রাজশাহীতে ঈদে কোনো নাশকতার শঙ্কা নেই: র্যাব
Published: 30th, March 2025 GMT
রাজশাহীতে ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে কোনো ধরনের নাশকতার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন র্যাব-৫ এর রাজশাহীর উপ-অধিনায়ক মেজর আসিফ আল-রাজেক।   
রবিবার (৩০ মার্চ) হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারের বিষয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মেজর আসিফ আল-রাজেক বলেন, “র্যাব অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি রাজশাহী মহানগরী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল জেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রমজানজুড়ে আমাদের টহল কার্যক্রম ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে র্যাব ডগ স্কোয়াড ও মাইন ডিটেক্টর দিয়ে সুইপিং তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বিশেষ টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি ঈদের ছুটি শেষ হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে। ঈদ উদযাপনে আগত জনসাধারণ নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে ও ছুটি শেষে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরতে পারে— সেটি নিশ্চিত করতে কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। জনসাধারণের নিরাপদ ও উৎসবমুখর ঈদ উদযাপনের জন্য আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মেজর আসিফ আল-রাজেক বলেন, ‘‘আপনারা দেখেছেন, ডগ স্কোয়াড ও মাইন ডিটেক্টর দিয়ে সুইপিং টিম তল্লাশি চালিয়েছে। রাজশাহীতে ঈদে কোনো ধরনের নাশকতার সন্দেহ নেই। ঈদের দিনও আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও বিশেষ টহল অব্যাহত থাকবে। রাজশাহী মহানগরীর হাইওয়েগুলো দিয়ে আন্তঃজেলা বাস চলাচল করে, সেগুলোর নিরাপত্তার জন্য বিশেষ চেকপোস্ট ও টহল টিম মোতায়েন থাকবে।’’
এসময় র্যাব সদস্যদের পাশাপাশি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, রাজশাহীতে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহ মখদুম (রহ.                
      
				
ঢাকা/কেয়া/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার
প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা।
কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।
মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ।
এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা।
কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে।
কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক