এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিনে দেশজুড়ে ২২ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে; আর অনুপস্থিত ছিলেন ২৬ হাজার ৯২৮ জন। এ বছরের প্রথম পরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে এসব তথ্য দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।

এদিন এসএসসিতে বাংলা প্রথম পত্র, দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ পরীক্ষা এবং এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে বাংলা-২ বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদিন এসএসসি, দাখিল এবং এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষায় ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৭৮ জন পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও অংশ নেন ১৭ লাখ ৮৫০ জন। বাকি ২৬ হাজার ৯২৮ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। দেশজুড়ে ৩ হাজার ৭১৫টি পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে ৩ হাজার ৭০৬টির তথ্য দিয়েছে কমিটি।

আরো পড়ুন:

সংস্কার প্রস্তাবনার ওপর মতামত জানাল ইসলামী আন্দোলন

মানুষ বলছে, আপনাদেরকে আরো ৫ বছর দেখতে চাই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

বাংলা প্রথম পত্রে বহিষ্কার ১০

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নয়টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসির বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা হয় ২ হাজার ২৯১টি কেন্দ্রে। এরমধ্যে ২ হাজার ২৮২টি কেন্দ্রের তথ্য তুলে ধরে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি বলেছে, এ পরীক্ষায় ১০ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে ময়মনসিংহ বোর্ডে ৩ জন, ঢাকা ও বরিশাল বোর্ডে ২ জন করে এবং কুমিল্লা, যশোর ও সিলেট বোর্ডে ১ জন করে বহিষ্কার হয়েছেন।

নয়টি সাধারণ বোর্ডের বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬৩০ জন পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও অংশ নেন ১৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৯২ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ১৪ হাজার ৭৩৮ জন।

এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডের ৪৩৮টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৪৯৬ জন, রাজশাহী বোর্ডের ২৬৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৬২২ জন, কুমিল্লা বোর্ডের ২৭৩টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৫৫৩ জন, যশোর বোর্ডের ২৯৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৮০০ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডের ২১৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১৭৩ জন, সিলেট বোর্ডের ১৫৪টি কেন্দ্রে ৮৭৮ জন, বরিশাল বোর্ডের ১৯৪টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৩৩ জন, দিনাজপুর বোর্ডের ২৮০টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৩৪১ জন এবং ময়মনসিংহ বোর্ডের ১৫৬টি কেন্দ্রে ৮৪২ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।

কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ পরীক্ষায় বহিষ্কার ১০

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিলের কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ পরীক্ষায় ১০ জন বহিষ্কৃত হওয়ার খবর দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৭২৫টি কেন্দ্রে ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২ জনের এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও অংশ নেন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৮৯ জন। ৯ হাজার ৬২৩ জন অনুপস্থিত ছিলেন।

ভোকেশনালে অনুপস্থিত ২ হাজার ৫৬৭ জন

এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালের প্রথম দিনে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৬৯৯টি কেন্দ্রে বাংলা-২ বিষয়ে ১ লাখ ৩১ হাজার ২৩৬ জনের পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও বসেছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৬৬৯ জন। ২ হাজার ৫৬৭ জন অনুপস্থিত ছিলেন এবং ২ জন পরীক্ষার্থী বহিষ্কৃত হয়েছেন।

চলতি বছর নিয়মিত-অনিয়মিতসহ এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা আছে মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থীর।

নয়টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় বসার কথা ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জনের এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষায় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করেছিলেন।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ য় ১ র পর ক ষ র প রথম থ কল ও

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহে সাহিত্য আড্ডার স্থানসহ নানা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

ময়মনসিংহ ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথ অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন। এ সময় সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসরের সাহিত্য আড্ডার স্থাপনাসহ পার্কের ভেতরে এবং বাইরে গড়ে উঠা ভ্রাম্যমাণ দোকান, বিজয়ী পিঠা বাড়িসহ সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। আজ বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠ সংলগ্ন জয়নুল উদ্যান পার্কে এই অভিযান চালানো হয়। 

এ অভিযানের এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম নিজে উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম তদারকি করেন। এ সময় পার্কের সৌন্দর্য রক্ষা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান নগরবাসী। তবে এ উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষোভ ও অসেন্তাষ প্রকাশ করেছেন কবি সাহিত্যিকরা। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে এই স্থানটিতে দেশের খ্যাতনামা এবং নবীণ কবি সাহিত্যকদের নিয়ে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার বসে সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসর নামে সাহিত্য আড্ডা। এতে কবিতা পাঠের পাশাপাশি শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে চলে আলোচনা ও মতবিনিময়।

স্থানীয়রা জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ফলে পার্কটি তার স্বরূপ ফিরে পাবে। এতে আমার মত অন্য দর্শনার্থীরা প্রকৃতির নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতে পারবে।  

নতুন বাজার এলাকার শাহজাহান কবির বলেন, একাধিকবার পার্কেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও প্রভাবশালী মহলের মদদে ফের তৈরি হয় অবৈধ স্থাপনা। কিন্তু দর্শনার্থীরা চায় পার্কের নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশ। তবে এ উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষোভ ও অসেন্তাষ প্রকাশ করেছেন কবি সাহিত্যিকরা। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে এই স্থানটিতে দেশের খ্যাতনামা এবং নবীণ কবি সাহিত্যকদের নিয়ে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার বসে সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসর নামে সাহিত্য আড্ডা। এতে কবিতা পাঠের পাশাপাশি শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে চলে আলোচনা ও মতবিনিময়। 

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সচিব সুমনা আল মজীদ বলেন, মূলত জেলা প্রশাসনের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য জয়নুল উদ্যোনের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি এবং প্রকৃতির নির্মল পরিবেশ গড়ে তোলা। তাছাড়া পার্কের বেশ কয়েকটি স্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে অসামসাজিক কার্যকলাপ চলার অভিযোগে অভিযান চালানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২৩৮ বছরে কী পেল আর কী পেল না ময়মনসিংহ জেলা
  • হাড়ভাঙা পরিশ্রমে পুরুষের অর্ধেকের কম বেতন নারীর
  • ময়মনসিংহে সাহিত্য আড্ডার স্থানসহ নানা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
  • নবীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ফলাফল বিপর্যয়ের নেপথ্যে.........
  • নবীগঞ্জ গার্লস স্কুলে এডহক কমিটি নিয়ে বিতর্ক
  • গাইবান্ধায় বাবা-মাকে মারধর করে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ, অভিযুক্ত আটক
  • দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ৮ শিক্ষককে অব্যাহতি
  • এসএসসি পরীক্ষা-২০২৫: ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ে বেশি নম্বর পাওয়ার টিপস
  • কোস্টগার্ডে রাজস্ব খাতে নিয়োগ, ২৭ পদে আবেদন শুধু অনলাইনে
  • পরীক্ষার দিন বাদ দিয়ে নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ