বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মিউচুয়াল ফান্ড বিধান লঙ্ঘন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড। এছাড়া, বোনাস শেয়ার বিক্রি থেকে অর্জিত মুনাফাকে সঠিকভাবে আর্থিক হিসাবে দেখায়নি ফান্ডটির অ্যাসেট ম্যানেজার। এ ফান্ডের সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক হিসাবে এমন অডিট আপত্তি জানিয়েছে নিরীক্ষক।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মিউচুয়াল ফান্ড রুলস-২০০১ এর ৫৬ ধারা অনুযায়ী, যে কোনো ফান্ড থেকে মোট সম্পদের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ কোনো একটি খাতে বিনিয়োগ করা যাবে বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক। কিন্তু, সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৩০.

১০ শতাংশ বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ড বিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছে, এ ফান্ড ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইউনিলিভার কনজুমারের ৬ হাজার বোনাস শেয়ার পেয়েছে, যা ফান্ডের নীতিমালা (পলিসি) অনুযায়ী আগে থেকেই পোর্টফোলিওতে থাকা ইউনিলিভারের শেয়ারের দরের সঙ্গে সমন্বয় করে গড় ক্রয় মূল্য কমিয়ে আনা হয়। তারা একই বছরে ৮ হাজার ৫০০টি ইউনিলিভারের শেয়ার বিক্রি করে। তবে, এক্ষেত্রে তারা ওই পলিসি অনুসরণ করেনি। যদি ফান্ডটির নীতিমালা অনুযায়ী বোনাস শেয়ার বিবেচনা করা হতো, তাহলে সিকিউরিটিজ বিক্রি থেকে নিট লাভ এবং প্রভিশনের আগে নিট মুনাফা ৯৪ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেত।

২০১৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া সিএপিএম আইবিবিএল ফান্ডের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৬৬.৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণির (উদ্যোক্তা বা পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৩৩.৪৪ শতাংশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) কোম্পানির ইউনিট দর দাঁড়িয়েছে ৮.১০ টাকায়।

ঢাকা/এনটি/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ