ময়মনসিংহে কখন কোথায় ঈদুল ফিতরের নামাজ
Published: 30th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহে ঈদুল ফিতরের জামাতের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন জেলার ১৩টি উপজেলায় ঈদুল ফিতরের জামাতের সময় নির্ধারণ করে বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে অনুলিপি পাঠিয়েছেন।
ময়মনসিংহ নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়, একই মাঠে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। এতে ইমামতি করবেন হাফেজ মুফতী আব্দুল্লাল আল মামুন।
বড় মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়, মাদানীনূর মার্কাজ মসজিদ মাঠে ঈদের জামাত হবে সকাল ৭টায়, বলাশপুর ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত হবে। চরশশা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
মুক্তাগাছা বড় মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়, ফুলবাড়িয়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ঈদের নামাজ হবে সকাল ৯টায়, ত্রিশাল পৌরসভা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়, ভালুকা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়, গফরগাঁও উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ঈদের নামাজ হবে সকাল ১০টায়;
গৌরীপুর সরকারি কলেজ মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ১০মিনিটে, ঈশ্বরগঞ্জ পৌর ঈদগাহ মাঠে নামাজ হবে সকাল ৯টায়, নান্দাইল উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ঈদের নামাজ হবে সকাল ১০টায়, তারাকান্দা ঈদগাহ মাঠে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৯টায়;
হালুয়াঘাট কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৯টায় এবং ধোবাউড়া দর্শা ঈদগাহ মাঠে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক মো.
ঢাকা/মিলন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ন দ র য় ঈদগ হ ম ঠ ঈদ র ন ম জ ন ম জ হব ইসল ম ক উপজ ল মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের মুক্তমঞ্চ ভেঙে দিল প্রশাসন
ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত জয়নুল উদ্যানে অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের মুক্ত মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে মঞ্চটি ভেঙে ফেলা হয়। অভিযান চলাকালে পার্শ্ববর্তী একটি পার্কেরও একাধিক স্থপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
মুক্তমঞ্চ ভেঙ্গে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ময়মনসিংহের কবি সাহিত্যিকরা। তারা জানান, পার্কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে প্রশাসন একটি ভুল কাজ করল। প্রায় ৪০ বছর ধরে এ স্থানটিতে সাহিত্য সংসদের ব্যবস্থাপনায় কবি সাহিত্যকদের আলোচনা ও মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সচিব সুমনা আল মজিদ বলেন, “কাগজপত্রে সাহিত্য সংসদ বলতে সেখানে কিছু নেই। অবৈধভাবে কোনো জায়গা দখল করলে তো হবে না। সাহিত্য সংসদ আমাদের কাছে আবেদন করলে আমরা অন্য জায়গায় ব্যবস্থা করে দেব। ওই এলাকাটি মাদকের আখড়া হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা প্রশাসন ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন যৌথভাবে জয়নুল উদ্যানের ভেতরে ও বাইরের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসক মো. মুফিদুল আলম নিজে উপস্থিত হয়ে অভিযান তদারকি করেন। অভিযানকালে পার্কের ভেতরের কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এরপর অভিযান চলে পার্কের পূর্ব অংশে। সেখানে সড়কের পাশে সাহিত্য সংসদের একটি পাকা উন্মুক্ত মঞ্চ ছিল। যা ‘বীক্ষণ’ মঞ্চ নামেও পরিচিত। এ মঞ্চটি বুলডেজার দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
মঞ্চটি ভেঙে ফেলার খবর পেয়ে ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান।
লেখক আবুল কালাম আজাদ জানান, পুরো ঘটনাটি দুঃখজনক। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানান। তিনি দায়ীদের শাস্তিও দাবি করেন।
কবি ও সাহিত্যিক ইয়াজদানী কোরায়শী কাজল বলেন, “পার্কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে প্রশাসন একটি ভুল কাজ করল।”
সমাজকর্মী ওহিদুর রহমান ফেসবুকে লেখেন, “যেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলেছেন দেশ বরেণ্য বুদ্বিজীবীরা, জ্ঞানী গুণীরা ৪০ বছরের সেই ইতিহাস মুছে ফেলার আগে ভেবে দেখা উচিত ছিল।”
এ বিষয়ে জানতে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মো. মুফিদুল আলমকে ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
ঢাকা/মিলন/মাসুদ