মাধবপুরে সানজিদা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় শাশুড়ি ও স্বামীর বড় বোনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার বহরা ইউনিয়নের সুন্দাদিল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার রাতে অচেতন অবস্থায় সানজিদাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তাঁর স্বামী, শাশুড়িসহ স্বজনরা। পরে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পরপরই সানজিদার স্বামী, শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।

মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সানজিদা নামে গৃহবধূ হত্যার অভিযোগে বুধবার ভোররাতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ ও র‍্যাব। এ সময় সানজিদার শাশুড়ি জামেলা খাতুন এবং জামেলার মেয়ে রাশেদা বেগম রাসুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত সানজিদার বাবা মাথু মিয়া মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি গ্রামের বাসিন্দা মাথু মিয়া বলেন, তিন মাস আগে মাধবপুর উপজেলার সুন্ধাদিল গ্রামের মাসুক মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমানের সঙ্গে সানজিদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন সানজিদার ওপর মানসিক নির্যাতন শুরু করে। মঙ্গলবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে সানজিদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ধবপ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সেই আছিয়ার পরিবারকে গরু ও ঘর দিল জামায়াত

মাগুরায় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে মারা যাওয়া আলোচিত শিশু আছিয়ার পরিবারকে দুটি গরু ও একটি গোয়ালঘর উপহার দেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে আছিয়ার পরিবারকে এ উপহার দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে আছিয়ার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উপহার হস্তান্তর করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন।

এ সময় জেলা জামায়াতের আমির এম বি বাকের, সাবেক আমির ও কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুল মতিনসহ স্থানীয় এবং জেলা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা 

অপারেশনের পর শিশুর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন, থানায় মামলা

গত ১৫ মার্চ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান আছিয়ার বাড়িতে যান। তিনি শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত বিচার চান। সে সময় আছিয়ার পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে একটি গোয়াল ঘর এবং দুটি গরু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জামায়াতের আমির। 

আট বয়সী আছিয়া মাগুরার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয় বলে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ ওঠে। গত ৬ মার্চ অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হলে মাগুরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে শিশুটিকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে থেকে সেদিন সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকায় নেওয়া হয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দুই দিন পর ৮ মার্চ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আছিয়ার।

ঢাকা/শাহীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ