পুলিশে ২০০০ কনস্টেবল নিয়োগ, কোন জেলায় কত শূন্য পদ
Published: 13th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ৬৪ জেলা থেকে ২ হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেওয়া হবে। বাংলাদেশ পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জেলাভিত্তিক শূন্য পদ অনুসারে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী নেওয়া হবে ঢাকা জেলা থেকে—১৬৭ জন। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চট্টগ্রাম জেলা থেকে ১০৬ জনকে নেওয়া হবে।
এ ছাড়া গাজীপুর জেলায় নেওয়া হবে ৪৭ জন, মানিকগঞ্জে ১৯, মুন্সিগঞ্জে ২০, নারায়ণগঞ্জে ৪১, নরসিংদীতে ৩১, ফরিদপুরে ২৭, গোপালগঞ্জে ১৬, মাদারীপুরে ১৬, রাজবাড়ীতে ১৫, শরীয়তপুরে ১৬, কিশোরগঞ্জে ৪১, টাঙ্গাইলে ৫০, ময়মনসিংহে ৭১, জামালপুরে ৩২, নেত্রকোনায় ৩১, শেরপুরে ১৯, বান্দরবানে ৫, কক্সবাজারে ৩২ জন।
আরও পড়ুনজীবন বীমা করপোরেশনে বড় নিয়োগ, নেবে ৫৪০ জন১৮ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় নেওয়া হবে ৩৯ জন, চাঁদপুরে ৩৪, কুমিল্লায় ৭৫, খাগড়াছড়িতে ৯, ফেনীতে ২০, লক্ষ্মীপুরে ২৪, নোয়াখালীতে ৪৩, রাঙামাটিতে ৮, রাজশাহীতে ৩৬, জয়পুরহাটে ১৩, পাবনায় ৩৫, সিরাজগঞ্জে ৪৩, নওগাঁয় ৩৬, নাটোরে ২৪, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৩, বগুড়ায় ৪৭, রংপুরে ৪০, দিনাজপুরে ৪২, গাইবান্ধায় ৩৩, কুড়িগ্রামে ২৯, লালমনিরহাটে ১৭, নীলফামারীতে ২৫, পঞ্চগড়ে ১৪, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৯, খুলনায় ৩২, যশোরে ৩৮, ঝিনাইদহে ২৫, মাগুরায় ১৩, নড়াইলে ১০, বাগেরহাটে ২০, সাতক্ষীরায় ২৮, চুয়াডাঙ্গায় ১৬, কুষ্টিয়ায় ২৭, মেহেরপুরে ৯, বরিশালে ৩২, ভোলায় ২৫, ঝালকাঠিতে ৯, পিরোজপুরে ১৫, বরগুনায় ১২, পটুয়াখালীতে ২১, সিলেটে ৪৮, মৌলভীবাজারে ২৭, সুনামগঞ্জে ৩৪ ও হবিগঞ্জে ২৯ জন কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হবে।
এই দুই হাজার কনস্টেবল নিয়োগে আবেদন শেষ হয়েছে গত ১৮ মার্চ। আবেদন শেষে বিভিন্ন জেলার প্রার্থীদের শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই, শারীরিক সহনশীলতা পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা এবং মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি জেলায় শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও শারীরিক সহনশীলতা পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধিমালায় থাকছে না নারী ও পোষ্য কোটা১১ এপ্রিল ২০২৫যেসব জেলায় পরীক্ষা বাকি আছে সেগুলোর সময়সূচি—
নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কক্সবাজার, মেহেরপুর, নাটোর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, শেরপুর, ভোলা, বরগুনা, ময়মনসিংহ গাজীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ও বান্দরবান জেলার প্রার্থীদের শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও শারীরিক সহনশীলতা পরীক্ষা ১৬, ১৭ ও ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এই জেলার প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে ১৩ মে এবং মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে ২২ মে।
নোয়াখালী, বাগেরহাট, যশোর, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, মৌলভীবাজার, নরসিংদী, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া, মাগুরা, পাবনা, রংপুর, পিরোজপুর ও বরিশাল জেলার প্রার্থীদের শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও শারীরিক সহনশীলতা পরীক্ষা ১৯, ২০ ও ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এই জেলার প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে ২০ মে এবং মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে ২৯ মে।
আবেদনকারী প্রার্থীদের এসব তারিখ অনুসরণ করে নির্ধারিত সময়ে নিজ নিজ জেলার পুলিশ লাইনস মাঠে উপস্থিত থাকতে হবে।
আরও পড়ুনআইপিসিসি বৃত্তি, ৫ থেকে ১৫ পৃষ্ঠার গবেষণাপ্রস্তাবে বছরে মিলবে ১৫০০০ ইউরো২২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক গজপত র য চ ই পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
২৫ বছর পর রিয়ালে ব্যালন ডি’অরজয়ী কেউ রইলেন না
ক্লাব বিশ্বকাপ খেলেই চলতি মাসে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে এসি মিলানে যোগ দিয়েছেন লুকা মদরিচ। ক্রোয়াট কিংবদন্তির প্রস্থানে শূন্য হয়েছে রিয়াল–সমর্থকদের হৃদয় থেকে ক্লাবটির ড্রেসিংরুম। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়ালের ট্রফি কেবিনেটে ২৮টি শিরোপায় ঘাম জমে আছে মদরিচের। তাঁর ব্যক্তিগত ট্রফি কেবিনেটও হয়েছে সমৃদ্ধ। রিয়ালে থাকতেই ২০১৮ সালে জিতেছেন ব্যালন ডি’অর। মদরিচের প্রস্থানের সঙ্গে রিয়ালেও ব্যালন ডি’অরজয়ী আর কেউ রইলেন না।
আরও পড়ুনসেই কলম্বিয়ার কাছে হেরেই কোপার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় আর্জেন্টিনার১ ঘণ্টা আগেচলতি শতাব্দীর প্রথম চতুর্থাংশে, অর্থাৎ গত ২৫ বছরে এমন কিছু কখনো দেখা যায়নি। আরেকটু ভেঙে বলা যায়, গত ২৫ বছরে রিয়ালের স্কোয়াডে এমন অন্তত একজন খেলোয়াড় ছিলেন যিনি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। মদরিচের চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে আড়াই দশক পর ব্যালন ডি’অরজয়ী খেলোয়াড়শূন্য হয়ে পড়েছে মাদ্রিদের ক্লাবটি। গত ২৫ বছরে ৮ জন ব্যালন ডি’অরজয়ী খেলোয়াড়কে ড্রেসিংরুমে পেয়েছে রিয়াল।
বর্ষসেরার ব্যক্তিগত পুরস্কার ব্যালন ডি’অর দেওয়া শুরু হয় ১৯৫৬ সালে। সেবার জেতেন ব্ল্যাকপুলের ইংরেজ কিংবদন্তি স্ট্যানলি ম্যাথুজ। পরের তিনটি বছরেই এই ট্রফি উঠেছে রিয়ালের ঘরে। ১৯৫৭ ও ১৯৫৯ সালে জেতেন কিংবদন্তি আলফ্রেদো ডি স্টেফানো এবং তার মাঝখানে ১৯৫৮ সালে জেতেন ফরাসি কিংবদন্তি রেমন্ড কোপা।
অবিশ্বাস্য ব্যাপার, এরপর চার দশকের বেশি সময় রিয়ালে ব্যালন ডি’অর জয়ী কাউকে দেখা যায়নি। ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ ২০০০ সালে ক্লাবটির সভাপতি হওয়ার পর ‘গ্যালাকটিকোস’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে দলে ভেড়ান বিশ্বসেরা খেলোয়াড়দের। সেই পথ ধরেই ২০০০ সালের জুলাইয়ে রিয়ালে নাম লেখান পর্তুগিজ কিংবদন্তি লুইস ফিগো। সে বছরের ১৯ ডিসেম্বর ব্যালন ডি’অর জেতেন ফিগো এবং শুরু হয় রিয়ালের ২৫ বছরের ধারা—যেখানে ড্রেসিংরুমে অন্তত একজন ব্যালন ডি’অরজয়ী খেলোয়াড়কে দেখা গেছেই।
আরও পড়ুনগার্দিওলার এ কোন চেহারা, ভাবনায় ফেললেন ভবিষ্যৎ নিয়েও১২ ঘণ্টা আগেফিগো যোগ দেওয়ার পরের বছর রিয়ালে নাম লেখান জিনেদিন জিদান। ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জেতায় সে বছরই ব্যালন ডি’অর জেতেন ফরাসি কিংবদন্তি। ২০০২ সালে যোগ দেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিও। ১৯৯৭ সালে ব্যালন ডি’অর জেতার পাশাপাশি ২০০২ সালে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতানোয় সে বছরও বর্ষসেরার এ ট্রফি জেতেন রোনালদো।
২০০৪-০৫ মৌসুমে রিয়ালে ব্যালন ডি’অরজয়ী খেলোয়াড় ছিলেন চারজন—ফিগো, জিদান, রোনালদো ও মাইকেল ওয়েন। ফিগো ও ওয়েন ২০০৫ সালে রিয়াল ছাড়েন, রোনালদো ২০০৭ সালে। এর মধ্যেই অবশ্য ব্যালন ডি’অরজয়ী আরেকজনকে দলে ভেড়ায় রিয়াল। ২০০৬ সালে উড়িয়ে আনা হয় ইতালির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ফাবিও কানাভারোকে। সে বছরই ব্যালন ডি’অর জেতেন কানাভারো। রোনালদোর প্রস্থানের পর প্রায় আড়াই বছর রিয়ালের স্কোয়াডে একমাত্র ব্যালন ডি’অরজয়ী হিসেবে দিন কেটেছে কানাভারোর।
কানাভারো রিয়াল ছাড়েন ২০০৯ সালে। সে বছরই ক্লাবটিতে যোগ দেন ২০০৭ সালে ব্যালন ডি’অরজয়ী কাকা ও ২০০৮ সালে জয়ী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২০২২ সালে ব্যালন ডি’অরজয়ী করিম বেনজেমাও রিয়ালে নাম লেখান সে বছর (২০০৯)।
রোনালদো এরপর ২০১৩, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে জেতেন ব্যালন ডি’অর। ২০১৮ সালের মে মাসে রোনালদো রিয়াল ছাড়েন। এরপর মাত্র কয়েক মাস ব্যালন ডি’অরজয়ী খেলোয়াড়শূন্য ছিল রিয়াল। শূন্যতাটা ঘুচে যায় সে বছরই ৩ ডিসেম্বর মদরিচ ব্যালন ডি’অর জেতায়। এরপর বেনজেমা ব্যালন ডি’অর জিতলেও ২০২৩ সালে তিনিও রিয়াল ছাড়েন। থেকে গিয়েছিলেন শুধু মদরিচ। তাঁর প্রস্থানের মধ্য দিয়ে রিয়ালে এখন ব্যালন ডি’অর জয়ী কেউ রইলেন না।
তবে ইঙ্গিত আছে জয়ের। গত বছর ব্যালন ডি’অর জয়ে রদ্রির সঙ্গে পেরে ওঠেননি রিয়ালের উইঙ্গার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। দ্বিতীয় স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ব্রাজিলিয়ান তারকাকে। যদিও চলতি বছর ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়ে রিয়ালের খেলোয়াড়েরা বেশ পিছিয়ে। কিন্তু নতুন কোচ জাবি আলোনসোর অধীন নিশ্চয়ই এ খরা ঘুচিয়ে ফেলবে রিয়াল—সমর্থকেরা সে আশায় বুক বাঁধতেই পারেন।