ট্রেন চালুর দাবিতে লালমনিরহাটে চলছে সড়ক-রেলপথ অবরোধ
Published: 28th, April 2025 GMT
বুড়িমারী থেকে সরাসরি ঢাকা ট্রেন চালুর দাবিতে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে রেল ও সড়কপথ অবরোধ। গতকাল রোববার থেকে কর্মসূচি শুরু হয়। আজ সোমবার সকাল থেকে স্থানীয়রা হাতীবান্ধা মেডিকেল মোড়ে মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করেছেন। ফলে দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকসহ সব ধরনের ভারী যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে ছোট আকারের যান চলাচল এখনো অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলার মেডিকেল মোড় এলাকায় গতকাল রোববার সকাল থেকে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত রেলপথ ও সড়কপথ অবরোধ করে রাখা হয়েছে।
‘বুড়িমারী-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন’ কমিটির ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন স্থানীয় শত শত মানুষ। তারা বলছেন, সরাসরি বুড়িমারী থেকে ঢাকা পর্যন্ত কোনো আন্তঃনগর ট্রেন না থাকায় যাত্রীদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে ট্রেন চালুর দাবি জানিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বাধ্য হয়ে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক ও রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত থাকবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারী অন্যতম সমন্বয়ক শাহেদুজ্জামান কোয়েল জানান, বিগত দিন থেকে রেল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আসছেন। এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ট্রেনটি চালু করেনি কর্তৃপক্ষ। তাই আমরা গতকাল সকাল থেকে বুড়িমারী থেকে ঢাকা পর্যন্ত ট্রেনটি চালু না করায় আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না।
আন্দোলনের কারণে হাতীবান্ধা ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল ও ট্রেন যোগাযোগে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি শান্ত রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অপরদিকে হাতীবান্ধা উপজেলার পাশাপাশি পাটগ্রামেও আজ সকাল থেকে রেলপথ ও সড়কপথ আবরোধ করে রেখেছে আন্দোলনকারীরা। ফলে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বুড়িমারী অচল হয়ে পড়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।