রূপগঞ্জে রেস্টুরেন্টের সাইনবোর্ডে ইজরায়েলী ব্র্যান্ড কোকাকোলার নাম থাকায় ইট-পাথর নিক্ষেপ ও গ্লাস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভুলতা-গাউসিয়া এলাকায় পানসি রেস্টুরেন্ট ও ফাস্টফুড এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার বিকালে ফিলিস্তিনের মুসলিম নগরী গাজার উপত্যকায় রাফা শহরের মুসলিমদের উপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন, গণআন্দোলন ও প্রতিবাদ সভা করেছে রূপগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষজন। এসময় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সামাজিক সংগঠন, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণীর হাজার হাজার মানুষ আন্দোলনে অংশ নেয়।

প্রতিবাদ সভা শেষে ভুলতা গোলচত্তর থেকে মিছিল নিয়ে গোলাকান্দাইল স্ট্যান্ড প্রদক্ষিণ করে ফিরে আসার পথে তাঁত বাজার এলাকায় ওই রেস্টুরেন্টের সাইনবোর্ডে কোকাকোলার নাম দেখে ক্ষুদ্ধ হয় আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা এলোপাতাড়ি ইট ও পাথর নিক্ষেপ করে রেস্টুরেন্টের গ্লাস ভাংচুর করে।

পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের সদস্য, সেচ্ছাসেবী ও ইসলামিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন এবং রেস্টুরেন্টের সাইনবোর্ড থেকে কোকাকোলার নাম সরিয়ে ফেলার আহ্বান জানান। পরে বিভিন্ন দোকান ও রেস্টুরেন্টে ঘুড়ে ঘুড়ে ইসরায়েলী পন্য বিক্রিতে নিরুৎসাহিত করে তৌহিদী জনতা।

সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের কোথাও ইসরায়েলী পন্য বিক্রয়, বিপনন কিংবা ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।  ইসরায়েলী পন্য বয়কটের পাশাপাশি তাদের সাথে সকল প্রকার ব্যবসায়িক চুক্তি বা সম্পর্ক বাতিল করার আহ্বান জানান বক্তারা।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র স ট র ন ট র স ইনব র ড ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

গোপালগঞ্জে ৬ যানবাহনের সংঘর্ষ, পুলিশ সদস্যসহ নিহত ২

গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুরে ছয়টি যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। 

আজ রোববার (১৫ জুন) রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুরে চারটি বাস, একটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের এটিএসআই রফিকুজ্জামান এবং খুলনার সোনাডাঙা থানার দেবেনবাবু রোডের আব্দুল হামিদ ব্যাপারীর ছেলে ও আরমান পরিবহনের হেলপার সেলিম হোসেন ব্যাপারী।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী আরমান পরিবহনের একটি বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি ট্রাককে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যাত্রীদের উদ্ধারকালে সেখানে আরো তিনটি বাস ও একটি প্রাইভেটকারের সাথে সংঘর্ষ হয়। 

রাত আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ছয়টি বাসের সিরিজ সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের এটিএসআই রফিকুজ্জামান ও আরমান পরিবহনের হেলপার সেলিম হোসেন ব্যাপারী নিহত হন। 

খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। 

পরে দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনগুলো সরিয়ে নিলে দুই ঘণ্টা পর ঢাকা খুলনা মহাসড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান।

ঢাকা/বাদল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ