যুক্তরাষ্ট্রে আজ ট্রাম্পবিরোধী ৪০০ বিক্ষোভ হচ্ছে
Published: 19th, April 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আবারও রাজপথে নামছেন দেশটির বাসিন্দারা। স্থানীয় সময় আজ শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ৪০০টির বেশি বিক্ষোভ–সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে। এই বিক্ষোভের আয়োজন করেছে ‘৫০৫০১’ নামের একটি গোষ্ঠী।
গত জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসেন ট্রাম্প। এর পর থেকে এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে দেশব্যাপী চতুর্থবারের মতো বিক্ষোভ হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ১৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেসিডেন্টস ডে’–তে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে বহু মানুষের জমায়েত হয়েছিল। আজকের বিক্ষোভে ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ যোগ দেবেন বলে আশা করছে আয়োজকেরা, যা যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার সাড়ে ৩ শতাংশ।
আজকের বিক্ষোভে যদি এই পরিমাণ মানুষ অংশ নেন, তাহলে তা ৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ট্রাম্পবিরোধী ‘হ্যান্ডস অফ’ বিক্ষোভকে ছাড়িয়ে যাবে। সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ১ হাজার ২০০ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই বিক্ষোভে ট্রাম্পের পাশাপাশি তাঁর উপদেষ্টা ও ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছিলেন মার্কিনরা।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের নিশানায় কারা, কী তাঁদের অপরাধ৬ ঘণ্টা আগেআজকের বিক্ষোভের আয়োজক গোষ্ঠী ৫০৫০১–এর মুখপাত্র হেথার ডান বলেছেন, শনিবারের বিক্ষোভের লক্ষ্য হলো ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে যে কর্তৃত্ববাদের উত্থান হচ্ছে, তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে রক্ষা করা। ৫০৫০১–কে একটি ‘গণতন্ত্রপন্থী’, ‘সংবিধানপন্থী’ এবং ‘অহিংস আন্দোলনকারী’ গোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুনচীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প১৯ ঘণ্টা আগেহেথার ডান বলেন, আজকের বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য ডেমোক্র্যাট, রিপাবলিকান এবং কোনো দলীয় রাজনীতি করেন না—এমন ভোটাররা নিবন্ধন করেছেন। সবাই আজ মিছিলে অংশ নেবেন। কারণ, তাঁরা আমেরিকায় বিশ্বাস করেন।
আরও পড়ুনট্রান্সজেন্ডারদের পাসপোর্ট দেওয়া বন্ধ করতে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশকে অসাংবিধানিক বললেন আদালত৮ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আজক র ব ক ষ ভ
এছাড়াও পড়ুন:
কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমির খসরু
কোনও মহামানবকে বাংলাদেশের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সোমবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, কোনও মহামানব কোনও দেশের গণতন্ত্রের সমাধান দেবে তার জন্য দেশের জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে, এটা বিশ্বাস করার কারণ নেই।
এদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় ন্যাপ ভাসানীর সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে আমজনতার দলের সঙ্গে বৈঠকে করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। আমজনতার দলের আহ্বায়ক কর্নেল অব. মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা।
বিএনপির পক্ষে বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।
আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, মানুষ বলতে কারা? আমার বুঝতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি, যারা জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করছে। যারা রাজনৈতিক দল হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে, আমাদের সঙ্গে যারা রাস্তায় ছিল, ইতোমধ্যে প্রায় ৫০টি দল, পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেছে ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচনের জন্য।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারের জন্য যে কথাগুলো বলা হয়, সংস্কারের ব্যাপারে যেখানে ঐকমত্য হবে- সেই সংস্কারগুলো দ্রুত করে নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রোডম্যাপ দিয়ে ভোটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তো জনগণ বলতে কারা?
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এখন জনগণ বলতে যদি কোনও একটি বিশেষ গোষ্ঠী, সুবিধাভোগী- যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে, জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে! এটা তো কারও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কারণ নেই। ১৬ বছরের যুদ্ধটা ছিল গণতন্ত্রের জন্য, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য। যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে, তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। সেটা যে সরকারই হোক।