তথ্য গোপন করে পদ নেওয়া নোয়াখালীর সেই ছাত্রদল নেতাকে অব্যাহতি
Published: 19th, April 2025 GMT
নোয়াখালী সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের ভুলুয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন ওরফে রাব্বিকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। তথ্য গোপন করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
অব্যাহতি পাওয়া মুরাদ হোসেন নোয়াখালী সরকারি কলেজের স্নাতক (পাস) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গত ২৩ মার্চ কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ভুলুয়া কলেজ শাখার ২০ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করে। ওই কলেজের ছাত্র না হওয়ার পরও মুরাদ হোসেনকে কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক করায় নেতা-কর্মীদের একটি অংশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
কমিটি ঘোষণার পর মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ ওঠে। পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার পর আজ তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা হিসেবে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো.
জানা গেছে, বর্তমানে কলেজটির ছাত্র না হলেও এইচএসসিতে ভুলুয়া ডিগ্রি কলেজে পড়েছেন মুরাদ হোসেন। ২০২০ সালে তিনি কলেজটি থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে নোয়াখালী সরকারি কলেজের বিবিএস (স্নাতক) প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে তিনি দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়ন করছেন। তাঁর রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর যাচাই করে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
অভিযোগ ওঠার পর মুরাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভুলুয়া ডিগ্রি কলেজে ছাত্রদলের রাজনীতি করে আসছেন। সেখান থেকে এইচএসসি পাস করে নোয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছেন। তবে একই সঙ্গে তিনি ভুলুয়া ডিগ্রি কলেজে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ‘নোয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হওয়ার আগেই ভুলুয়া ডিগ্রি কলেজ কমিটিতে আমার নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কিন্তু কমিটির অনুমোদন হতে দেরি হয়েছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ন দ র য় ছ ত রদল ছ ত রদল র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতীয় উড়োজাহাজের ভয়াবহ ১০টি দুর্ঘটনা
কোঝিকোড় দুর্ঘটনা (২০২০)
২০২০ সালের ৭ আগস্ট এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি ফ্লাইট কেরালার কোঝিকোড় বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বৃষ্টিভেজা রানওয়েতে ছিটকে পড়ে এবং দুই ভাগ হয়ে যায়। এতে ২০জন নিহত হন, আহত হন বহু যাত্রী। খারাপ আবহাওয়া, কম দৃশ্যমানতা এবং টেবলটপ রানওয়ে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ছিল।
ম্যাঙ্গালুরু দুর্ঘটনা (২০১০)২০১০ সালের ২২ মে দুবাই থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ফ্লাইট ৮১২ ম্যাঙ্গালুরুতে অবতরণের সময় রানওয়ে ছাড়িয়ে একটি খাদে পড়ে যায়। বিমানে থাকা ১৬৬ জনের মধ্যে ১৫৮ জন নিহত হন। রানওয়েটি ‘টেবলটপ’ হওয়ায় দুর্ঘটনার মাত্রা ভয়াবহ হয়। টেবলটপ রানওয়ে হলো এমন একটি বিমানবন্দর রানওয়ে, যা একটি পাহাড় বা উঁচু মালভূমির ওপর অবস্থিত এবং চারপাশে গভীর খাদ বা ঢাল থাকে।
পাটনা দুর্ঘটনা (২০০০)২০০০ সালের ১৭ জুলাই কলকাতা থেকে দিল্লিগামী অ্যালায়েন্স এয়ারের একটি ফ্লাইট পাটনার একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের ৫৫ যাত্রী ও ভূমিতে থাকা ৫ জনসহ মোট ৬০ জন নিহত হন। অবতরণের সময় পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত একজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ১২ জুন, ভারত