রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) নির্ধারণ সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায় রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনের শুনানি শেষে ১৮ মে পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির বেঞ্চ রোববার শুনানির এদিন ধার্য করেন।

এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাহউদ্দীন দোলন শুনানির জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন। তখন আপিল বিভাগ বলেন, এর আগে অনেকবার শুনানির জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। আর সময় দেওয়া হবে না। আপনারা শুনানি শুরু করুন। পরে শুনানিতে ব্যারিস্টার সালাহউদ্দীন দোলন আপিল বিভাগের রায়ের মূল অংশবিশেষ তুলে ধরেন। এরপর শুনানি মূলতবি করে ১৮ মে ফের দিন ধার্য করা হয়েছে। এ সময় আদালতে রায় রিভিউ (পুনবিবেচনা) চেয়ে আবেদনকারী বিচারকদের সংগঠন জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর।

২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ঠিক করে রায় দেন আপিল বিভাগ। এরপর ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পুর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, সেহেতু রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের শুরুতেই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুসারে রাখতে হবে। রায়ে জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যরা রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ২৪ নম্বর থেকে ১৬ নম্বরে সরকারের সচিবদের সমমর্যাদায় উন্নীত করা হয়। অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যদের অবস্থান হবে জেলা জজদের ঠিক পরেই, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে তাদের অবস্থান হবে ১৭ নম্বরে।

রায়ে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্র বা অন্য কোনো কার্যক্রমে যেন এর ব্যবহার না হয়।

প্রসঙ্গত, রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। ২০০০ সালে এটি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত এ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান। ওই রিটের ওপর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ওই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল করে আট দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে এর বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালে রায় দেন আপিল বিভাগ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ন ট অব প র স ড ন স ন আপ ল ব ভ গ

এছাড়াও পড়ুন:

রণবীরের হাঁটুর বয়সি নায়িকা সারাকে কতটা জানেন?

বছরের শেষ লগ্নে মুক্তির পর আলোচনায় রয়েছে ‘ধুরন্ধর’ সিনেমা। আদিত্য ধর পরিচালিত এ সিনেমা বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছে। সিনেমাটিতে জুটি বেঁধেছেন বলিউড অভিনেতা রণবীর সিং ও সারা অর্জুন। কেবল বক্স অফিস নয়, দর্শক-সমালোচকদেরও প্রশংসা কুড়াচ্ছেন রণবীর-সারা। 

‘ধুরন্ধর’ সিনেমায় যখন রণবীর সিংয়ের বিপরীতে সারা অর্জুনকে কাস্ট করা হয়, তখনই বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন এই জুটি। বিশেষ করে রণবীর সিং। কারণ সারা অর্জুনের চেয়ে ২০ বছরের বড় এই নায়ক। হাঁটুর বয়সি নায়িকার সঙ্গে জুটি বাঁধার ব্যাপারটি তখন ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেননি তার ভক্ত-অনুরাগীরা। তবে সেসবই এখন অতীত। পাশা উল্টে গেছে—একই মুখে এখন ভক্ত-অনুরাগীরা সারা অর্জুনের প্রশংসা করছেন। 

আরো পড়ুন:

পাঁচ দিনে ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার আয় ৩০৬ কোটি টাকা

বছর শেষে রণবীরের ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার হালচাল কী?

 

২০০৫ সালের ১৮ জুন মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন সারা অর্জুন। তার আরেক পরিচয় তিনি ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেতা রাজ অর্জুনের কন্যা। ফলে একটি সংস্কৃতিমনা পরিবারে তার বেড়ে ওঠা। মুম্বাইয়ে স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন সারা অর্জুন।  

 

মাত্র ১৮ মাস বয়সে প্রথমবার বিজ্ঞাপনে কাজ করেন সারা অর্জুন। বিজ্ঞাপনটিতে তার বাবা–মায়ের সঙ্গে একটি মলে দেখা যায় তাকে। এরপর ম্যাকডোনাল্ড’সসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শতাধিক বিজ্ঞাপনে কাজ করেন তিনি। মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই ভারতের অন্যতম পরিচিত শিশুশিল্পী হয়ে ওঠেন সারা। 

 

দুই বছর বয়সে পরিচালক বিজয়ের একটি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেন সারা অর্জুন। কিন্তু এরপর সারার পরিবারের সঙ্গে বিজয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে মুম্বাই সফরের সময় আবার তাদের সঙ্গে দেখা হয় এই নির্মাতার। এ সাক্ষাতে বিজয় তার ‘দেবা তিরুমাগার’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। তামিল ভাষার এ সিনেমায় সারা যাতে তামিল সংলাপগুলো বলতে পারেন, এজন্য তার বাবা–মা তাদের তামিল বন্ধু মহেশ্বরীর সাহায্য নেন। এ সিনেমায় যখন সারা অভিনয় করেন, তখন তার বয়স মাত্র ৬ বছর। মুক্তির পর সিনেমাটি যেমন প্রশংসা কুড়ায়, তেমনি সারাও শিশুশিল্পী হিসেবে খ্যাতি পান। 

 

এরপর সারা অভিনয় করে হিন্দি ভাষার অতিপ্রাকৃত ঘরানার ‘এক থি ডায়ান’ সিনেমায়। এটি পরিচালনা করেন কানান ইয়ার। একতা কাপুর প্রযোজিত এ সিনেমায় ‘মিশা’ চরিত্রে অর্থাৎ নায়িকার ছোট বোনের ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। মুক্তির পর সমালোচকদের ইতিবাচক সমালোচনা পেলেও বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়নি সিনেমাটি।

 

তারপর আর. সুন্দররাজন পরিচালিত ‘চিতরাইল নীলাকোরু’ সিনেমায় অভিনয় করেন সারা। তামিল ভাষার এ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। তবে খুবই অল্প প্রচারের পর সিনেমাটি মুক্তি পায়। পরের বছর ‘জয় হো’ সিনেমায় স্কুল গার্লের চরিত্রে অভিনয় করেন। তারপর বিজয় পরিচালিত ‘সিভাম’ সিনেমায় অভিনয় করেন সারা। তারকাখচিত এ সিনেমায় অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান সারা। ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন অভিনীত ‘পোনিয়িন সেলভান’ সিনেমার দুই পার্টে অভিনয় করেন সারা অর্জুন।

 

তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম ও হিন্দি—চার ভাষার সিনেমায়ই কাজ করেছেন সারা অর্জুন। তবে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে খ্যাতি কুড়ানো সারা অনেকটা যুদ্ধ করে ‘ধুরন্ধর’ সিনেমায় কাজের সুযোগ পান। এ বিষয়ে সিনেমাটির পরিচালক আদিত্য ধর বলেন, “কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবরা প্রায় ১ হাজার ৩০০টি অডিশন নিয়েছিলেন। আর শেষে সারা অর্জুনকেই বেছে নেওয়া হয়। সে অসাধারণ, সবার মধ্যে সেরা।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে মাস্ক পরা যুবক, এরপর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আগুন
  • তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর
  • হাদিকে গুলি: সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা গেল
  • পুলিশে ৩০ ডিআইজি, ৯ অতিরিক্ত ডিআইজিকে বদলি
  • রণবীরের হাঁটুর বয়সি নায়িকা সারাকে কতটা জানেন?
  • রিয়ালের ৪ তারকা ফুটবলার নিষিদ্ধ
  • ২২টি যুদ্ধের পর শত্রুমুক্ত হয় কুষ্টিয়া
  • গত ১৫ বছর ছিল ‘মানবাধিকার সংকটের ভয়াবহ সময়’
  • নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের শতভাগ নিরপেক্ষ থাকতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
  • জনতার প্রত্যাশা পরবর্তী কর্মপরিকল্পনায় কাজে লাগাতে চাই : মাসুদুজ্জামান