‘তাণ্ডব’ সিনেমায় সাবিলা নূরই শাকিব খানের নায়িকা
Published: 28th, April 2025 GMT
খবর রটেছিল একদিন শুটিং করে শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’ সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে সাবিলা নূরকে। কিন্তু না তেমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। যদিও সে সময় সবাই চুপ ছিলেন। তাণ্ডব টিম থেকে অফিসিয়ালি কেউ জানাননি কিছুই।
সাবিলা নূরের বাদ পড়ার খবরের রেশ কাটতে না কাটতে সামনে আসে আরও একটি খবর। এটিও শাকিব খানের সিনেমা থেকে নায়িকার বাদ পড়ার খবর। আন অফিসিয়ালি জানা যায় তান্ডব থেকে বাদ পড়ে নিদ্রা দে নেহা নামে আরও এক নায়িকা। তার বাদ পড়ার কারণ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে জানানোর আগেই তিনি নিজেই জানিয়েছেন এই ছবিতে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে।
নতুন খবর হচ্ছে তান্ডবে নায়িকা হিসেবে সাবিলা নূর থাকছেন। অফিসিয়ালি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে এটি না জানালেও বেশিদিন খবরটি চেপে রাখতে পারলো না। জানা গেছে ঢাকার এফডিসির পর তান্ডবের শুটিং হচ্ছে রাজশাহীতে। আর সেখান থেকেই শাকিব খানের সঙ্গে রোমান্সের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ছবিটিতে যে শাকিব খানের পাশে সাবিলা নূর বসা তা স্পষ্টাই বুঝা যাচ্ছে। মানে তান্ডবে শাকিবের নায়িকা সাবিলা নূরই আছেন।
সিনেমাটির মাধ্যমে রূপালি পর্দায় অভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন সাবিলা নূর। তার মানে আয়নাবাজির নাবিলা, ইধিকা পালদের পর এবার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে যাচ্ছে সাবিলা নূরেরও। সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে আগামী ঈদুল আজহায় সিনেমা হল মাতাবেন তিনি।
টান টান উত্তেজনা আর অ্যাকশনে ভরপুর ‘তাণ্ডব’-এর মাধ্যমে প্রথমবার দেখা যাবে শাকিব-সাবিলার নয়া ক্যামিস্ট্রি! সিনেমা সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, প্রিয়তমা, তুফান, বরবাদের পর ‘তাণ্ডব’ দিয়ে বাজিমাৎ করবেন শাকিব খান।
‘তাণ্ডব’ বানাচ্ছেন গ্লোবাল ব্লকবাস্টার ছবি ‘তুফান’-খ্যাত নির্মাতা রায়হান রাফী। তিনি বলেন, নায়িকার ব্যাপারে কিছু বলতে চাচ্ছি না। কদিন পর টিজার আসবে তখন সবাই জানতে পারবেন। কয়েকটি দিন অপেক্ষা করতে হবে।
আসন্ন কোরবানির ঈদে মুক্তি পাবে ‘তাণ্ডব’। শাহরিয়ার শাকিলের প্রযোজনায় ছবিটি নির্মিত হচ্ছে আলফা আই এসভিএফ এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’
ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।
হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।
আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’
গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’
আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই।