সীমিত দৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র বিভাগে মনোনয়ন পেলেন যাঁরা
Published: 21st, April 2025 GMT
শেষ হয়েছে মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার ২০২৪-এর কার্যক্রম। জুরিবোর্ড নির্বাচন করেছেন এবারের মনোনয়নপ্রাপ্তদের। এবারও ‘সীমিত দৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র’, ‘চলচ্চিত্র ও ওয়েব ফিল্ম’ ও ‘ওয়েব সিরিজ’—এই তিন বিভাগে বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হবে। আজ ছাপা হলা সীমিত দৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্রে যাঁরা মনোনয়ন পেয়েছেন, তাঁদের নাম।
সীমিত দৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র
সেরা চিত্রনাট্যকার
আবদুল্লাহ আল মামুন (কাইকর), রিফাত আদনান পাপন, সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পি, ‘পরস্পর’
জাহান সুলতানা, ‘তিথিডোর’
সুব্রত সঞ্জীব, ‘রোদ বৃষ্টির গল্প’
সেরা নির্দেশক
জাহিদ প্রীতম, ‘বুক পকেটের গল্প’
পথিক সাধন, ‘কিছু কথা বাকি’
সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পি, ‘পরস্পর’
সেরা অভিনেত্রী
তাসনিয়া ফারিণ, ‘পরস্পর’
মেহজাবীন চৌধুরী, ‘তিথিডোর’
সাদিয়া আয়মান, ‘রোদ বৃষ্টির গল্প’
সেরা অভিনেতা
ইয়াশ রোহান, ইতিবৃত্ত
খায়রুল বাসার, পরস্পর
খায়রুল বাসার, রোদ বৃষ্টির গল্প
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লকার থেকে উদ্ধার করা সোনা শেখ হাসিনার হলফনামায় দেখানো হয়েছিল কি
অগ্রণী ব্যাংকে দুটি লকার থেকে ৮৩২ ভরি সোনা পাওয়ার কথা জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে একটি লকার জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের নামে। অন্যটি শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানার নামে।
দুদক আজ বুধবার বলেছে, অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদের নামে থাকা একটি লকারে ৪২২ ভরির কিছু বেশি সোনা পাওয়া যায়। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার নামে থাকা একটি লকারে পাওয়া গেছে ৪১০ ভরি সোনা।
পূবালী ব্যাংকেও শেখ হাসিনার নামে একটি লকার থাকার কথা জানিয়েছে দুদক। সেখানে পাওয়া গেছে একটি ছোট চটের ব্যাগ। সেটি খালি ছিল।
দুদক বলছে, লকারের রক্ষিত চিরকুট ও বর্ণনা অনুযায়ী স্বর্ণালংকারগুলো শেখ হাসিনা, সায়মা ওয়াজেদ, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং শেখ রেহানা ও তাঁর ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির বলে ধারণা করা যাচ্ছে। সংস্থাটি সোনার মালিকানা সুনির্দিষ্ট করে আইনগত দায় নিরূপণ করবে বলে জানিয়েছে।
প্রশ্ন হলো, এই সোনা কি শেখ হাসিনার হলফনামায় দেখানো হয়েছিল?
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে শেখ হাসিনা হলফনামা জমা দিয়েছিলেন। তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন গোপালগঞ্জ–৩ আসন থেকে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে শেখ হাসিনার হলফনামাটি এখনো আছে। তাতে দেখা যায়, তিনি নিজের নামে ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছিলেন। সোনা ও মূল্যবান ধাতুর অর্জনকালীন মূল্য দেখিয়েছিলেন ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সেখানে সোনার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি।
শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময়ও হলফনামায় সোনা ও মূল্যবান ধাতুর মূল্য বাবদ ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেখিয়েছিলেন।
আয়, সম্পদসহ আট ধরনের তথ্য হলফনামায় দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয় ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকেই।
দেখা যাচ্ছে, ২০০৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের হলফনামায় শেখ হাসিনার সম্পদের মধ্যে সোনা ও মূল্যবান ধাতুর মূল্যে কোনো হেরফের নেই।
রাজধানীর মতিঝিলে অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা লকারে স্বর্ণালংকারের পাশাপাশি সোনার নৌকা ও হরিণ পাওয়া গেছে