যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আবারও রাজপথে নামছেন দেশটির বাসিন্দারা। স্থানীয় সময় আজ শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ৪০০টির বেশি বিক্ষোভ–সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে। এই বিক্ষোভের আয়োজন করেছে ‘৫০৫০১’ নামের একটি গোষ্ঠী।

গত জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসেন ট্রাম্প। এর পর থেকে এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে দেশব্যাপী চতুর্থবারের মতো বিক্ষোভ হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ১৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেসিডেন্টস ডে’–তে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে বহু মানুষের জমায়েত হয়েছিল। আজকের বিক্ষোভে ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ যোগ দেবেন বলে আশা করছে আয়োজকেরা, যা যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার সাড়ে ৩ শতাংশ।

আজকের বিক্ষোভে যদি এই পরিমাণ মানুষ অংশ নেন, তাহলে তা ৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ট্রাম্পবিরোধী ‘হ্যান্ডস অফ’ বিক্ষোভকে ছাড়িয়ে যাবে। সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ১ হাজার ২০০ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই বিক্ষোভে ট্রাম্পের পাশাপাশি তাঁর উপদেষ্টা ও ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছিলেন মার্কিনরা।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের নিশানায় কারা, কী তাঁদের অপরাধ৬ ঘণ্টা আগে

আজকের বিক্ষোভের আয়োজক গোষ্ঠী ৫০৫০১–এর মুখপাত্র হেথার ডান বলেছেন, শনিবারের বিক্ষোভের লক্ষ্য হলো ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে যে কর্তৃত্ববাদের উত্থান হচ্ছে, তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে রক্ষা করা। ৫০৫০১–কে একটি ‘গণতন্ত্রপন্থী’, ‘সংবিধানপন্থী’ এবং ‘অহিংস আন্দোলনকারী’ গোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।

আরও পড়ুনচীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প১৯ ঘণ্টা আগে

হেথার ডান বলেন, আজকের বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য ডেমোক্র্যাট, রিপাবলিকান এবং কোনো দলীয় রাজনীতি করেন না—এমন ভোটাররা নিবন্ধন করেছেন। সবাই আজ মিছিলে অংশ নেবেন। কারণ, তাঁরা আমেরিকায় বিশ্বাস করেন।

আরও পড়ুনট্রান্সজেন্ডারদের পাসপোর্ট দেওয়া বন্ধ করতে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশকে অসাংবিধানিক বললেন আদালত৮ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আজক র ব ক ষ ভ

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’

তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’

পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’

আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’

ঢাকা/আসাদ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • আমেরিকানদের হাতে সময় আছে মাত্র ৪০০ দিন
  • হুংকার দিয়ে জাতীয় নির্বাচন ঠেকান যাবে না: জাহিদ হোসেন
  • বাংলাদেশ পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে: আইরিন খান
  • কেমন সংবিধান চান, জানালেন এনসিপি নেতা আখতার হোসেন
  • বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় ইইউ