উঠতেই পারল না। তা হলে আর উন্নতি কোন দিক থেকে হবে?”

আরো পড়ুন:

যে হোটেলে রুম সার্ভিসের কাজ করতেন, সেই হোটেলে অতিথি বোমান ইরানি

আলিয়ার সঙ্গে কেন রোমান্স করতে চান না ইমরান হাশমি?

খানিকটা ব্যাখ্যা করে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “যে অর্থ ব্যয়ে মাত্র ১৪ বা ১৫ দিন শুটিং করে একটি সিনেমা তৈরি হচ্ছে, সেই অঙ্ক আর একটু বাড়িয়ে, যত্ন নিয়ে সিনেমা তৈরি করলেই যেকোনো সিনেমা সফল হতে বাধ্য। তবে শুধু বাজেট বাড়ালেই সিনেমা হিট হবে এমনটাও নয়। বলিউডেরও দুর্দিন। সিনেমা মুক্তির জন্য একটা বিশেষ দিনের অপেক্ষা করতে হয়।”

বাজেটের পাশাপাশি ভালো গল্পের প্রতি জোর দিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “বাঙালি বরাবরই পারিবারিক গল্পের সিনেমা দেখতে ভালোবাসেন। যেখানে একটা নিটোল গল্প থাকবে। সূক্ষ্ম অনুভূতিতে কৌতুকরস মিশবে। এই উপাদান সঠিক পরিমাণে মেশাতে পারলেই সিনেমা দেখতে দর্শক প্রেক্ষাগৃহে আসবেন।”

মিঠুন অভিনীত পরবর্তী সিনেমা ‘শ্রীমান ভার্সেস শ্রীমতি’। পথিকৃত বসু নির্মিত এই সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে মিঠুন চক্রবর্তী, অঞ্জনা বসু এবং অঞ্জন দত্তকে। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরমব্রত চ্যাটার্জি, মধুমিতা সরকার, সত্যম ভট্টাচার্য, রোশনি ভট্টাচার্যসহ একঝাঁক তারকা। পয়লা বৈশাখে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

পর্দার নাম মিঠুন চক্রবর্তী। তার প্রকৃত নাম গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী। ১৯৫০ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশের বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। একসময় নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে যান মিঠুন। সেখান থেকে ফিরে অভিনয়ে মনোযোগী হন। মিঠুনকে চলচ্চিত্রে আনেন পরিচালক মৃণাল সেন। মিঠুনের অভিষেক সিনেমা ‘মৃগয়া’। এটি মুক্তি পায় ১৯৭৬ সালে। অভিষেক সিনেমার জন্যই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন মিঠুন।

সহকারী হিসেবে বলিউডে পা রাখেন মিঠুন। সালমান খানের মা হেলেনের অ্যাসিসট্যান্ট ছিলেন তিনি। এক বছরে সবচেয়ে বেশি সিনেমা মুক্তির রেকর্ডও মিঠুনের। ১৯৮৯ সালে তার ১৯টি সিনেমা মুক্তি পায়। বাঙালি  মিঠুন অভিনয় করেছেন হিন্দি, পাঞ্জাবি, ওড়িয়া, ভোজপুরি, তামিল, তেলেগু, কন্নড় ভাষার সিনেমাও।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আবার ‘লাস্ট মিনিট শো’, জন্মদিনের রাতে স্লটকে জয় উপহার ফন ডাইকের

লিভারপুল ৩–২ আতলেতিকো মাদ্রিদ

জন্মদিনের রাতে এর চেয়ে ভালো উপহার আর কী হতে পারে!

রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতেই মাঠে ঢুকে পড়লেন আর্নে স্লট। লিভারপুলের সমর্থকেরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে থাকলেন, দল জেতায় অভিনন্দনও জানালেন। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে হাত নেড়ে স্লট সেই অভিবাদনের জবাব দিলেন।   

ভার্জিল ফন ডাইকের সঙ্গে আলিঙ্গনের সময় স্লটকে একটু বেশিই খুশি মনে হলো। কারণ, লিভারপুল অধিনায়ক ফন ডাইক ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত না হলে তাঁর বিশেষ রাতটা যে অনেকটাই পানসে হয়ে যেত!

২০২৫–২৬ মৌসুমে শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোল করাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছে লিভারপুল। যেটিকে বলা হচ্ছে লাস্ট মিনিট শো, কয়েকটি সংবাদমাধ্যম নাম দিয়েছে স্লট টাইম।

এবার সেই শো–এর নায়ক ফন ডাইক। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে তাঁর হেডারেই আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ড্রয়ের পথে থাকা ম্যাচটা ৩–২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে শুভসূচনা করল লিভারপুল।

এ নিয়ে এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল লিভারপুল। সবকটি ম্যাচে অলরেডরা জয়সূচক গোল করল ৮০ মিনিটের পর; এর তিনটিই যোগ করা সময়ে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ