টেকনাফে গণপিটুনি ও ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু
Published: 20th, April 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় গণপিটুনি ও ছুরিকাঘাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মুঠোফোন চুরির অভিযোগে তাঁকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। আজ রোববার সকালে সকালে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মো. নজিমুল্লাহ (২৫)। তিনি টেকনাফ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত রহিম উল্লাহর ছেলে। আহত অবস্থায় টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, এক ব্যক্তির মুঠোফোন চুরির অভিযোগ তুলে সকালে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি নজিমুল্লাহকে গণপিটুনি দেন। একই সময়ে বুকের ডান পাশে ছুরিকাঘাতে আহত হন নজিমুল্লাহ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নজিমুল্লাহর হাতেই ছুরিটি ছিল। পিটুনি দেওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ছুরিটি নজিমুল্লাহর বুকে ঢুকে পড়ে। এরপর বাসিন্দারা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
টেকনাফ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এহতেশামুল হক বলেন, ‘নিহত নজিমুল্লাহকে আমি চিনি। তাঁর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ নিয়ে একাধিক সালিসও করেছি। তবে চুরির অভিযোগে তো কাউকে হত্যা করা যায় না।’
নিহত মো.
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাঈমা সিফাত প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বুকের ডান পাশে ছুরিকাঘাতের জখম ছিল। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘নিহত নজিমুল্লাহর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।
ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়