হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় তানভীর চৌধুরী (৩৫) নামে এক ছেলে মাদক সেবনের টাকার জন্য মাকে কুপিয়ে আহত করেছে।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১০টার দিকে তাকে আটক করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।  আহত মা রাহেনা বেগম (৬০) কে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

আটক তানভীর নবীগঞ্জ উপজেলার শান্তিপাড়া গ্রামের জুনেদ চৌধুরীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, মাদকসেবী ছেলে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বাড়ি ফিরে দেখেন তার মা রাহেনা বেগম ভাত খাচ্ছেন। এ সময় মাদক সেবনের জন্য টাকা চাইলে তিনি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে বাগ-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তানভীর ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাকে ঘরে থাকা দা দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন ওই নারীকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকরা।

এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ রাত ১০টার দিকে গ্রাম থেকে তানভীরকে আটক করেছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

কামাল হোসেন বলেন, “এ ঘটনায় মামলা দায়ের হবে এবং তানভীরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হবে।”

ঢাকা/মামুন/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সুমামগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় জমি নিয়ে পুরানো বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নজরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন জালাল হোসেন নামে একজন। তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন চিকিৎসক।

রবিবার (১৫ জুন) সকালে উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের জামলাবাজ গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আকরাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত নজরুল ইসলাম জামলাবাজ গ্রামের কান্দারহাটি গ্রামের হাশিম উল্লাহর ছেলে। 

আরো পড়ুন:

দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নজরুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিবেশী মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে তাজ উদ্দিনের বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধী চলছিল। ১০ দিন আগে নজরুল ইসলামের ঘরের পাশে তাজ উদ্দিন গর্ত খুঁড়ে বালু ভর্তি বস্তা ফেলেন।

নজরুল ইসলামের মা আফতাজা বিবি বাধা দিয়ে জানান, এখানে বালুর বস্তা দিলে তাদের ঘরে পানি ঢুকবে। এ কথার জেরে আফতাজা বিবিকে মারধর করেন তাজ উদ্দিন। 

এ ঘটনার পর আফতাজা বিবি গ্রামবাসীর কাছে বিচার দাবি করেন। এরপর থেকে তাজ উদ্দিন একাধিকবার বাড়িতে এসে মারধরের জন্য নজরুল ইসলামকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু আফতাজা বিবি ছেলেকে ঘর থেকে বের হতে দেননি। 

আজ রবিবার সকাল ফের তাজ উদ্দিন নজরুল ইসলামের বাড়িতে যান এবং ডাকাডাকি শুরু করেন। ঘর থেকে বের হলেই নজরুল ইসলাম ও জালাল হোসেনের ওপর হামলা করেন তিনি। এতে নজরুল ইসলাম ও জালাল হোসেন গুরুত্বর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক নজরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। জালাল হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক।

শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আকরাম হোসেন জানান, নিহত নজরুল ইসলামের সঙ্গে অভিযুক্ত তাজ উদ্দিনের পূর্ব বিরোধ ছিল। আজ সকালে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। এসময় দুইজন আহত হন। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন।

ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুমামগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত