সিলেটে আটক হওয়া যাত্রীর জামা-কাপড় পুড়িয়ে মিলল ২ কেজি সোনা, চোরাচালানের মামলা
Published: 26th, April 2025 GMT
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা এক যাত্রীর পোশাকে গলানো অবস্থায় সোনা উদ্ধারের ঘটনায় মামলা করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গতকাল শুক্রবার রাতে কাস্টমসের সহকারী কমিশনার ইফতেকার সাদাত সিলেট বিমানবন্দর থানায় চোরাচালানের মামলা করেন।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া সোনার ওজন ২ কেজি ১৯৫ গ্রাম, যার বাজারমূল্য প্রায় ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা।
গতকাল সকালে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২৪৮ ফ্লাইটে দুবাই থেকে ঢাকাগামী এক যাত্রীকে (আলীম উদ্দিন) ওসমানী বিমানবন্দরে আটক করা হয়। তিনি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বাসিন্দা। তাঁর পরিহিত চারটি অন্তর্বাসসহ পোশাকে গলানো অবস্থায় সোনা পাওয়া যায়। কাস্টমস ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সদস্যরা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে বিষয়টি শনাক্ত করেন।
আরও পড়ুন৪টি অন্তর্বাস ও পোশাকে ছিল গলানো সোনা, ওসমানী বিমানবন্দরে আটক ১২৫ এপ্রিল ২০২৫সিলেট কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত, বিমানবন্দর ও এয়ারফ্রেইট বিভাগ) ইনজামাম উল হক বলেন, আটক যাত্রীর কাপড়ে থাকা সোনার চালান আলাদা করতে সিলেট জেলা স্বর্ণ শিল্পী কল্যাণ সমিতির সহায়তা নেওয়া হয়। রাতেই কাপড়গুলো পুড়িয়ে সোনা আলাদা করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক স টমস
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি নেতাকে মারধর: খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি কারাগারে
খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হাসান আল মামুন। খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে আদালত চত্বরে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম ও পচা আম নিক্ষেপ করেন। তার শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। পরে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেন সেনা সদস্যরা।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম বলেন, মামলাটিতে উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি মামুন নিজেই
ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন ফখরুল।