Samakal:
2025-09-18@02:36:50 GMT

রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি আজ

Published: 17th, April 2025 GMT

রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি আজ

টানা পৌনে ৯ ঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর ছয় দফা দাবি পূরণে ঢাকাসহ সারাদেশে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রেলপথ ব্লকেডের ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার রাতে ঘোষিত কর্মসূচিতে বলা হয়, যেসব পলিটেকনিকের পাশে রেলস্টেশন বা রেললাইন নেই, তারা মহাসড়কে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করবে। একই সঙ্গে অসহযোগ আন্দোলনেরও ডাক দিয়েছেন তারা।

কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা ও গুলি ছোড়ার প্রতিবাদ এবং ছয় দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে দিনভর অবস্থান কর্মসূচি শেষে এ ঘোষণা দেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি জুবায়ের পাটোয়ারী। তিনি বলেন, দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার আমরা সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলন করব। সেই সঙ্গে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রেলপথ ব্লকেড করা হবে। 

এদিকে আজ অনুষ্ঠিত হবে এসএসসির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা। কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচির ফলে যানজটসহ বিভিন্ন বিড়ম্বনায় পড়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির সঙ্গে গতকাল সন্ধ্যায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানকে বদলির দাবি। পরে রাতে তাঁকে সরিয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রতিনিধি জুবায়ের পাটোয়ারী গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, দিনভর আমরা ঢাকাসহ সারাদেশে সড়ক অবরোধ করেছি। আজকে মানুষের যে ভোগান্তি, সেটাই সামনে আসছে; সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি, অথচ আমাদের ভাইদের গুলি করা হয়েছে, রক্ত ঝরেছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর যদি কোনো ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা গুলি খেয়ে থাকে, সেটা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটেও অধ্যক্ষের নির্দেশে হামলা করা হয়েছে। সরকার আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা অধ্যক্ষকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছি। 

ছাত্র আন্দোলনের এ প্রতিনিধি বলেন, দেশের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অনেক। আমরা সরকারকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আমাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবেন না। যদি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেন, তাহলে সামাল দিতে পারবেন না। দাবি আদায় করেই আমরা রাজপথ ছাড়ব।

এর আগে গতকাল সকাল ১০টার দিকে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি আদায়ে সাতরাস্তা মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। ঢাকার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সারাদেশে জেলায় জেলায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের যেসব দাবি

তাদের প্রথম দাবি– জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর পদবি পরিবর্তন এবং মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করতে হবে। ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দাবি, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যে কোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিলসহ উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম নিশ্চিত করে একাডেমিক কার্যক্রম পরবর্তী প্রবিধান থেকে পর্যায়ক্রমিকভাবে সম্পূর্ণ ইংরেজি মাধ্যমে চালু করতে হবে।

তৃতীয়: উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমানের (দশম গ্রেড) পদ চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও যেসব সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্নস্থ পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

চতুর্থ: কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পদে কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তা আইনানুগভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এ পদগুলোতে অনতিবিলম্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।

পঞ্চম: কারিগরি শিক্ষায় বৈষম্য ও দুরবস্থা দূর করার পাশাপাশি দক্ষ জনসম্পদ তৈরিতে কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নামে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।

ষষ্ঠ দাবি, পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি, নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নড়াইল, নওগাঁ, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও) পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতাভুক্ত একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আগামী সেশন থেকে শতভাগ সিটে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ

শিক্ষার্থীদের দিনভর সড়ক অবরোধের মুখে গতকাল বিকেল সোয়া ৪টার দিকে সাতরাস্তা মোড়ে যান কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শোয়াইব আহমাদ খান এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা। মহাপরিচালক শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে পদোন্নতিতে ‘ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের’ কোনো কোটা রাখা হবে না বলেও জানান।

তবে শিক্ষার্থীরা চান বাস্তবায়ন। ঘোষণা বা শুধু আশ্বাসে সড়ক অবরোধ তুলে না নিয়ে বরং মহাপরিচালককেই অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা অধিদপ্তরে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত কর্মকর্তাকে মহাপরিচালক নিয়োগের দাবি জানান। আশ্বাসের পরও শিক্ষার্থীরা রাস্তা না ছাড়ায় সন্ধ্যার দিকে সেখান থেকে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান কর্মকর্তারা।

কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা কী বলছেন

আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শোয়াইব আহমাদ খান সমকালকে বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের কেউ ভুল বুঝিয়ে পথে নামিয়েছে। হাইকোর্টের রায় নিয়ে যা বলা হচ্ছে, তা সত্য নয়। ৩০ শতাংশ পদোন্নতি দেওয়ার কোনো বিষয় রায়ে নেই। তবুও আমরা আপিল করেছি। ইতোমধ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর নামে কোনো পদ থাকবে না।

ছাত্র প্রতিনিধি জুবায়ের পাটোয়ারী বলেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ঢাকা পলিটেকনিকের অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তবে বৈঠকে আমরা একমত হতে পারিনি। তারা লিখিতভাবে আমাদের দাবিগুলো মেনে নেননি। তাই আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

ঢাকা পলিটেকনিকের অধ্যক্ষকে বদলি

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান খানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। গতকাল রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে, একই প্রজ্ঞাপনে সাহেলা পারভীনকে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির চারটি পূরণে সরকার সম্পূর্ণ একমত। দুটি দাবি পূরণে আইনগত বাধা আছে। তার একটি হলো সব পদে কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করা; কারণ সরকারি পদে সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী পদায়ন হয়ে থাকে। দ্বিতীয়ত, ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা। কারণ, সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেয়ে চার বছর চাকরিকাল পার করার পর তাদের সবাইকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার আইনগত কোনো সুযোগ নেই।

সচিবের বক্তব্য

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও দাবি পূরণের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড.

খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, ছয় দফা দাবির মধ্যে পদোন্নতিতে ৩০ শতাংশ কোটা রয়েছে বা আদালতের নির্দেশনা আছে বলে তারা বলছে– এটা সত্য নয়। তারা ভুল তথ্যের ওপর আন্দোলন করছে। তারা বলছে, কারিগরির বাইরের সবাইকে সরিয়ে দিতে হবে। এটা তো হুট করে সম্ভব নয়। এটা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা হবে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ আম দ র সরক র গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুনজর কখন পড়বে

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নে দ্বিতল ভবনবিশিষ্ট একটি মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রে ওষুধ নেই, চিকিৎসক নেই, বিদ্যুৎ–সংযোগ নেই। ফলে তেমন একটা রোগীও নেই। এই ‘নাই নাই’ হাসপাতালটির নাম মাস্টারদা সূর্য সেন মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র। এভাবে কি একটা হাসপাতাল চলতে পারে? প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে যাওয়ার এমন নমুনা আমাদের হতাশ করে। দেশজুড়ে এ রকম আরও চিত্র আমরা দেখতে পাই, যা আমাদের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ইতিবাচক কোনো বার্তা দেয় না।

প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং ২০০৩ সালে চালু হওয়া এই ১০ শয্যার হাসপাতালটির মূল সমস্যা জনবলসংকট। ১৬টি পদের ১টিতেও স্থায়ী জনবল পদায়ন করা হয়নি। অন্য হাসপাতাল থেকে প্রেষণে এসে মাত্র তিনজন কর্মচারী (একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন মিডওয়াইফ ও একজন আয়া) সপ্তাহে কয়েক দিন করে দায়িত্ব পালন করেন। এটি একটি জরুরি প্রসূতিসেবাকেন্দ্র, যা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকার কথা। কিন্তু বিদ্যুৎ নেই, ডাক্তার নেই এবং প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে এর কার্যক্রম এখন প্রায় স্থবির।

হাসপাতালের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় প্রায় তিন মাস ধরে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ফলে পানীয় জলের ব্যবস্থাও নেই। বিনা মূল্যের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে প্রায় ছয় মাস ধরে। এ পরিস্থিতিতে একজন রোগী কীভাবে এখানে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসবেন? যেখানে হাসপাতালের বাইরের সাইনবোর্ডে জরুরি প্রসূতিসেবার জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকার কথা লেখা, সেখানে মূল ফটকে তালা ঝোলানো। এটি জনগণের সঙ্গে একধরনের প্রতারণা। হাসপাতালটি চালু না থাকায় মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল বা চট্টগ্রাম শহরে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। এতে সময় ও অর্থ—দুটোরই অপচয় তো বটেই, চরম ভোগান্তিরও শিকার হতে হয় মানুষকে।

যে মিডওয়াইফরা এখানে কাজ করছেন, তাঁরা জানান, এখন মাসে মাত্র চার-পাঁচজন প্রসূতি সেবা নিতে আসেন, যেখানে আগে শতাধিক প্রসূতি সেবা পেতেন। নিরাপত্তা প্রহরীরা দুই বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না। তবু নিয়মিত বেতন পাওয়ার আশায় তাঁরা এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। এ অসহনীয় দুর্ভোগের কারণ হলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতা। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, তাঁরা বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জনবলসংকটের কথা জানিয়েছেন, কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।

একটি মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখতে কেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার ধরনা দিতে হবে? জনবল নিয়োগ, কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ, বিদ্যুতের ব্যবস্থা কার্যকর করা—সব ধরনের সংকট দূর করতে হাসপাতালটির দিকে আন্তরিক মনোযোগ দেওয়া হবে, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জনবল নিয়োগ দিচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, পদ ৪৩০
  • হাতে ভোট গণনাসহ ছাত্রদলের ৬ দাবি, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত
  • ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুনজর কখন পড়বে
  • যে হাসপাতালে চিকিৎসক, ওষুধ, বিদ্যুৎ–সংযোগ কিছুই নেই