নিজ ঘরে মিলল যুবদল নেতার অর্ধগলিত মরদেহ
Published: 19th, April 2025 GMT
নাটোরের বড়াইগ্রামে নিজের শোবার ঘর থেকে মো. আয়নাল হোসেন (৪৫) নামের এক যুবদল নেতার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার মাঝগ্রাম ইউনিয়নের নটাবাড়িয়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আয়নাল হোসেন একই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে ও ওয়ার্ড যুবদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে আয়নালকে ছেড়ে তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যান। তাদের সংসারে দুইটি সন্তান থাকলেও তারা মায়ের সঙ্গে নানা বাড়িতে থাকে। এরপর থেকে আয়নাল নিজ বাড়িতে একাই বসবাস করতেন।
আরো পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে ভাড়া বাসায় মিলল শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ
সিদ্ধিরগঞ্জে বালুর মাঠ থেকে বিদ্যুৎমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার
গত বুধবার সন্ধ্যায় আয়নালকে এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন স্থানীয়রা। এরপর থেকে তাকে আর দেখা যায়নি। শনিবার সকালে তার বাড়ির পাশের লোকজন দুর্গন্ধ পেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। এসময় উঁকি দিয়ে ঘরের মেঝেতে আয়নালের অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন তারা।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ঢাকা/আরিফুল/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ ত মরদ হ আয়ন ল
এছাড়াও পড়ুন:
মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক কৃষকের মরিচখেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তাঁর মরিচখেতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ওই গ্রেনেড পান। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। এরপর বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য ওই বস্তু দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।
সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময়ে সক্রিয় থাকে। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।