গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ ডিআরইউর
Published: 8th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। পাশাপাশি জাতিসংঘ ও ওআইসিসহ সারা বিশ্বের সকল মানুষকে ইসরায়েলের এই গণহত্যা বন্ধের জন্য সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, “ইসরায়েলের এই আগ্রাসন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিশ্বের অসংখ্য দেশ, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও ইসরায়েলের এই নৃশংস হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে। ইসরায়েলকে এই হামলা বন্ধ করতে হবে। সেজন্য মুসলিম দেশসহ বিশ্বের সকল মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।”
ডিআরইউ ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হত্যা ও হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে।
জাতিসংঘ ও ওআইসিকে এই গণহত্যার বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “জাতিসংঘ ও ওআইসি আসলে কী করছে? তারা যদি ফিলিস্তিনের পেছনে দাঁড়িয়ে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতো তাহলে হাজার হাজার মানুষকে প্রাণ দিতে হতো না।”
রবিবার (৬ এপ্রিল) রাতে অনুষ্ঠিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ৭ম কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এই নিন্দা প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। সভায় সহ-সভাপতি গাযী আনোয়ার এর পরিচালনায় ইসরাইলী হামলায় নিহতদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
ঢাকা/এএএম/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল গণহত য
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে কারা গণহত্যা চালাচ্ছে, আরব আমিরাতের ভূমিকা কী
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সুদান এক ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মধ্যে পড়ে। ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিতে দেশটির সামরিক বাহিনী এবং শক্তিশালী আধা সামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে শুরু হওয়া তীব্র লড়াই থেকে এই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয় এবং সেখানে গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার অভিযোগও ওঠে।
সম্প্রতি আরএসএফ এল-ফাশের শহরটি দখল করার পর এর বাসিন্দাদের নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত সারা দেশে দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। জাতিসংঘ এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকট বলে অভিহিত করেছে।
পাল্টাপাল্টি অভ্যুত্থান ও সংঘাতের শুরু১৯৮৯ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই দফায় দফায় যে উত্তেজনা চলছিল, তার সর্বশেষ পরিস্থিতি হচ্ছে বর্তমান গৃহযুদ্ধ।
বশিরের প্রায় তিন দশকের শাসনের অবসানের দাবিতে বিশাল জনবিক্ষোভ হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় সেনাবাহিনী। কিন্তু দেশটির মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে একটি যৌথ সামরিক-বেসামরিক সরকার গঠিত হয়। কিন্তু ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে আরও একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারটিকে উৎখাত করা হয়। এই অভ্যুত্থানের কেন্দ্রে ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ও দেশটির কার্যত প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তাঁর ডেপুটি ও আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো।
এই দুই জেনারেল দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ ও বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়া নিয়ে প্রস্তাবিত পদক্ষেপে একমত হতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে মূল বিরোধের বিষয় ছিল প্রায় এক লাখ সদস্যের আরএসএফ-কে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা এবং নতুন এই যৌথ বাহিনীর নেতৃত্ব নিয়ে। ধারণা করা হয়, দুজন জেনারেলই তাঁদের ক্ষমতা, সম্পদ ও প্রভাব ধরে রাখতে চেয়েছিলেন।
আরএসএফ সদস্যদের দেশের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হলে সেনাবাহিনী বিষয়টিকে নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। সেই লড়াই দ্রুত তীব্র আকার ধারণ করে এবং আরএসএফ খার্তুমের বেশির ভাগ অংশ দখল করে নেয়। যদিও প্রায় দুই বছর পর সেনাবাহিনী খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়।
জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান (বামে) এবং আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো (ডানে)