রেফারিকে আক্রমণ করে ৬ ম্যাচ নিষিদ্ধ রুডিগার, বেলিংহামরা কে কত ম্যাচ
Published: 30th, April 2025 GMT
রেফারির দিকে তেড়ে যাওয়া এবং কিছু একটা ছুড়ে মারার পর বড় শাস্তি অনেকটা নিশ্চিতই ছিল আন্তোনিও রুডিগারের। এমনকি শাস্তি নিশ্চিত জেনে আগেভাগে হাঁটুর অস্ত্রোপচারও সেরে ফেলেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ সেন্টার ব্যাক। অপেক্ষা ছিল শুধু কত দিনের শাস্তি হচ্ছে, সেটা জানার।
গতকাল রাতে জানা গেল তা-ও। কোপা দেল রের ফাইনালের ঘটনায় ৬ ম্যাচ নিষিদ্ধ হচ্ছেন রুডিগার। একই সময়ে লাল কার্ড দেখেছিলেন রুডিগারের সতীর্থ জুড বেলিংহাম ও লুকাস ভাসকেজও। এই দুজনের মধ্যে ভাসকেজ দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হলেও প্রমাণ না মেলায় বাতিল করা হয়েছে বেলিংহামের লাল কার্ড। ফলে কোনো নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়তে হচ্ছে না এই ইংলিশ মিডফিল্ডারকে।
গত শনিবার রাতে কোপা দেল রের ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদ তখন ৩-২ গোলে পিছিয়ে। এমন শ্বাসরুদ্ধকর সময়ে কিলিয়ান এমবাপ্পের ফ্রি-কিকের দাবি খারিজ করে দেন রেফারি রিকার্দো দে বুর্গোস। রেফারির এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি রিয়াল ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুডিগার। বেঞ্চে থাকা এই ডিফেন্ডার রীতিমতো তেড়ে যান রেফারির দিকে।
স্প্যানিশ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সেই সময় রেফারিকে লক্ষ্য করে কিছু একটা ছোড়াও হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ডাগআউটে বক্সের মধ্যে থাকা বরফ ছুড়ে মারা হয়েছে রেফারিকে এবং সেটি রুডিগারই ছুড়েছিলেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে লাল কার্ড দেখানো হয় রুডিগারকে। একটু পর লাল কার্ড দেখেন বেলিংহাম ও ভাসকেজও।
নিজের রিপোর্টে রেফারি রিকার্দো দে বুর্গোস বেনগোচেয়া বলেছেন, এরই মধ্যে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া রুডিগারকে ১২০তম মিনিটে ‘একটি বস্তু ছোড়ার জন্য’ লাল কার্ড দেখানো হয় এবং ‘তাকে কোচিং স্টাফের বিভিন্ন সদস্য দ্বারা আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখানোর সময় নিবৃত্ত করতে হয়।’
রেফারির এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই মূলত তদন্তের পর শাস্তি দিয়েছে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ)। তারা জানিয়েছে, ‘রেফারির বিরুদ্ধে হিংসাত্মক আচরণের জন্য রুডিগারকে ছয় ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
অন্য দিকে বেলিংহামের বিরুদ্ধেও রেফারির দিকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তেড়ে আসার অভিযোগ আনা হয় রেফারির প্রতিবেদনে। কিন্তু যদিও আরএফইএফ জানিয়েছে, রিয়াল মাদ্রিদ এমন ভিডিও প্রমাণ দিয়েছে, যা এ অভিযোগকে ভুল প্রমাণ করেছে।
স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) শাস্তি সাধারণত যে টুর্নামেন্টে অপরাধ করা হয়, সে টুর্নামেন্টের জন্যই কার্যকর। তবে চার বা এর বেশি ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা হলে সেটা লা লিগাতেও কার্যকর হবে। এ জন্যই রুডিগার যে ছয় ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন, সব কটিই কার্যকর হবে লিগ ম্যাচে।
অর্থাৎ রুডিগারের শাস্তি আগামী মৌসুম পর্যন্ত গড়াবে। যেখানে এই মৌসুমে বাকি থাকা ৫ লিগ ম্যাচের পর আগামী মৌসুমের প্রথম ম্যাচেও মাঠের বাইরে থাকতে হবে এই জার্মান ডিফেন্ডারকে। অন্য দিকে ভাসকেজের শাস্তি কার্যকর হবে শুধু কোপা দেল রের পরবর্তী দুটি ম্যাচে। ভাসকেজের শাস্তি নিয়ে অবশ্য রিয়ালের দুশ্চিন্তার কিছু নেই, এ মৌসুম শেষেই যে রিয়াল ছাড়বেন তিনি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আবার ‘লাস্ট মিনিট শো’, জন্মদিনের রাতে স্লটকে জয় উপহার ফন ডাইকের
লিভারপুল ৩–২ আতলেতিকো মাদ্রিদ
জন্মদিনের রাতে এর চেয়ে ভালো উপহার আর কী হতে পারে!
রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতেই মাঠে ঢুকে পড়লেন আর্নে স্লট। লিভারপুলের সমর্থকেরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে থাকলেন, দল জেতায় অভিনন্দনও জানালেন। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে হাত নেড়ে স্লট সেই অভিবাদনের জবাব দিলেন।
ভার্জিল ফন ডাইকের সঙ্গে আলিঙ্গনের সময় স্লটকে একটু বেশিই খুশি মনে হলো। কারণ, লিভারপুল অধিনায়ক ফন ডাইক ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত না হলে তাঁর বিশেষ রাতটা যে অনেকটাই পানসে হয়ে যেত!
২০২৫–২৬ মৌসুমে শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোল করাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছে লিভারপুল। যেটিকে বলা হচ্ছে লাস্ট মিনিট শো, কয়েকটি সংবাদমাধ্যম নাম দিয়েছে স্লট টাইম।
এবার সেই শো–এর নায়ক ফন ডাইক। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে তাঁর হেডারেই আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ড্রয়ের পথে থাকা ম্যাচটা ৩–২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে শুভসূচনা করল লিভারপুল।
এ নিয়ে এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল লিভারপুল। সবকটি ম্যাচে অলরেডরা জয়সূচক গোল করল ৮০ মিনিটের পর; এর তিনটিই যোগ করা সময়ে।