যাকে বলা হয় বাংলা চলচ্চিত্রের মেগাস্টার, তিনি শাকিব খান। প্রায় ২৫ বছর ধরে ঢালিউডে কাজ করছেন তিনি। এই নায়ক নাকি তিন মাসের জন্য এসেছিলেন চলচ্চিত্রে। কিন্তু ঢালিউডেই গড়েছেন দীর্ঘস্থায়ী আসন। এখানেই খুঁজে পেয়েছেন বন্ধু, পেয়েছেন শত্রুও। তিনি নিজেকে কত নম্বর নায়ক মনে করেন?

সম্প্রতি সাংবাদিকদের করা এই প্রশ্নের উত্তরে শাকিব খান বলেন, ‘‘চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেছিলাম, তখন আমি ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারের স্টুডেন্ট। এসেছিলাম তিন মাসের জন্য হয়ে গেছে ২৫ বছর। বড় হয়েছি এখানে, বেড়েছি এখানে বন্ধু হয়েছে এখানে; শত্রুও হয়েছে এখানে। চলচ্চিত্র হচ্ছে আমার হৃদয়ের সবচেয়ে কাছের অবস্থানে অবস্থান করে। চলচ্চিত্র আমি ভালোবাসি। আমি কত নম্বর নায়ক সেটা কখনোই বিবেচনা করিনি। আমার জীবনের শুরু থেকেই আমি নাম্বার নিযে চিন্তিত না। আমি কাজ করে যাই দেশের মানুষের জন্য, যারা আমাকে ভালোবাসে তাদের জন্য। একটা শ্রেণিকেতো মানুষ শাকিবিয়ান বলে ডাকে। ’’

ঈদে শাকিব খান অভিনীত ‘বরবাদ’প্রেক্ষাগৃহে দাপট দেখিয়েছে। রিয়েল এনার্জি প্রডাকশন ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, ‘বরবাদ’ সিনেমা মুক্তির প্রথম ২০ দিনে ৫০ কোটি ৮২ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি করেছে। সিনেমার প্রযোজকের ভাষ্য, ‘বরবাদ’ ১০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করতে সক্ষম। এখন পর্যন্ত সিনেমাটির আয় ওই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কারণ, ওটিটি প্ল্যাটফরমেও মুক্তি পাবে সিনেমাটি। 

আরো পড়ুন:

হুমকি দিয়ে কোনো লাভ নেই, ‘বরবাদ’ প্রসঙ্গে ওমর সানি

‘বরবাদ’ সাফল্যের কারণ জানালেন পরিচালক

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র জন য বরব দ

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ