সিদ্ধিরগঞ্জে একটি মিশুকসহ এর চালক আবুল কাশেম (৩৫) কে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণের পর ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অপহৃতের ভাই সালাউদ্দিন (২৮)।

অভিযোগ দায়েরের পর ৪ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো সন্ধান মিলেনি চালক আবুল কাশেমের। এদিকে এ ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তার স্বজনরা। অপহৃত আবুল কাশেম সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি দক্ষিনপাড়া এলাকার বাসিন্দা। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে মিজমিজি দক্ষিনপাড়ার মাসুদ মিয়ার অটোর গ্যারেজ থেকে আবুল কাশেম তাহার মিশুক রিক্সা নিয়ে বাহির হয়। এরপর বাসায় ফেরার নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও আবুল কাশেম বাসায় ফিরেনি। পরে আশেপাশের সকল জায়গাসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করলেও তার সন্ধান মিলেনি। 

এরই মধ্যে অভিযোগকারী সালাউদ্দিনের ইমু নাম্বারে সন্ধ্যা ৭টার দিকে অজ্ঞাত নামা এক ব্যাক্তি ফোন করে করে বলে ১ লাখ টাকা মুক্তিপন নিয়া কাঁচপুর ব্রিজ এর নিচে যাওয়ার জন্য। এবং আরও বলে এ বিষয় নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ী করলে, কিংবা কোন আইনী ব্যবস্থা নিলে তারা আবুল কাশেম খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে। 

এবিষয়ে জানতে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মাসুম বিল্লাহর মোবাইলে (নং- ০১৭১৭৩৮--৫৬) এ রবিবার রাত সোয়া ৯ টার দিকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

শাহীনুর আলম বলেন, বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। আশা করি দ্রুত সন্ধান পেয়ে যাবো। 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ অপহরণ স দ ধ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে দুই যুবককে অপহরণের ঘটনায় ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

বন্দরে দুই যুবককে অপহরণের পর ২ লাখ টাকা মুক্তি পণ দাবির ঘটনায় ৩ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার (১১ জুন) রাতে বন্দর উপজেলার  মদনপুর ইউনিয়নের লাউসার গ্রামে  অপহরণের এ ঘটনাটি ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দরের মদনপুর দেওয়ানবাগ এলাকার হাজী শহিদুল ইসলামের ছেলে মাহবুবুর রহমান শিশির (৩৫), বন্দরের নেহাল সরদারেরবাগ গ্রামের  মৃত জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে মোঃ রুবেল মিয়া(২৯) ও সোনারগাঁ উপজেলার  নাজিরপুর বড়বাড়ি গ্রামের মৃত নান্নু মিয়ার ছেলে মোঃ সুমন (২৮)।

এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় বন্দরের ধামগড় ইউনিয়নের পশ্চিম কেওঢালা এলাকার ফয়েজ আহমেদের ছেলে রনি( ৪০),  বাবুল (৪৮) ও অপুসহ ১০-১২ জন অপহরণকারী। এ ব্যাপারে অপহরণের শিকার ফাহিমের (১৭) এর মামা হৃদয় হোসেন  বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১২ জুন)  বন্দর থানায়  মামলা করেছেন।

মামলার বাদী হৃদয় হোসেন জানান, ভাগ্নে ফাহিম ও তার বন্ধু মোহন মিয়া বুধবার রাত নয়টার দিকে তাদের আরেক বন্ধু অপুর সাথে দেখা করতে বন্দরের লাউসার এলাকার জনৈক জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়িতে যায়। এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অপহরণকারীরা দুজনকে একটি কক্ষে আটকে রাখে।

তারা ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি  ও মারধর করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণের বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানতে পেরে  তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ তে কল করে পুলিশকে জানান। পরে বন্দর থানা  পুলিশ  ফাহিম ও মোহনকে উদ্ধার করে এবং তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে।

এ ব্যাপারে বন্দর  থানার ওসি  তরিকুল ইসলাম জানান, অপহরণ ঘটনায় মামলা হয়েছে।  তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর অপহরণকারীদের  গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কল্পনা চাকমার অপহরণের বিচার চেয়ে ফেরার পথে হামলার অভিযোগ, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির নিন্দা
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
  • সুবিচার মিলবে কত বছরে
  • বন্দরে দুই যুবককে অপহরণের ঘটনায় ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার
  • চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বালু ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, যৌথ বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার