রাজশাহীতে ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে কোনো ধরনের নাশকতার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর উপ-অধিনায়ক মেজর আসিফ আল-রাজেক। 

রবিবার (৩০ মার্চ) হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে র‍্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারের বিষয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মেজর আসিফ আল-রাজেক বলেন, “র‍্যাব অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি রাজশাহী মহানগরী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল জেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রমজানজুড়ে আমাদের টহল কার্যক্রম ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে র‍্যাব ডগ স্কোয়াড ও মাইন ডিটেক্টর দিয়ে সুইপিং তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘বিশেষ টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি ঈদের ছুটি শেষ হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে। ঈদ উদযাপনে আগত জনসাধারণ নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে ও ছুটি শেষে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরতে পারে— সেটি নিশ্চিত করতে কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। জনসাধারণের নিরাপদ ও উৎসবমুখর ঈদ উদযাপনের জন্য আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মেজর আসিফ আল-রাজেক বলেন, ‘‘আপনারা দেখেছেন, ডগ স্কোয়াড ও মাইন ডিটেক্টর দিয়ে সুইপিং টিম তল্লাশি চালিয়েছে। রাজশাহীতে ঈদে কোনো ধরনের নাশকতার সন্দেহ নেই। ঈদের দিনও আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও বিশেষ টহল অব্যাহত থাকবে। রাজশাহী মহানগরীর হাইওয়েগুলো দিয়ে আন্তঃজেলা বাস চলাচল করে, সেগুলোর নিরাপত্তার জন্য বিশেষ চেকপোস্ট ও টহল টিম মোতায়েন থাকবে।’’

এসময় র‍্যাব সদস্যদের পাশাপাশি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, রাজশাহীতে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহ মখদুম (রহ.

) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল হলে একই সময়ে জামাত স্থানান্তরিত হবে হযরত শাহ মখদুম (রহ.) দরগা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে।

ঢাকা/কেয়া/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ।

আগামী ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট এই কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনে থাকছে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বিপ্লবী নাটক, গান, কবিতা, আলোচনা সভা ও বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী। কর্মসূচির সূচনা হবে ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৫টায় প্রতীকী সাইকেল র‌্যালির মাধ্যমে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে গণভবন পর্যন্ত যাবে।

আরো পড়ুন:

মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি

তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন

সকাল ৯টায় টিএসসিতে থাকবে সাধারণ নাস্তার আয়োজন। এর পরপরই প্রদর্শিত হবে ‘জুলাই বিপ্লব’ ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র। একইসঙ্গে বিপ্লবী গান ও কবিতা পরিবেশিত হবে । সকাল ১০টা থেকে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের মুখে অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা শোনার আয়োজন থাকবে।

দুপুর ২টায় একটি মাইম পরিবেশনা ও নাটক মঞ্চস্থ হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা ও সাড়ে ৫টায় পরপর আরো দুটি নাটক প্রদর্শিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘প্ল্যানচ্যাট বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি প্রতীকী বিতর্ক, যেখানে গণআন্দোলনে নিহতদের উত্তরাধিকার ও আত্মিক উপস্থিতিকে ঘিরে আলাপ-প্রতিআলাপের একটি রূপক পরিসর গড়ে উঠবে ।

৬ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির শুরুতেই থাকবে রাজনৈতিক ও দার্শনিক আলোচনা সভা। সকাল ১০টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের ১ বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন’ বিষয়ে আলোচনা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ইসলাম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময়ের মাধ্যমে পর্দা নামবে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির।

কর্মসূচির তৃতীয় দিন ৭ আগস্ট দিনব্যাপী চলবে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। সেখানে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ ও গণআন্দোলন সংশ্লিষ্ট নানা দলিল, ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করা হবে।

সার্বিক বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণজাগরণ ও ছাত্র প্রতিরোধ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। সেই ঘটনার স্মরণে এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথরেখা নির্ধারণের প্রয়াসে ঢাবির টিএসসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা আয়োজন করতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।”

তিনি বলেন, “এ আয়োজন হবে শিল্প, সংস্কৃতি, স্মৃতি ও রাজনৈতিক ভাবনার এক সংমিশ্রণ। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের অভিজ্ঞতা আমাদের অনুপ্রেরণা। আর সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা সেই প্রতিরোধ চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফতুল্লায় যুবদল নেতা শাহিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া  
  • শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জেলা আইনজীবী ফোরামের পদযাত্রা
  • রাবি উপাচার্যের চেয়ার টেনে পদ্মায় ফেলার আহ্বান ছাত্রদল সভাপতির
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
  • গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি