কানাডায় প্লাটিনাম অ্যাওয়ার্ড পেলেন রিয়েলটর মাহবুব ওসমানী
Published: 14th, April 2025 GMT
রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় অবদানের জন্য কানাডায় প্লাটিনাম অ্যাওয়ার্ড পেলেন মাহবুব ওসমানী। সম্প্রতি টরন্টোর ডনমিলস রোড ও এগ্লিংটন এভিনিউ ইস্ট সংলগ্ন পার্কভিউ মেনোর বাঙ্কুয়েট হলে আয়োজিত রাইট এট হোম রিয়েলটি ব্রোকারেজের ডন মিলস শাখার কর্তাব্যক্তিরা আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।
এ সময় মাহবুব ওসমানীকে অভিনন্দন জানান ব্রোকারেজের প্রেসিডেন্ট জন লুসিঙ্ক, ম্যানেজিং ব্রোকার ইমরান জাইদি এবং এসিট্যান্ট ব্রাঞ্চ ম্যানেজার লরা মুরিয়েল।
অ্যাওয়ার্ড পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ওসমানী বলেন, ‘এই অ্যাওয়ার্ডের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমার ক্রেতা, বিক্রেতা, শুভাকাঙ্ক্ষী সকলেরই। তাদের প্রতি আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। বাড়ি কেনা-বেচার মত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দায়িত্ব তারা আমাকে দিয়েছেন। আমার প্রতি তাদের অগাধ বিশ্বাস ছাড়া এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন করা সম্ভব ছিল না’। সার্বিক সহযোগিতার জন্য ওসমানী তার বাবা-মা, স্ত্রী, পরিবার-স্বজনদেরও ধন্যবাদ জানান।
কানাডার বাংলাদেশিদের মধ্যে রিয়েলটর হিসেবে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন মাহবুব ওসমানী। রিয়েল এস্টেটের পাশাপাশি বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা সামাজিক, সাংগঠনিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও অত্যন্ত সক্রিয় তিনি।
ওসমানী টরন্টো থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় রিয়েল এস্টেট নিয়ে নিয়মিত গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ লেখেন। এছাড়াও টরন্টোর প্রথম ২৪ ঘণ্টার টিভি চ্যানেল এনআরবি টিভিতে 'প্রপার্টি গাই' নামে রিয়েল এস্টেট বিষয়ক তথ্যমূলক একটি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তিনি। ২০১৬ সালে অভিবাসী হয়ে কানাডায় পাড়ি জমিয়েছিলেন ওসমানী।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র য় ল এস ট ট
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।