প্রায় ১৪ হাজার ফিলিপিনো ও মার্কিন সেনা আজ সোমবার বার্ষিক যৌথ মহড়া ‘বালিকাতান’ শুরু করেছেন। এ মহড়া সামরিক চুক্তির আওতায় থাকা দুই মিত্রদেশের ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ অনুশীলন’ হিসেবে বিবেচিত। এমন এক সময়ে এ অনুশীলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা চলছে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাজনিত বিষয়গুলো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

বালিকাতান শব্দের অর্থ কাঁধে কাঁধ মেলানো। এ বার্ষিক মহড়া চলবে আগামী ৯ মে পর্যন্ত। এতে যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শিত হবে, যার মধ্যে রয়েছে এনএমইএসআইএস অ্যান্টিশিপ মিসাইল ও এইচআইএমএআরএস রকেট লঞ্চার।

গণমাধ্যমকে জানানো হয়, ফিলিপাইন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রায়োগিক মহড়ার মাধ্যমে তাদের নিজস্ব আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র পক্ষের মহড়ার প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেমস গ্লিন এ বছরের মহড়াকে ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ প্রস্তুতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এ মহড়ায় বিভিন্ন দৃশ্যপটে দুই পক্ষের সক্ষমতা যাচাই করা হচ্ছে। ক্ষেপণাস্ত্রের সম্ভাব্য আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, সমুদ্রপথে আক্রমণ রুখে দেওয়া এবং সমুদ্রে আঘাত হেনে ফিলিপাইন নৌবাহিনীর একটি অব্যবহৃত যুদ্ধজাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার মতো কার্যক্রম এ অনুশীলনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

গ্লিন আরও বলেন, ‘এ পূর্ণাঙ্গ সামরিক অনুশীলন চালানোর উদ্দেশ্য হলো, আজকের দিনে আমরা যে আঞ্চলিক নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করছি, সেগুলোর সব কটিকে মাথায় রাখা, যার শুরু হচ্ছে দক্ষিণ চীন সাগর থেকে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে হত্যায় ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দেন ট্রাম্প

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এমন সময় এ খবর সামনে এসেছে, যখন ইরানে চালানো হামলার প্রথম দিনই দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।

মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না। যতক্ষণ না তারা তা করছে, ততক্ষণ আমরা রাজনৈতিক নেতৃত্বের পেছনে লাগার বিষয়ে, এমনকি আলাপও করছি না।’

খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার ফক্স নিউজকে বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’

ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’

নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ