Samakal:
2025-09-17@21:07:46 GMT

ভূতের বই নিয়ে ভূতুড়ে কাণ্ড

Published: 25th, April 2025 GMT

ভূতের বই নিয়ে ভূতুড়ে কাণ্ড

একটা ভয়ংকর ভূতের গল্পের বই চাই আরোহীর। সেটি কিনতে মামার সঙ্গে বইয়ের দোকানে ঢুকলো। দাদার বয়সী দোকানির চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। আরোহীকে দেখেই বললেন, ‘কি বই চাই আমার দাদা ভাইয়ের?’
অবাক কাণ্ড! আরোহীর মনে হলো দোকানি নয়, তার চোখে কচকচে কালো ভূতের মতো দেখতে মোটা ফ্রেমের চশমাটি কথা বলছে। মনে মনে বলল, ‘চশমাটি সত্যি সত্যি ভূত নাকি?’
আরোহীর মনের কথা দোকানি দাদা বুঝতে পারলেন। এবার চশমাটি খুলে বললেন, ‘বলো দেখি কী বই চাই?’
‘ভয়ংকর ভূতের গল্পের বই। তোমার দোকানে আছে, দাদা ভাই?’
‘ভয়ংকর ভূতের নয়, আমার কাছে টয়ংকর ভূতের গল্পের বই আছে।’
টয়ংকর ভূত! সে আবার কী রকম! ভেবে চমকে উঠল আরোহী। বলল, ‘নাহ! টয়ংকর ভূতের বই চাই না।’
ওরা পাশের দোকানে প্রবেশ করলো। কাকুর বয়সী সেই দোকানির বিশাল গোঁফ! আরোহীকে দেখে গোঁফ নেড়ে নেড়ে বললেন, ‘বলুন আম্মাজান, কি বই আপনার চাই?’
এবারও একই কাণ্ড! আরোহীর মনে হলো দোকানি নয়, তার গোঁফটা নাচতে নাচতে বলছে, বলুন আম্মাজান, কি বই আপনার চাই? মনে মনে বলল, ‘গোঁফটাও ভূত নাকি?’
আরোহীর মনের কথা দোকানি কাকু বুঝতে পারলেন। বুঝতে পেরে মুখের ওপর মাস্ক পরে গোঁফ ঢেকে বললেন, ‘এবার বলেন দেখি আম্মাজান, আপনার কি বই চাই?’
‘ভয়ংকর ভূতের গল্পের বই। তোমার দোকানে আছে, কাকু?’
‘আলবাৎ আছে! কিন্তু ভয়ংকর ভূতের নয়, টয়ংকর ভূতের গল্পের বই আছে।’
আবার টয়ংকর ভূত! আগের মতোই চমকে উঠল আরোহী। বলল, ‘নাহ্! নাহ্! টয়ংকর ভূতের বই চাই না।’
ওখান থেকে বেরিয়ে ওরা আরেকটা দোকানে এলো। সেই দোকানে একজন মেয়ে বসে আছে। মেয়েটার নাকে ভারী সুন্দর নাক ফুল। আরোহীকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কি বই চাই, আপিটার?'
আরোহী অবাক হয়ে দেখছে মেয়েটার নাকে উজ্জ্বল নীল রঙের নাক ফুল। যেন নাক ফুলটাই জিজ্ঞেস করছে। মনে মনে বললো, ‘নাক ফুলটাও ভূত নাকি?’
আরোহীর মনের কথা দোকানি আপু বুঝতে পারলেন। নিজের হাতের তালুয় নাক ফুলটা লুকিয়ে রেখে বললেন, ‘আমার ছোট্ট আপিটার কি বই চাই বলো তো!’
‘ভয়ংকর ভূতের গল্পের বই। তোমার দোকানে আছে, আপু?’
‘আছে! আছে! টয়ংকর ভূতের গল্পের বই আছে।’
সে কী! এখানেও টয়ংকর ভূত! এবার খুব বিরক্ত আরোহী। বললো, ‘নাহ! নাহ্! নাহ্! টয়ংকর ভূতের বই চাই না।’
বাইরে এসে আরোহী মামাকে বললো, ‘এই টয়ংকর ভূতটা আবার কী, মামা?’
মামা বললেন, ‘ছোটবেলা থেকে ভূতের কতো গল্প শুনেছি। টয়ংকর ভূতের কথা আজকে প্রথম শুনলাম। মনে হচ্ছে এখানে কোথাও ভয়ংকর ভূতের বই পাবো না। আমরা বরং একটা টয়ংকর ভূতের গল্পের বই নিয়ে চলে যাই।’
যেই কথা সেই কাজ। ওরা অন্য আরেকটা দোকানে ঢুকলো। দেখে আরোহীর বয়সী একটা ছোট ছেলে বাবু বসে আছে। ওর হাতে কাঠি লজেন্স। লজেন্সের গায়ে আবার কি সব আঁকিবুঁকি। আরোহীকে দেখে বাবু বললো, ‘ভূতের বই-ই তো তোমার চাই, তাই না বন্ধু?’
যাহ্ বাবা! বাবু নয়, বাবুর লজেন্সটা কথা বলছে। তাই মনে হচ্ছে আরোহীর। এবার একটু ভয়ই পেলো সে। মনে মনে বললো, ‘লজেন্সটা ভূত নাকি!’
আরোহীর মনের কথা বাবুও বুঝতে পেরে পুরো লজেন্সটা মুখে পুরে দিল। বিড়বিড় করে বললো, ‘বলো, বন্ধু! কেমন ভূতের বই চাই তোমার?’
‘টয়ংকর ভূতের গল্পের বই। তোমার দোকানে আছে, বন্ধু?’
‘টয়ংকর ভূতের নয়, আমাদের কাছে ভয়ংকর ভূতের গল্পের বই আছে।’
‘এ কী কাণ্ড! ভয়ংকর ভূতের বই চাইলে বলছে টয়ংকর ভূত আছে, টয়ংকর ভূত চাইলে ভয়ংকর দিচ্ছে। এ কোন ভূতুড়ে খপ্পরে পড়লাম! আচ্ছা, বন্ধু! বলতে পারো ভয়ংকর ভূত আর টয়ংকর ভূতের মধ্যে তফাৎ কি?’ আরোহী বললো।
পাশ থেকে বাবুর বাবা আসে। তিনিই দোকানদার। আরোহীকে বুঝিয়ে বললেন, ‘টয়ংকর ভূতেরা দেখতে খুব মিষ্টি হয়। তা সত্ত্বেও ওদের গল্পগুলো কিন্তু ভয়ের, রহস্যঘেরা, অলৌকিক আবার মজারও। পড়তে পড়তে ভয়ও পাবে, মজাও পাবে। বাজারে এমন অনেক টয়ংকর ভূতের বই আছে। চশমা টয়ংকর ভূত, গোঁফ টয়ংকর ভূত, নাক ফুল টয়ংকর ভূত। আমার কাছেও একটা টয়ংকর ভূতের বই থাকতে পারে। দাঁড়াও, খুঁজে দিচ্ছি তোমায়।’
দোকানদারের বুক পকেটে ঠ্যাংঠ্যাঙে লম্বা ভূতের মতো দেখতে একটা কলম। বড় বড় চোখে কলমটার দিকে তাকিয়ে আছে আরোহী। ততক্ষণে একটি বই বের করে দিলেন তিনি। নাম ‘কলম টয়ংকর ভূত।’ বইটা দেখে সাংঘাতিক ভয় পেলো আরোহী, বেশ মজাও লাগছে তার। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর হ ক বলল ন

এছাড়াও পড়ুন:

সিডনিতে তিন তারকার হলো দেখা

দূর প্রবাসের ব্যস্ত জীবনে হঠাৎ দেশের চেনা মুখের দেখা মিলে গেলে সেটি কেবল একটি সাধারণ সাক্ষাৎ থাকে না। বরং হয়ে ওঠে দেশের স্মৃতি টেনে আনা এক মুহূর্ত, হয়ে ওঠে একটুকরো বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। এমনই এক দৃশ্যের অবতারণা হলো গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনির এডমন্ডসন পার্ক মলে।

বাংলাদেশের তিন অঙ্গনের তিন পরিচিত মুখ—ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস, গায়ক তাহসান খান ও অভিনেতা মাজনুন মিজান সেখানে হঠাৎ একত্র হলেন। ব্যস্ত নগরের ভিড়ে এই তিন তারকার দেখা হয়ে গেল এক ‘অপ্রত্যাশিত’ আড্ডায়।

তিন ভুবনের তারকারা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস সম্প্রতি পরিবার নিয়ে সিডনিতে স্থায়ী হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে বহু স্মরণীয় ইনিংস খেলা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এখন নতুন করে জীবনের আরেক অধ্যায় শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। অভিনেতা মাজনুন মিজানও অনেক দিন ধরেই পরিবার নিয়ে সিডনিতে বসবাস করছেন।

ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেতা দেশে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন। নাট্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ হলেও সিডনিতে তিনি অনেকটা পর্দার আড়ালেই থাকেন, তবু প্রবাসী বাঙালিদের কাছে তিনি প্রিয়জন।
অন্যদিকে গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান ছিলেন সফররত। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে কনসার্ট করছেন তিনি। ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেডে সফল শো শেষে সিডনির কনসার্টেও হাজারো দর্শকের মন জয় করেছেন। এরপর সামনে রয়েছে মেলবোর্ন ও পার্থে তাঁর পরিবেশনা। সিডনিতে সফল কনসার্টের রেশ এখনো কাটেনি, এরই মধ্যে ঘটে গেল এই মিলন।

সিডনিতে গাইছেন তাহসান

সম্পর্কিত নিবন্ধ