রন হক সিকদারের ১০০ একর জমি জব্দের আদেশ
Published: 21st, April 2025 GMT
দুদকের অনুসন্ধান চলমান থাকায় সিকদার গ্রুপের এমডি রন হক সিকদারের নামে থাকা ১০০ একর জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব জমি ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ১৯ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত।
দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব সোমবার এ আদেশ দেন।
দুদক আদালতকে বলেছে, ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নামে–বেনামে জনগণের আমানতের অর্থ লুটপাটসহ ঘুষের বিনিময়ে ঋণ দেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। সেই অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ১৯ নম্বর সেক্টরের ১০০ একর জমি রন হক সিকদারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক হোল্ডিংয়ের নামে বরাদ্দ দেওয়া। এই জমিতে ১০০ থেকে ১৪২ তলা আইকনিক টাওয়ার নির্মাণ করার অনুমোদন দেয় রাজউক। প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বরাদ্দ দেওয়া হয় তিন হাজার কোটি টাকায়। মাত্র ২৭০ কোটি টাকার একটি কিস্তি দিয়ে ওই সম্পদ নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে দখলে নেন রন হক সিকদার।
দুদক আদালতকে আরও জানিয়েছে, রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই রন হক সিকদারের প্রতিষ্ঠান সেখানে তিনতলা একটি ভবন নির্মাণ করছিল। ভুয়া তথ্য দিয়ে ১১০ কোটি টাকার ঋণ নেয় রন হকের প্রতিষ্ঠান। পরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই ১০০ একর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টের আগপর্যন্ত ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বেশির ভাগ ছিলেন সিকদার পরিবারের সদস্য। তাঁরা তখন ব্যাংকে থাকা জনগণের আমানতের হাজার হাজার কোটি টাকা বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ দিয়ে পাচার করেছেন। এর আগে গত ৯ মার্চ রন হক, তাঁর মা মনোয়ারা সিকদারসহ তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ৪২টি বিও হিসাব (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে আরও জানানো হয়, সিকদার পরিবারের বেশির ভাগ সদস্য বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। তাঁরা বিদেশে থেকে বিও হিসাবগুলো হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। এর আগে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর সিকদার গ্রুপের রন হক, তাঁর মাসহ তাঁদের পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নামে থাকা মোট ১৫টি ভবন ও ফ্লোর জব্দের আদেশ দেওয়া হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ র পর ব র র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এটিএম কামালের দোয়া মাহফিলে মাসুদুজ্জামান
বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দ্রুত রোগমুক্তি কামনায় আজ নারায়ণগঞ্জে গভীর ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক মাসুদুজ্জামান। তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা এবং দেশের কল্যাণের জন্য সকলের কাছে দোয়া চান।
দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক, তাঁর সুস্থতা জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল।
দোয়ার আয়োজনে মাসুদুজ্জামান বলেন, “আমাদের জাতীয় নেতৃত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ আজ অসুস্থ। তাঁর দ্রুত আরোগ্যই শুধু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের জন্য নয় - বরং বাংলাদেশের গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য অপরিহার্য। জাতির এই সংকটময় মুহূর্তে আমরা সবাই তাঁর জন্য দোয়া করি।
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন। সুস্থতা প্রত্যেক মানুষের মৌলিক আশা এবং আমরা তাঁর আরোগ্যের জন্য আন্তরিকভাবে দোয়া করছি।
তিনি অতীতে দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল, গণতান্ত্রিক চর্চা ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার নানা সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন- এই কারণে তাঁর সুস্থতা অনেক মানুষের কাছে মানসিকভাবে এক বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।”
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আব্দুস সবুর খান সেন্টু, আনোয়ার হোসেন আনু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সদস্য মনোয়ার হোসেন শোখন, সাবেক চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুলসহ মহানগরের অন্যন্য বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দরা।
এছাড়াও দোয়ার আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল, মহিলদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।
অনুষ্ঠান শেষে নেতাকর্মী ও উপস্থিত সকল মানুষ দোয়া মাহফিলের মূল উদ্দেশ্যের প্রতি গভীর সংমত প্রকাশ করেন।
তাঁরা বলেন, দেশের একজন বরেণ্য জাতীয় ব্যক্তিত্ব কঠিন অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন - এ সময়ে দল-মত নির্বিশেষে সবাই তাঁর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছে। বক্তারা উল্লেখ করেন যে মানবিক মূল্যবোধই সবচেয়ে বড় পরিচয়, এবং অসুস্থতার মতো পরিস্থিতি মানুষের মাঝে সহমর্মিতা ও ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করে।
শেষে সবাই আশা প্রকাশ করেন, দেশনেত্রীর সুস্থতার সঙ্গে সঙ্গে জাতির মধ্যেও শান্তি, সহমর্মিতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আরও সুদৃঢ় হবে।
তাঁরা আগত দিনগুলোতে একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন, যা সমাজে একটি ইতিবাচক ও গঠনমূলক উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে।